মঙ্গলবার, ১৩ এপ্রিল ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন
আবু হানিফ মোঃ বায়েজিদ (গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি) :
নিজ উপজেলা কে অন্যায় অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে ৭১ দিনব্যাপী কাফনের কাপড় পড়ে আন্দোলনকারী কে এই সাংবাদিক আশরাফুল ইসলাম একটু সময় নিয়ে দেখুন জেনে নিন।
গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের পারবর্তীপুর গ্রামের মৃত আব্বাস শেখের পুত্র মোঃ মকবুল হোসেন শেখ ও আছমা বেগম দম্পতির ঘরে ১৯৮৯ সালের মে মাসের শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় জন্ম হয় আশরাফুল ইসলাম। শিশু আশরাফুলের জন্মের পর জুম্মাঘর নামাজ শেষে আজান দেন পারবর্তীপুর জামে মসজিদের তৎকালিন মোয়াজ্জেম এবং নামাজ শেষে মসজিদের মুসল্লিরা শিশুটিকে দেখতে যান শিশুটির জন্য সকলেই প্রান ভরে দোয়া করেন।
এরপর শিশু আশরাফুল ইসলামের তিনবছর বয়সে তাদের পরিবারে আসে পলাশবাড়ী সদরের উদয় সাগর গ্রামের বর্তমান দলিল লেখক আমিনুল ইসলাম রানা সরকারের পলাশবাড়ীর বাসায় । সেখানে কিছুদিন বসবাসের পর হতে এ পর্যন্ত তাদের ৭ সদস্যের পরিবার উদয়সাগর গ্রামে শুরু হয় স্থায়ী বসবাস। পরিবারটি এ পর্যন্ত নিজেস্ব ভূমিহীন অবস্থায় অন্যের জায়গায় টিনসেড এটি বাড়ীতে তাদের বসবাস পলাশবাড়ী সদরের পৌর এলাকার উদয় সাগর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা তার পরিবার।
দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেওয়া আশরাফুল ইসলাম শিশুকাল হতে বঙ্গবন্ধুর আর্দশে বিশ্বাসী ছিলো এরপর পলাশবাড়ী এস এম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ক্লাস পড়াশোনা কালে শুরু হয় ছাত্রলীগের রাজনীতিতে হাতেখড়ি তারপর হতে বিগত সময়ে চারদলীয় ঐক্যজোট সরকারের মাঝামাঝি সময়ে পলাশবাড়ী সদর ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সফল কর্মী হিসাবে সদর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে নির্বাচিত হন। এভাবে রাজনৈতিক পথ পরিক্রমায় পাশাপাশি সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক কর্মী হিসাবে পরিচিত লাভ করে উপজেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সদস্য ও পরে প্রচার সম্পাদক হিসাবে নির্বাচিত হন। এছাড়াও পলাশবাড়ী উপজেলায় বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের প্রতিষ্ঠাকালের আহবায়ক কমিটির সদস্য হয়ে ব্যাপক ভাবে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করায় জেলা কমিটির সদস্য পদ লাভ করেন।
১৯৯৮ সাল হতে কিশোর বয়সে বঙ্গবন্ধুর প্রেমে মত্ত ছিলেন বিগত সময়ে ২০০১ সালে অক্টোবরের নির্বাচন এ নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্তমান সহ সভাপতি সাইফুল্লার রহমান চৌধুরী তোতার নেতৃত্বে মহদীপুর ইউনিয়ন হতে পলাশবাড়ীতে আসা নৌকার একটি মিছিলে লিট দেওয়ার সুযোগ পরবর্তীতে নির্বাচনে কারচুপি হওয়ায় নির্বাচন প্রত্যাখান করে নির্বাচনের পরেরদিন রাজপথে অবরোধের জন্য রাস্তা ব্রেঞ্চি বসিয়ে প্রতিবাদে স্থানীয় নমিনির সাথে বেঞ্চ ধরার সৌভাগ্য হয় তার। এভাবেই চলতে থাকে ছাত্রলীগের