শনিবার, ১০ এপ্রিল ২০২১, ০৭:৫০ অপরাহ্ন
দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি\
পটুয়াখালীর দুমকিতে হামলা-ভাংচুর, লুঠপাঠ ও দু’কর্মকর্তা লাঞ্ছিতের বিচার দাবিতে বিদেশী অনুদানে পরিচালিত বে-সরকারী স্বাস্থ্য চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান ‘লুথ্যারাণ হেলথ কেয়ার সেন্টার-বাংলাদেশ’র চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষনা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যায় উর্ধতন কর্তপক্ষের সিদ্ধান্তক্রমে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মা ও শিশু স্বাস্থ্য চিকিৎসা সেবার হাসপাতালটির সকল প্রকার চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।
লুথ্যারাণ হেলথ কেয়ার সেন্টারের প্রশাসনিক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা ডেবিড ঘোষ স্বাক্ষরিত প্রেসনোটে বলাহয়, গতবুধবার দুপুরে উপজেলা আ’লীগের সভাপতি মো: আবুল কালাম আজাদ মৃধার নেতৃত্বে ১০/১২জনের একটি ক্যাডার বাহিনী সাময়িক বরখাস্তকৃত জুনিয়র নার্স যুথিকা মন্ডলকে চাকুরীতে কেন পুর্ণ:বহাল করা হয়নি এ কারনে অতর্কিতে হাসপাতালে ঢুকে হামলা-ভাংচুর ও লুঠপাঠ চালায়। হামলাকারীদের হাতে দু’জন শীর্ষ কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করে। এ ন্যাক্কারজনক হামলায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বহি:বিভাগের চিকিৎসা কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে ডেবিড ঘোষ জানান, হামলা-মারধরের সুবিচার না হওয়া পর্যন্ত হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
লুথ্যারাণ হেলথ কেয়ার সেন্টারের চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ থাকা প্রশ্নের জবাবে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো: আবুল কালাম আজাদ বলেন, বে-সরকারি হাসপাতাল বন্ধ বা চালু করার আমি কেউ না, এটা তাদের বিষয়। অন্যায় ভাবে জুনিয়র নার্স যুথি মন্ডলকে বরখাস্তের প্রতিবাদ করেছি। সেখানে কাউকে মারধর বা ভাংচুর করা হয়নি। ওরা নাটক সাজিয়েছে। রোগীরা চিকিৎসা বঞ্চিত হচ্ছে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি চাই হাসপাতাল চালু হোউক। হাসপাতালে যাতে আগের মতো মানুষ চিকিৎসা সেবা পায় তারজন্য অবশ্যই সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শঙ্কও কুমার বিশ^াস’র সরকারী মোবাইল ফোনে কয়েকবার কল করা হলেও রিসিভ না হওয়ায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।
এদিকে মা ও শিশু স্বাস্থ্য চিকিৎসার ঐতিহ্যবাহী হাসপাতালটির সকল প্রকার চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়ায় বিপাকে পড়েছে উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার নি¤œ বিত্ত ও হতদরিদ্র শ্রেণী-পেশার নারী ও শিশু চিকিৎসা সেবা প্রত্যাশিরা। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে চিকিৎসা নিতে আশা শত শত রোগী ও তাদের স্বজনরা হাসপাতালে এসে চিকিৎসা ছাড়াই ফেরত যাচ্ছেন। বিশেষত: গর্ভবতী মা ও নবজাতক শিশু রোগীদের চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে।