শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ০৬:০৮ অপরাহ্ন
মোস্তাক বারী ফাহিম, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি
শিক্ষার্থীদের জন্য নোবেলখ্যাত হাল্ট প্রাইজ এবার মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
হাল্ট প্রাইজ মূলত হাল্ট প্রাইজ ফাউন্ডেশন, জাতিসংঘ এবং ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ এর সহযোগিতায় আয়োজিত হয়। সামাজিক এবং বৈশ্বিক বিভিন্ন ধরণের সমস্যা সমাধান করার উদ্দেশ্যে মূলত প্রতিযোগীতাটি আয়োজন করা হয়। এই প্রতিযোগীতাটিকে শিক্ষার্থীদের নোবেল পুরস্কারও বলা হয়। আহমেদ আস্কার ২০১০ সালে হাল্ট ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস স্কুলের সহায়তায় হাল্ট প্রাইজ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতি বছরই এই প্রতিযোগীতার আয়োজন করে থাকে হাল্ট প্রাইজ ফাউন্ডেশন। আর সবচেয়ে ভাল আইডিয়ার জন্য প্রদান করা হয় ১ মিলিয়ন ইউএস ডলার।
এইবার প্রথমবারের মতো হাল্ট প্রাইজ এর অন-ক্যাম্পাস ইভেন্টটি মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নভেম্বর মাসের শেষের দিকে এই প্রতিযোগীতার মাভাবিপ্রবি থেকে অংশগ্রহণকারী দলের পিচিং অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান মাভাবিপ্রবি হাল্ট প্রাইজের ক্যাম্পাস ডিরেক্টর ফাতেমা আক্তার লাভলী। মাভাবিপ্রবি হাল্ট প্রাইজের অন-ক্যাম্পাস ইভেন্টটির জন্য এই পর্যন্ত প্রায় ৯০ টি দল রেজিস্ট্রেশন করেছে। এই ৯০ টি দলের ভেতরে সেরা একটি দল যাবে রিজিওনাল পর্যায়ে। তারপর রিজিওন এর শ্রেষ্ঠ ৩০ টি দল নিয়ে এক্সিলারেটর পর্ব হবে ও তারপর সেখান থেকে সেরা ৬ টি দল জাতিসংঘে তাদের আইডিয়া তুলে ধরবে। আর সেখান থেকে শ্রেষ্ঠ আইডিয়াকে প্রদান করা হবে ১ মিলিয়ন ইউএস ডলার।
আর এই প্রতিযোগীতায় সবাই যেন ঠিকঠাক ভাবে অংশ নিতে পারে তার জন্য গত ৩১শে অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইএসআরএম সেমিনার রুমে অনুষ্ঠিত হয় হাল্ট প্রাইজের ইনফরমেশন সেশন। আর এই সেশনে বক্তব্য রাখেন হাল্ট প্রাইজ বাংলাদেশের কমিউনিটি বিল্ডার ও মালয়েশিয়ায় হাল্ট প্রাইজের রিজিওনাল ডিরেক্টর এস এম ফাহিম শাহরিয়ার। এবং আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক ম্যানিলা রিজিওনাল ফাইনালিস্ট জান্নাতুন তাজরীন। বক্তারা হাল্ট প্রাইজের বিভিন্ন নিয়ম, অভিজ্ঞতা ও বাধ্যবাধকতা তুলে ধরেন এবং প্রতিযোগীদের প্রশ্নের উত্তর দেন।
উল্লেখ্য, হাল্ট প্রাইজের এবারের চ্যালেঞ্জ, প্রতিযোগীদের এমন একটি বিজনেস আইডিয়া দিতে হবে যা অর্থনৈতিক মুনাফা অর্জনের পাশাপাশি আমাদের পরিবেশের উপর একটি ইতিবাচক প্রভাব বয়ে আনবে যাতে প্রতি ডলার অর্জন পরিবেশের উপর কোনো খারাপ প্রভাব না ফেলে অর্থাৎ যা থেকে কোনো ক্ষতিকর গ্যাস নির্গমন হবে না এবং যার সুবিধা আগামী ১০ বছরের মধ্যে ১০ লক্ষ মানুষের কাছে পৌছাবে।