আমি হাজার ব্যস্ত থাকলেও সপ্তাহের ১ টা দিন আমি অন্তত ওদেরকে বাহিরে খেতে নিয়ে যাই।

গতকাল দুপুরের কথা বলছি, আমার বাবুদেরকে লাঞ্চে বাহিরে নিয়ে যাব। আমি হাজার ব্যস্ত থাকলেও সপ্তাহের ১ টা দিন আমি অন্তত ওদেরকে বাহিরে খেতে নিয়ে যাই। আমার বড় দুই মেয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারছিল নাহ কই খেতে যাবে। আমি বললাম পিজ্জা ইনে চল। রিয়ানা খেলতেও পারবে আবার খাওয়াও ভাল। রিয়ানা পিজ্জা ইন এত পছন্দ করে অথচ কালকে সে না না বলে কান্নাকাটি করে সেইদিন গেল না। উল্টাদিকের বুমার্সে আমরা খেলাম। খাবার ভাল না লাগায় আমার বড় দুই বেটি আমার ছোট বেটিকে হালকা ঝাড়তে ছিল।

বাসায় ফিরে আমি আমার অফিসিয়াল কাজে ব্যস্ত হয়ে যাই। রাতের দিকে আমি যখন ডিনার খেতে বসেছিলাম তখন প্রথম বাহিরে চিৎকার, হট্টগোল শুনি। কিছু বুঝার আগেই দেখলাম যেখানে পিজ্জা ইন সেই পিজ্জা ইনের ব্লিডিংটা পুড়ছে…! কাছে থেকে এইভাবে পুড়ে যাওয়া দেখে আমার বড় দুই মেয়ে + মা সবাই কান্না করছিল। কারন এইখানের অলমোস্ট সবগুলা রেস্টুরেন্টে আমরা খেতে যাই। আমাদের ১২ বছরের বিবাহ বার্ষিকীর অনুষ্ঠান এই কাচ্চি ভাইয়ে হয়েছিল। আর পিজ্জা ইন, স্ট্রিট ওভেন, হাক্কা ঢাকাতে আমরা সব সময় খাবার খাই। কষ্টে দম বন্ধ হয়ে আসছিল আমার। দুপুরে যেখামে যাবার ছিল সেখানে রাতে আগুন।

মৃত্যু আমাদের চারপাশে ঘুরছে…! আমরা সেটা দেখি নাহ, বুঝার মতন বুঝও রাখি নাহ। যারা না ফেরার দেশে চলে গেছেন, আল্লাহ তালা তাদের সবাইকে জান্নাত নাসিব করুন। চেনা জানা অনেক মানুষ চলে আসছে এই না ফেরার দেশের মানুষের তালিকাতে।

~ummaha mostofa

আল্লাহ সকলকে জান্নাতবাসী করুক আমিন

Exit mobile version