৫ আগস্ট সবকিছু এত সহজে যেই মানুষটার জন্য হল তার নাম হল জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। আপনি মানেন না মানেন, এই মানুষটা জাতিকে আরেকটা ধ্বংসের থেকে রক্ষা করেছেন।
সেদিনের হিসাব খুব সহজ ছিল। চারটি রাস্তা খোলা ছিল ওনার কাছে।
১. হাসিনার কথায় সম্মত হয়ে আরো র*ক্তপাত করানো।
২. সেনা শাসন জারি করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী – জনতাকে সেনাবাহিনীর মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেওয়া।
৩. হাসিনাকে গ্রেফতার করে শিক্ষার্থীদের আওয়ামী সন্ত্রা*সীদের মুখোমুখি করে দেশে গৃহযুদ্ধ সৃষ্টি করা এবং পাকাপোক্তভাবে সামরিক আইন জারি করা।
৪. শেখ হাসিনাকে দেশত্যাগে বাধ্য করে আওয়ামী সন্ত্রা*সীদের মনোবল ভেঙে দিয়ে দেশে শান্তি বজায় রাখা।
এবং তিনি চতুর্থ রাস্তাটি বেছে নিলেন এবং ফলাফল আপনাদের সামনে।
চাকরিচ্যুত হওয়া জেনারেলরা ওনাকে জোর করেছিল ১ ও ২ নম্বরটির একটি করতে এবং এটাই কারণ যে জাতির উদ্দেশ্যে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এর ভাষণ বারবার পিছাচ্ছিল। বিশেষকরে লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুজিবুর রহমান ও মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান এই চাপাচাপির মুখ্য নায়ক। আর তাদের সাথে ছিল তৎকালীন এনএসআই মহাপরিচালক, সেনাসদরের কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল (কিউএমজি) এবং এসএসএফ মহাপরিচালক। কিন্তু কোনো চাপের কাছে নত না হয়ে, সামরিক আইন জারি না করে, শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিলেন, এবং বর্তমান সরকারের প্রতি সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন।
যাইহোক, সদ্য আসীন জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এর জন্য এই সিদ্ধান্ত মোটেও সহজ ছিল না। একমাসের একটু বেশি কিছুদিন হয় উনি সেনা প্রধান হন। অন্যান্য জেনারেলদের সহযোগিতা পাওয়া না পাওয়াও আরেকটি মূখ্য বিষয় ছিল, যা তিনি পেয়েছেন। অন্যদিকে জুনিয়র অফিসাররাও সেনা প্রধানের নিকট নিজের ইচ্ছা পোষণ করেন, এবং জোর দাবি করেন এসব রক্তপাত বন্ধে উদ্যোগ নিতে, কিন্তু সে সময় রক্ত পিপাসু স্বৈরশাসক হাসিনা তখনও ক্ষমতায়। মোট কথা এই বিষয়গুলো জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এর জন্য সহজ ছিল না। কিন্তু আল্লাহ্ তার দ্বারা এটি করিয়ে নিয়েছেন। এজন্য আমরা তাকে ধন্যবাদ জানাই। আপনি এই বিপ্লবের অন্যতম মহানায়ক।
একবার কল্পনা করেন, জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এর জায়গায় জেনারেল আজিজ থাকলে জিনিসগুলো কেমন হত!!