কক্সবাজারে লাখো পর্যটকের ভিড়

কক্সবাজার: একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। আজ বুধবার সরকারি ছুটির দিনে কক্সবাজারে লাখো পর্যটকের সমাগম ঘটেছে। সমুদ্রসৈকতে নিরাপত্তায় নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।

একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ছুটি আজ, বৃহস্পতিবার এক দিন খোলা থাকলেও শুক্রবার ও শনিবার থাকছে সাপ্তাহিক ছুটি। এই সুযোগে চাকরিজীবীরা মাঝখানে এক দিন দিনের ছুটি নিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে ছুটে এসেছেন কক্সবাজারে। সৈকতে আনন্দে মেতেছেন তারা।

সমুদ্রসৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে ঢাকা থেকে আসা পর্যটক মাহমুদ, রাইসা, পিয়াল ও কারিশমা জানান, আগামীকাল বৃহস্পতিবার এক দিন ছুটি নিয়ে তারা সবাই গ্রুপ বেঁধে কক্সবাজারে এসেছেন। একসঙ্গে সহজে সবার ছুটি হয় না। এবার তারা ছুটি পেয়ে খুব আনন্দের সময় পার করছেন।

খুলনার ডুমুরিয়া থেকে আসা দম্পতি রেশমি ও নাহিয়ান বলেন, ‘অনেক দিন প্ল্যান করে এবার কক্সবাজার আসলাম। বিয়ের পর প্রথম আসা। সুতরাং অনেক মজা হচ্ছে।’

সৈকতের লাবনী পয়েন্টে সিলেটের ঝকিগঞ্জে থেকে আসা পর্যটক কামাল হোসেন বলেন, ‘সমুদ্রসৈকতে এসে গোসল করার মজাটাই আলাদা। যখন সময় পাই তখন ছুটে আসি।’

কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ বলেন, ‘এবারে অনেক পর্যটক এসেছে। আমাদের ব্যবসা ভালো হচ্ছে। আমরা চাই সারা বছর যেন এভাবেই পর্যটক থাকে।’

রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতির সহসভাপতি কাশেম আলী বলেন, ‘অনেকদিন পর রেস্টুরেন্টগুলোতে বিক্রি হচ্ছে ভালোভাবে। আমরা সব সময় পর্যটকদের মানসম্মত খাবার দেওয়ার চেষ্টা করি।’

 

হোটেল দ্য কক্স টুডের জি এম আবু তালেব শাহ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের এই ছুটির বুকিংগুলো অনেক আগে হয়ে গেছে। আমাদের পুরো হোটেল আগে থেকে বুকিং।’

টুয়াকের সভাপতি তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘এবার কক্সবাজারে বিপুল পর্যটক এসেছে। তবে সারা বছর যেন এই পর্যটক ধরে রাখা যায়। সাথে সাথে বিদেশি পর্যটকদের কীভাবে আকৃষ্ট করা যায়, সে ব্যবস্থা করতে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।’

টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রেজিওনের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, ‘কক্সবাজারে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে টুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছে। পর্যটক বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের টহল টিমও বাড়িয়ে দেওয়া হয়।’

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, ‘আগত পর্যটকদের হয়রানিরোধে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের তিনটি টিম সমুদ্রসৈকত ও আশপাশের এলাকায় কাজ করছে। পর্যটকরা হয়রানির শিকার হলে তারা যেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের কাছে অভিযোগ করেন। পর্যটকদের হয়রানিকারীকে কোনোভাবে ছাড় দেওয়া হবে না।’

Exit mobile version