রাজনীতি ছাত্রলীগের সদর কমিটি সহ জেলা ও উপজেলা বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সদস্য হিসাবে চলতে থাকে তার রাজনৈতিক অঙ্গনে বিচারণ বিগত ১২ সালে শুরু হওয়া পলাশবাড়ী উপজেলায় অপশক্তির চলা নাশকতা সহিংসতার বিপক্ষে জোড়ালো ভূমিকা রাখায় পরবর্তীতে ২০১৩ সালে স্বাধীনতা বিরোধীদের বিরুদ্ধে চলা বিচারের যথাযথ দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবীতে কেন্দ্রীয় ভাবে চলা স্বাধীনতার চেতনায় জাগ্রত প্রজন্মের সংগ্রামে একত্রিত হয়ে পলাশবাড়ীতে চলা জনতার মঞ্চে সক্রিয় ভূমিকা পালনের মধ্য দিয়ে মঞ্চের মুখপাত্র হিসাবে সংগ্রাম চালিয়ে পরবর্তীতে পলাশবাড়ীতে কেন্দ্রীয় গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডাঃ ইমরান এইচ সরকারের উপস্থিতিতে জনতার মঞ্চের নাম পরবর্তন করে পলাশবাড়ী গণজাগরণ মঞ্চের নামকরণ ও আলহাজ্ব একরামুল হক বাদল হাজ্বী কে আহবায়ক করে ও আশরাফুল ইসলাম কে সদস্য সচিব (সংগঠনের মুখপাত্র) হিসাবে সংগচলা হয় শুরু এরপর ১৪ সালের ৫ জানুয়ারী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভূমিকা রাখায় গত ১৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের দলীয় সদস্য সংগ্রহ অভিযানে সাধারন সদস্য পদ লাভ করেন।
এর আগেই বিগত ১৩ সালে সাপ্তাহিক জাতীয় অপরাধ তথ্যচিত্র পত্রিকার গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসাবে গণমাধ্যমকর্মী হিসাবে পথচলা শুরু করেন এরপর জাতীয় দৈনিক সন্ধ্যাবানী পত্রিকা,বগুড়া হতে প্রকাশিত দৈনিক চাঁদনীবাজার, দৈনিক দুরান্ত সংবাদ, জেলার ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি হিসাবে ও জাতীয় দৈনিক মাতৃ ছায়া পত্রিকায় পলাশবাড়ী উপজেলা প্রতিনিধি ও স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল আনন্দ টিভি প্রতিষ্ঠাকালিন সময় হতে এ পর্যন্ত গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসাবে কর্মরত ছিলেন। বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের বিএমএসএফ এর পলাশবাড়ী উপজেলা শাখার সাবেক সভাপতি ও গাইবান্ধা জেলা শাখার সাবেক যুগ্ন আহবায়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমান সময়ে বিশ্ব সন্ত্রাস বিরোধী সংগঠন (ওয়াটা) গাইবান্ধা জেলা শাখার সহ সভাপতি ও গাইবান্ধা জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হিসাবে দায়িত্বে রয়েছেন। এছাড়াও আন্দোলন চলাকালিন সময়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সাহিত্য কর্মের চর্চা ও গবেষণা ভিক্তিক সংগঠন অগ্নিবীণার গাইবান্ধা জেলার সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হন । বিগত উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছেন। এ নির্বাচনী অঙ্গিকার ছিলো উপজেলাকে অন্যায় অনিয়ম দুর্নীতি ভাগ বাটোয়ারা বন্ধ করার।
এছাড়াও গত ১৭ সালে পলাশবাড়ী রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি নির্বাচিত হন ও ১৮ সালে প্রেসক্লাব গাইবান্ধার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরে তিনি চলতি ১৯ সালে এই সাংবাদিক সংগঠন হতে পদে ও সাধারণ সদস্য পদে হতে অব্যহতি গ্রহন করেন।
তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ও স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও সংগ্রামের অংশ হিসাবে গর্ভধারনি মায়ের হাতে ৭১ দিনব্যাপী কাফনের কাপড় পরে পলাশবাড়ীতে চলমান অন্যায় অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন। আজ আন্দোলনে প্রথম সপ্তাহের ১৮ আগস্ট রবিবার সকালে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে তিন ঘন্টাব্যাপী অবস্থান করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। এরপর গত ২৫ আগস্ট রবিবার সকালে রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচী পালন শেষে বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে দ্বিতীয়বার স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। চলমান আন্দোলনের তৃতীয় সপ্তাহের রবিবার ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তিন ঘন্টাবাপী অবস্থান করে স্মরকলিপির বিষয় গুলো সম্পর্কে আলোকপাত করেন। এবং স্মারকলিপি গুলোর অনুলিপি প্রদান করেন এছাড়াও চতুর্থ সপ্তাহের রবিবার সকাল ১১ টায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ১ ম গেট হতে ৪ নাম্বার গেটের সামনে অবস্থান কর্মসূচী পালন শেষে স্মারকলিপির অনুলিপি গুলো প্রদান করে বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠনের মাধ্যমে স্মারকলিপি ভুক্ত অভিযোগ গুলোর তদন্ত দাবী করে ৭১ দিনব্যাপী কাফনের কাপড় পরে অন্যায় অনিয়ম ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন এবং ৭১ দিনের মাথায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিস্থল জিয়ারত ও সাংবাদিক সম্মেলন এর মাধ্যমে আন্দোলনের পরবর্তী বিস্তারিত তুলে ধরবেন। আন্দোলনের ৪৭ তম দিন এ মাসের ২৬ সেপ্টেম্বর।
সাংবাদিক আশরাফুল ইসলাম জানান,বিগত সময়ে চারদলীয় ঐক্যজোট সরকারের সময় হতে এ পর্যন্ত অপশক্তি সাথে লড়াই করেছি। বর্তমান সময়ে নিজ দলের চাটার গোষ্টীর বিরুদ্ধে তাদের চলমান অন্যায় অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি যে কোন বিনিময়ে এই আন্দোলন সফল করবো ইন্নশাআল্লাহ। সরকার যেহেতু আমার নিরব ও একক সফল আন্দোলনের পর বর্তমান সময়ে সরকার উচ্চ পর্যায়ে অভিযান কার্যকর করছে আশা করা যায় যে এ অভিযান তৃণমুল পর্যায়ে শুরু হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।
উল্লেখ্য,আজ গোটা দেশে অন্যায় অনিয়ম দুর্নীতির বিষয় গুলো নিরবে বৈধতা পেয়েছে। এর ভাগ সকলের কাছে পৌছেছে। একারণে নিরব ভূমিকায় অনেকেই। আজ সাধারণ মানুষ সহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট উদার মনের মানুষ সেজে নিজ স্বার্থের উদারতা বাস্তবায়ন করেছে একটি চক্র। এই চক্রটি যেমন সংঘবদ্ধ তেমনি ছত্রভঙ্গ কারেও রয়েছে। এ যেন রক্তের মাঝে পয়েজন ঢোকানোর মতো অবস্থা গোটা দেহে ধরে গেছে তাই মুক্তি চাই, মুক্তি চাই চাটার গোষ্ঠী হাত হতে মুক্তি চায় জাতি। আর যদি এ সম্ভব না হয় তাহলে অন্যায় অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী সাংবাদিক আশরাফুল ইসলামের ফাঁসী চাই। প্রিয় পাঠক আপনারা কি বলেন কি চান এবং কি মনে করেন মন্তব্যে জানান। বিষয়টি শেয়ার করুন ।