এবার গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সুপারিশ

পাইকারি পর্যায়ের পর এবার গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সুপারিশ করা হয়েছে। বিদ্যুতের দাম ১৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ বৃদ্ধির সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এই সুপারিশ কার্যকর হলে ইউনিট প্রতি বিদ্যুতের দাম বেড়ে যাবে ১ টাকা ২১ পয়সা।

রোববার (০৮ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশনের শহীদ এ কে এম শামসুল হক খান অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত দুই দিন ব্যাপী গণশুনানির প্রথম দিনে এই সুপারিশ উত্থাপন করা হয়।

শুনানির বিষয়ে ৬০ কর্মদিবসের মধ্যে বিদ্যুতের দামের ওপর আদেশ ঘোষণা করবে বিইআরসি।

গণশুনানিতে বিইআরসির কারিগরি কমিটি প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুতের খুচরা মূল্য ১ টাকা ২১ পয়সা বৃদ্ধির সুপারিশ করেছে।বিদ্যুতের বিদ্যমান গড়মূল্য ৭ টাকা ০২ পয়সা। প্রস্তাব বিশ্লেষণ করে বিইআরসি তা গড় মূল্য ৮ টাকা ২৩ পয়সা নির্ধারণের সুপারিশ করেছে।

ভর্তুকির ভার কমাতে গত বছরের ২১ নভেম্বর পাইকারিতে বিদ্যুতের দাম ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিইআরসি।এর ফলে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলোর কাছে বিক্রি করছে ৬ টাকা ২০ পয়সা, যা আগে ৫ টাকা ১৭ পয়সা ছিল।

এরপর বিদ্যুতের খুচরা দাম বৃদ্ধির আবেদন করে বিদ্যুৎউন্নয়ন বোর্ডসহ ছয়টি প্রতিষ্ঠান।

এছাড়া, এই গণশনানিতে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের (পিজিসিবি) বিদ্যুতের সঞ্চালন ট্যারিফ পুনর্নির্ধারণের প্রস্তাব নিয়ে আগামীকাল পর্যন্ত শুনানি চলবে।

এদিকে অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে এই  মুহূর্তে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলে এর প্রভাব সাধারণ মানুষের ওপর পরবে বলে মনে করছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ নিয়ে কাজ করা সংগঠন কনজুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশে (ক্যাব)।

ক্যাব মনে করছে, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি বাজারে সব পণ্যের দাম আরেক দফা বেড়ে যাবে। যেটা সাধারণ বা নিম্মআয়ের মানুষের আয়সীমা ছাড়িয়ে যাবে। তাই এই মুহূর্তে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত উচিত হবে না বলে মনে করেন সংগঠনটি।

Exit mobile version