সোমবার, ১২ এপ্রিল ২০২১, ০৩:১৬ পূর্বাহ্ন
আলিফ হোসেন, তানোর
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কাঁকনহাট পৌরসভায় চলতি মৌসুমে নীতিমালা অনুযায়ী ও লট্রারির মাধ্যমে স্বচ্ছ পক্রিয়ায় প্রকৃত কৃষকদের কাছে থেকে ধান ও চুক্তিবদ্ধ চালকল মালিকদের কাছে থেকে চাল ক্রয় দ্রুত গতিয়ে এগিয়ে চলেছে। স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধূরী ও তার প্রতিনিধি উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের অনিয়ম-দূর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারি ও অবস্থান রয়েছে। ফলে এবার ধান ও চাল ক্রয়ে অনিয়ম-দূর্নীতি বা সিন্ডিকেটের কোনো সুযোগ নাই, কেবলমাত্র প্রকৃত কৃষক ধান ও চুক্তিবদ্ধ চালকল মালিকগণ খাদ্যশস্য সরকারী ক্রয়কেন্দ্রে বিক্রি বা সরবরাহ করতে পারছেন। গোদাগাড়ী উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা (টিসিএফ) জামাল উদ্দিন, কাঁকনহাট গুদাম কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) আতাউর রহমান স্বশরীরে উপস্থিত থেকে প্রতিটি বস্তার ধান ও চাল পর্যবেক্ষণ করার পরেই কেবলমাত্র খাদ্যগুদামে নেয়া হচ্ছে। ফলে অনিয়ম-দূর্নীতি বা নিম্নমাণের খাদ্যশস্য ক্রয়ের কোনো সুযোগ নাই। অথচ একটি বিশেষ গোষ্ঠি অনৈতিক সুবিধা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে সরকারের ভাবমূর্তিক্ষুন্ন করতে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান নিয়ে পরিকল্পিত ভাবে মিথ্যাচার করেছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। জানা গেছে, চলতি মৌসুমে লট্রারির মাধ্যমে কৃষক নির্বাচন করে অনলাইনে তালিকা প্রকাশ ও সংশ্লিস্ট কৃষকের নিজ নামে ১০ টাকার ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করা হচ্ছে। ফলে প্রকৃত কৃষকগণ কেবলমাত্র সরকারি ক্রয়কেন্দ্রে সরাসরি ধান সরবরাহ করতে পেরেছেন। এতে করে এবার সরকারি ক্রয়কেন্দ্রে ধান সরবরাহ করে কৃষকরা ধানের নায্য মূল্য পাচ্ছেন। আর কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসলের নায্য মূল্য পাওয়ায় তাদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃস্টি হয়েছে। কাঁকনহাট পৌর এলাকার কৃষক তহীদুল ইসলাম, রাকিবুল ইসলাম ও মুনসুর রহমান বলেন, এবার ফড়িয়া ও দালাল ছাড়াই সরকার নির্ধারিত মূল্য তারা সরাসরি সরকারি ক্রয় কেন্দ্রে ধান সরবরাহ করতে পেরেছেন। এতে এবার ধান চাষ করে তারা লাভবান হয়েছেন।
সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কাঁকনহাট সরকারি ক্রয়কেন্দ্রে (খাদ্যগুদাম) লট্রারির মাধ্যমে নির্বাচিত কৃষকের কাছে থেকে সরাসরি প্রতি কেজি ধান ২৬ দরে ৮৪০ মেট্রিক টন ধান ও ১৮টি চুক্তিবদ্ধ চালকল মালিকের কাছে থেকে ৯৩০ মেট্রিকটন চাল ক্রয় করা হবে। বিগত ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে ক্রয় অভিযান শুরু হয়েছে আগামী ২৮ ফেব্ররুয়ারি ক্রয় অভিযান সম্পন্ন হবে। এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা (টিসিএফ) জামাল উদ্দিন বলেন, চলতি মৌসুমে ধান-চাল ক্রয়ে সিন্ডিকেট বা অনিয়ম-দূর্নীতির কোনো সুযোগ নাই। তিনি বলেন, কেবলমাত্র লট্রারিতে বিজয়ী কৃষকদের কাছে থেকে ধান ও চুক্তিবদ্ধ চালকল মালিকের কাছে থেকে চাল ক্রয় করা হচ্ছে। এবিষয়ে কাঁকনহাট সরকারী খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) আতাউর রহমান বলেন, এবার ধান-চাল ক্রয় অভিযানে অনিয়ম-দূর্নীতির বিরুদ্ধে মাননীয় এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয়ের কঠোর নির্দেশনা রয়েছে এমনকি তারা বিষয়টি নিয়মিত তদারকি করছেন তায় শর্ত পুরুণ ব্যতিত কোনো ধান বা চাল গুদামে নেয়া হয়নি আর অনিয়ম-দূর্নীতির তো প্রশ্নই উঠে না। #