আশুলিয়ায় যুবলীগের শাখা কার্যালয়ে হামলা ভাংচুর ; আহত- ৪
মুন্সী মেহেদী হাসান, সাভার প্রতিনিধি :
আশুলিয়ায় যুবলীগের শাখা কার্যালয়ে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুরসহ অফিসের মূল্যবান আসবাবপত্র ভাংচুর করে । তাদেরকে ভাংচুরের সময় বাঁধা দিতে গেলে সন্ত্রাসীরা ৪জনকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে।
আহতরা হলো- মোঃ তাজীদুল ইসলাম, মোঃ রাকিবুল, মোঃ হাসিবুল ও মোঃ রানা। এদের মধ্যে তাজীদুলের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার রাতে আশুলিয়ায় পূর্ব নরসিংহপুর হাজ্বী মার্কেট এলাকায় ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মোঃ জুয়েল মোল্লার অফিসে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এঘটনায় ভুক্তভোগী আশুলিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যুবলীগ নেতাকর্মীরা।
ভূক্তোভোগি ও থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতা জের ধরে বুধবার রাত ৮টার সময় আবু সামা মৃধা, ওয়াসিম, রাব্বি, সোহেল, শাওন, রবি ও শরীফসহ অজ্ঞাত আরো ১০/১২জন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জ্বিত হয়ে পূর্ব নরসিংহপুর হাজীমার্কেটের যুবলীগ নেতা জুয়েল মোল্লার অফিসে অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলা চালায় এবং অফিসের যাবতীয় মূল্যবান আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এমনকি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত ছিলো তাও ভাংচুর করে। এসময় তাদেরকে বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করলে চার যুবলীগ কর্মীকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। এদের মধ্যে তাজেদুলের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে স্থানীয় নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়।
যুবলীগ নেতা মোঃ জুয়েল মোল্লা জানান, বুধবার রাতে এশার নামাজ পরে এসে আমার অফিস ভাংচুর দেখতে পাই। আমি জানতে পারি আবু সামা মৃধার নেতৃত্বে ২৫/৩০জন সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এসময় আমার কর্মীরা বাঁধা দিতে গেলে। তাদেরকে বেধড়ক মারপিট করে। এঘটনায় আমার ৪জন কর্মী আহত হয়। এদের মধ্যে তাজেদুল নামে আমার এক কর্মী গুরুতর আহত হয়। পরে কোন উপায় না পেয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। আর এই হামলার কারণে আমার প্রায় ১০লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয় ক্ষতিতে আমি যা না কষ্ট পেয়েছি তার চেয়ে বেশী কষ্ট পেয়েছি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, স্থানীয় সাংসদ ও আমার নেতা নূরুল আমীন সরকারের ছবি ভাংচুর করেছে। আমি এর সুষ্ঠ বিচারের দাবি জানাই।
আবু সামা মৃধা জানায়, যে এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে ওই এলাকায় আমি ৩দিন ধরে যাই না। আমি এ ঘটনার সাথে জড়িত নই। বঙ্গবন্ধু ও প্রধান মন্ত্রীর ছবি ভাংচুর করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে সে বলেন, আমি আওয়ামীলীগ করি। আর কেউ কি নিজ দলের ছবি ভাংচুর করবে তা কেউ বিশ্বাস করবে না। তাছাড়া আমিতো ঘটনার সাথে জড়িত ছিলাম না। তারা নিজেরাই ভাংচুর করে আমার দোষ দিচ্ছে।
আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহবায়ক মোঃ কবির হোসেন সরকার এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পূর্ব পরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে যারা এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে অতি দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসন মহলের প্রতি আমার জোর অনুরোধ রইল।
ইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক মোঃ নূরুল আমীন সরকার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ঘটনাটি অত্যান্ত দুঃখজনক। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, তাই থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন সঠিক তদন্তের মাধ্যেমে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।