এম,ডি রেজওয়ান আলী বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি-নির্বাচনের ষষ্ঠ ধাপে উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ (৮ মে) বিরামপুর উপজেলা নির্বাচনে মাঠ পর্যায় পর্যবেক্ষণে জানা যায়,বিরামপুর উপজেলায় ১টি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়ন পরিষদে একযোগে ভোট গ্রহণ সকাল ৮ ঘটিকায় আরম্ভ হয়ে বিরতিহীন ভাবে একটানা বৈকাল ৪টা পর্যন্ত চলে। ভোট চলাকালে তেমন কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে নাই। সুন্দর ভাবে মনোরম পরিবেশে ভোটার গন তাদের ভোট কেন্দ্রে এসে নির্বিগ্নে ভোট প্রদান করেন। ভোট গ্রহণ আরম্ভের প্রথম প্রহরে ভোটার গনের উপস্থিতি কম ছিল তবে বেলা ও সময় বাড়ার সাথে সাথে চিত্র পাল্টে যায়।
আসন্ন এই নির্বাচনে বিরামপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান,ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানসহ ১১জন প্রার্থীর মধ্যে ভোট যুদ্ধ হয়েছে। এই উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৪৯ হাজার ৩৪৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭৪ হাজার ৫৪৮ আর নারী ভোটার ৭৪ হাজার ৭৯৫ জন ও হিজড়া ভোটার রয়েছেন ৪ জন। এবারে বিরামপুর উপজেলা নির্বাচনে হেভিওয়েটের ২জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করেছেন। এদের মধ্যে আনারস র্মাকা নিয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন কৃষকলীগ নেতা আলহাজ্ব হাফেজ মো.মতিউর রহমান ও ঘোড়া র্মাকা নিয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো.পারভেজ কবীর। ঘোড়া প্রতীক ৪২,৯৬৭ বিয়াল্লিশ হাজার নয়শত সাত ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাফেজ মতিউর রহমান আনারস প্রতীক ৩২,৮০৭ বত্রিশ হাজার আটশত সাত ভোট পেয়েছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান চশমা প্রতীক নিয়ে ৩২,৬১৫ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী খোরশেদ আলম টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে ১৭,১৮৩ ভোট পেয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী মেজবাউল ইসলাম সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান টিয়াপাখি প্রতীক নিয়ে ১১,৭৭৭ ভোট পেয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী সাহেদ আলী সরকার তালা প্রতীক নিয়ে ২৫৯২ ভোট পেয়েছেন।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান
উম্মে কুলসুম বানু হাস প্রতীক নিয়ে ২৯,৮০৭ ভোট পেয়ে বেসরকারি নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোছাঃ আমেনা বেগম বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক নিয়ে ২২,৪২৩ ভোট পেয়েছেন। খাদিজা বেগম ইতি কলস প্রতীক নিয়ে ৪,০০১ ভোট ও রেবেকা সুলতানা ফুটবল প্রতীক নিয়ে ১৭,২০০ ভোট পেয়েছেন।।