লিয়াকত হোসাইন লায়ন,জামালপুর প্রতিনিধি।। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান
বলেছেন, সকল ধর্মের মানুষের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের মহান স্বাধীনতা। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের
বৈশিষ্ট্য সমুন্নত রাখতে সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী ২৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার
গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় পরিচালিত “ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা মূলক আন্তঃধর্মীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন ঘনিয়ে আসলেই একটি গোষ্ঠী ধর্মীয় উত্তেজনা তৈরি করে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে তৎপর হয়ে ওঠে। এ সকল গোষ্ঠী ধর্মের কল্যাণের চেয়ে নিজেদের হীন রাজনৈতিক স্বার্থ উদ্ধারে কাজ করে থাকে। এদের বিষয়ে সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ধর্মীয় ও নৈতিকতা শিক্ষার প্রসারের মাধ্যমে আগামী দিনের সু নাগরিক তৈরি করতে মসজিদ, মন্দির ও প্যাগোডা ভিত্তিক প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। উপাসনালয় ভিত্তিক এসব শিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে
দেশে ইতোমধ্যে লক্ষ লক্ষ শিশু শিক্ষা গ্রহন করেছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক রাস্ট্র। জাতির পিতা বাংলাদেশের সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা তথা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের মূলনীতি সন্নিবেশিত করে গেছেন।
গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আন্তঃ মন্ত্রণালয় সংলাপে আরও বক্তব্য রাখেন
ইসলামিক ফাউণ্ডেশন এর বোর্ড অব গভর্ণর্স এর গভর্ণর আল্লামা মুফতি রুহুল আমিন, “ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ করণ” শীর্ষক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আব্দুল্লাহ আল শাহীন,
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গোপালগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলী খান, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শেখ মোঃ রুহুল আমিন, গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রহমান,
বিশিষ্ট ইসলামি আলোচক ড. আব্দুল মোমেন সিরাজী প্রমুখ।
সংলাপে গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, নির্বাহী অফিসারবৃন্দ, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধিবৃন্দ, সরকারি কর্মকর্তাগণ, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যবৃন্দ, মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক প্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, সংস্কৃতি কর্মী, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণসহ গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রতিনিধিগণ অংশ গ্রহণ করেন। গোপালগঞ্জ জেলা সহ সারা বাংলাদেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি বৃদ্ধি ও সুসংহত করতে বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরেন।
এর পুর্বে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং দোয়া মোনাজাতে অংশ গ্রহণ এবং টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় নির্মানাধীন মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের বাস্তবায়ন কাজের অগ্রগতি ও কোটালী পাড়া উপজেলার মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করেন।