মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২১, ১২:৩৯ অপরাহ্ন
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় শাশুড়িকে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগে আইয়ুব আলী (৩৭) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শাশুড়ির অভিযোগে আইয়ুব আলীকে গত রোববার (২৬ জুলাই) ঢাকার উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করে মুক্তাগাছা থানা পুলিশ। পরে ওইদিন রাতেই ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানায় তাকে হস্তান্তর করা হয়। এরপর গ্রেপ্তারকৃত আইয়ুব আলীর বিরুদ্ধে সোমবার (২৭ জুলাই) কোতোয়ালি মডেল থানায় ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফির দু’টি মামলা দায়ের করা হয়।
নির্যাতিতার পরিবার সূত্রে জানা যায়, মুক্তাগাছা উপজেলার চাপুরিয়া গ্রামের সিরাজ আলীর ছেলে মোটর চালক আইয়ুব আলীর সাথে প্রায় দশ বছর আগে একই উপজেলার নরকোনা গ্রামের শাহজাহান মিয়ার মেয়ে শাহিদার বিয়ে হয়। এর মধ্যে তাদের সংসারে আট বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বছর দেড়েক আগে আইয়ুব আলী তার স্ত্রীকে যৌতুকের জন্য চাপ দেয়ার পর যৌতুক দিতে না পারায় স্ত্রীও সন্তানকে তার শ্বশুর বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। এর পর কোনো যোগাযোগ রক্ষা না করায় স্ত্রী শাহিদা আক্তার তার স্বামীর বিরুদ্ধে ময়মনসিংহ আদালতে যৌতুক আইনে মামলা দায়ের করেন।
দুই পরিবারের মাঝে কয়েক বছর ধরেই টানাপোড়নের পর এ বছরের রমজান মাসে মেয়ের জামাই আইয়ুব আলী তার ছেলের জন্য নতুন জামাকাপড় ও কিছু নগদ টাকা দিবে বলে শাশুড়িকে ডেকে আনে মুক্তাগাছা শহরে। এরপর ভালো জামা কিনে দেবার কথা বলে শাশুড়িকে নিয়ে যায় ময়মনসিংহ শহরে। পরে একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে সেখানে আটকে রেখে আইয়ুব আলী তার শাশুড়িকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের চিত্র গোপনে ভিডিও ধারণ করেও রাখে।
এ ঘটনার পর মানসম্মানের ভয়ে শাশুড়ি ঘটনাটি সে ওই সময় কাউকে জানায়নি। এরপর আরও কয়েকদিন আইয়ুব আলী তার শাশুড়িকে ফোন করে ময়মনসিংহ যেতে বলে। তাতে সাড়া না দেওয়ায় শ্বশুর বাড়ির এক যুবকের ইমু নম্বরে মোবাইলে ধারণ করা ধর্ষণের ওই ভিডিওটি ছেড়ে দেয়।
এ ঘটনার পর আইয়ুব আলীর শ্বশুর শাহজাহান মিয়া তার স্ত্রীকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরবর্তীতে ধর্ষিতা বাদী হয়ে এ ঘটনায় মুক্তাগাছা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।