রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের বারোমাসিয়া নদীর ওপর এলাকাবাসীর উদ্যোগে নির্মিত বাঁশের সাঁকো গত বন্যার পানির তোড়ে ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। সাঁকো ভেঙে যাওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষ। প্রায় দুই মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও সাঁকোটি মেরামতের উদ্যোগ না নেওয়ায় সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী। উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিম ফুলমতি ওয়ার্ডের ইন্তুর ঘাট এলাকায় নির্মিত প্রায় ২০০ ফুট দীর্ঘ বাশের সাঁকো দিয়ে ধরলা ও বারোমাসিয়া নদীর তীরবর্তী প্রায় ১০ গ্রামের মানুষের চলাচল। শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে যাতায়ত, গ্রামবাসীর হাটবাজার যাওয়া আসা, জরুরি চিকিৎসাসেবা গ্রহণ, কৃষিপণ্য ক্রয় বিক্রয়সহ সবকিছুতেই নির্ভর করতে হয় সাঁকোটির ওপর। গত বন্যায় পানির তোড়ে সাঁকো ভেঙে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছে তারা। বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় পারাপার করতে হচ্ছে। এলাকার নুর হোসেন, সাহার আলী ও মজিবর রহমান বলেন, প্রতিবছর স্থানীয়ভাবে বাঁশ টাকা সংগ্রহ করে সাঁকোটি মেরামত করে চলাচল করা হয়। চলতি বছর বন্যায় সাঁকোর বিরাট অংশ ভেঙে যাওয়ায় স্থানীয়ভাবে মেরামত সম্ভব হচ্ছে না। সাঁকো মেরামতে ইউনিয়ন পরিষদ বা উপজেলা পরিষদের হস্তক্ষেপ কামনা করছে। একই এলাকার খলিলুর রহমান বলেন, জমিতে ছিটানোর জন্য নৌকায় করে তিন বস্তা সার নিয়ে চরে যাওয়ার সময় নৌকা থেকে সারের বস্তা নদীতে পড়ে যায়। সাঁকো থাকলে এ ধরণের ক্ষতি হতো না। নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাছেন আলী বলেন, সাঁকো সংস্কারে ইউনিয়ন পরিষদের কোনো বরাদ্দ নাই। ব্যক্তিগত উদ্যোগে এবং এলাকাবাসীর সহায়তায় সাঁকোটি মেরামত করা হবে। ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিব্বির আহমেদ বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে সাঁকোটি মেরামত করার ব্যবস্থা করা হবে।