যেহেতু, আপনার বাবা নেই তাই এটা পরকীয়া নয়। প্রশ্নের সাথে নিজেকে রিলেট করতে পারছি, আমার কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি,আশা করি উত্তর পেয়ে যাবেন।
আমার বেস্ট ফ্রেন্ড এর বাবা মারা যান যখন আমরা ক্লাস সেভেন এ পড়ি। আমি ওদের বাসায় প্রায়ই যেতাম। বন্ধুর মাকে আন্টি বলে ডাকতাম এবং সম্মানের চোখেই দেখতাম, উনিও আমাকে অনেক স্নেহ করতেন। এক পর্যায়ে আমাদের মধ্যে অনেক ভালো বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। আমার বন্ধু বাসায় না থাকলেও আমি আন্টির সাথে গল্প করতাম। তিনি আমার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন আর আমিও। বন্ধুর আগোচরে আমাদের মধ্যে যে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল তা পরবর্তীতে বন্ধুও কিছুটা টের পেয়েছিল।যদিও সে আমাকে সরাসরি কিছুই বলেনি,তবে আমি ওর আচরণে বুঝেছিলাম। ফলে আমি ওদের বাড়িতে যাওয়াও কমিয়ে দেই। মূলত, আমি ওর বাসায় না থাকা সত্ত্বেও ওদের বাড়িতে থাকা এবং আন্টির বিছানার চাদর অগোছালো দেখার ফলেই ও আমাদের সন্দেহ করেছিল।
যাইহোক, আমার সেই বন্ধু আমাকে সরাসরি তেমন কিছুই না বললেও অন্য বন্ধুদের কাছে আমার নামে এটা ওটা বিভিন্ন মিথ্যাচার করতো, এসব কারণে ওর সাথে এবং অন্যান্য কিছু বন্ধুদের সাথে সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল। আমরা তখন ক্লাস নাইন এ পড়ি, ও অন্য শহরে একটা স্কুলে ভর্তি হয় এবং ওর মাকে নিয়ে সেখানে চলে যায়। যেদিন ওরা সেই শহরে চলে যাচ্ছিল সেদিন বন্ধুর সাথে কোনও কথাই বলেছিলাম না, ও শুধু বলেছিল গেলাম তবে আন্টির সাথে সেদিনও বেশ কিছুক্ষণ হাসিমুখেই কথা বলে ছিলাম। অনেক বছর কেটে গেছে, মাঝে মাঝে আমাদের দেখা হয়, আমরা স্বাভাবিক ভাবেই কুশল বিনিময় করি, সব কিছু সময়ের সাথে অনেক বদলে গেছে। আপনার বোঝা উচিত আপনার আম্মুর চাহিদা সম্পর্কে। আপনার মায়ের সাথে বন্ধুর সম্পর্ক থাকতেই পারে তবে তাদের বিয়ে দিতে চাইলে তারা হয়তো রাজি হবে না। যেহেতু আপনার বাবা নেই, তাই উনি হয়তো একাকীত্ব বোধ করেন। আর ছেলের সাথে তো আর সব কিছুই শেয়ার করা যায় না, তাই আপনার বন্ধুর সাথেই। এছাড়াও একটা বয়সের পর মানুষের অল্প বয়সীদের ভাল লাগে এবং নিজেও তাদের মত আচরণ করতে পছন্দ করেন একে মিড লাইফ ক্রাইসিস বলে। আর তরুণদের একটু বয়সে বড়দের প্রতি আকর্ষণ অনুভব হয়। সময়ের সাথে এমনই সব ঠিক হয়ে যাওয়ার কথা। আশা করছি, আপনি আপনার মা এবং বন্ধুকে কষ্ট দিবেন না।