শুক্রবার, ০৫ মার্চ ২০২১, ০৩:৫৬ পূর্বাহ্ন
স্বাস্থ্য খাতে কাজ করা ১৩ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কালোতালিকা ভূক্তির অনুরোধ জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ।
সম্প্রতি দুদক সচিব মুহাম্মাদ দিলোয়ার বখতের পক্ষ থেকে এ অনুরোধ জানিয়ে মন্ত্রীপরিষদ সচিব বরাবর চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে।
প্রতিষ্ঠানগুলো হলো-
রহমান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল এবং রুপা ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী মিসেস রুবিনা খান, মেসার্স অনিক ট্রেডার্স ও তার স্বত্বাধিকারী আবদুল্লাহ আল মামুন, মেসার্স ম্যানিলা মেডিসিন অ্যান্ড মেসার্স এস কে ট্রেডার্স ও তার স্বত্বাধিকারী মনজুর আহমেদ, মেসার্স আহমেদ এন্টারপ্রাইজ ও তার স্বত্বাধিকারী মুন্সী ফারুক হোসাইন, এমএইচ ফার্মা ও তার স্বত্বাধিকারী মোসাদ্দেক হোসেন, মেসার্স অভি ড্রাগস ও তার স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, মেসার্স আলবিরা ফার্মেসি ও স্বত্বাধিকারী মো. আলমগীর হোসেন, এস এম ট্রেডার্স ও তার স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ মিন্টু, মেসার্স মার্কেন্টাইল ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল ও তার স্বত্বাধিকারী আব্দুস সাত্তার সরকার, বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোম্পানি ও তার স্বত্বাধিকারী জাহির উদ্দিন সরকার, ইউনিভার্সেল ট্রেড কর্পোরেশন ও তার স্বত্ত্বাধিকারী মোহাম্মদ আসাদুর রহমান, এএসএল ও তার মালিক আফতাব আহমেদ এবং ব্লেয়ার এভিয়েশন ও তার স্বত্বাধিকারী মো. মোকশেদুল ইসলাম।
দুদকের চিঠিতে বলা হয়েছে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে মালামাল সরবরাহ না করেও বিল পরিশোধের ঘটনা ঘটেছে। এক্ষেত্রে অসাধু ঠিকাদাররা সিন্ডিকেট গঠন করে এ ধরনের টেন্ডারে অংশ নেন। সিন্ডিকেটের কারণে প্রতিযোগিতামূলক দর না পাওয়ায় প্রচলিত বাজারমূল্যের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি দামে পণ্য সংগ্রহ করতে বাধ্য হন। ফলে বিপুল পরিমাণ সরকারি অর্থ অপচয় হচ্ছে। এতে করে কেউকেউ অর্থ আত্মসাতের সুযোগ পাচ্ছে।
কয়েক বছরে এ ধরনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক অনুসন্ধান শেষে কয়েকটি মামলা ও মামলার সাথে জড়িত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরি করেছে। সরকারি অর্থের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা ও এ ধরনের দুর্নীতি প্রতারণা ও বিচক্ষণতার সাথে কার্যক্রম অব্যাহত করতে এইসব ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করা প্রয়োজন বলে মনে করে দুদক।