রবিবার, ১১ এপ্রিল ২০২১, ০৭:১৮ পূর্বাহ্ন
এ মাসের শেষে শৈত্য প্রবাহের আশংকা: শীতজনিত রোগী বাড়ছে
আনোয়ার হোসেন,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : তারিখ-১৯.১২.১৯ইং
কুড়িগ্রামে গত এক সপ্তাহ যাবত প্রচন্ড শীত জেঁকে বসেছে। বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত এ শীতের প্রভাব ক্রমে আরো বেড়েই চলছে। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে আছে গোটা জনপদ। প্রতিদিনই দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা মিলছেনা। কুয়াশার কারনে যানচলাচলেও ব্যাঘাত ঘটছে প্রতিনিয়ত। অনেকেই দিনের বেলায়ও গাড়িতে হেড লাইট জ্বালিয়ে রাস্তায় চলাচল করছে। দুপুর পর্যন্ত সুর্যের মুখ দেখা যায়না কিন্তু বিকেল হলে পুরো জনপদে তাপমাত্রা কমতে থাকে। ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় কুড়িগ্রামের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। নেমে এসেছে জনজীবনে স্থবিরতা। সন্ধ্যে থেকে রাতভর পর্যন্ত টিপটপ করে বৃষ্টির ন্যায় কুয়াশা পড়তে থাকে। সকাল পেরিয়ে দুপুর গড়িয়েও শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে। জেলার সাড়ে ৪শতাধিক চরাঞ্চলসহ নদীতীরবর্তী এলাকার মানুষগুলো শীতের ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছে। শীতবস্ত্রের অভাব গরিব ও নি¤œ শ্রেণির মানুষের মধ্যে বেশি। অনেকেই শীত নিবারণে আগুন জ্বালিয়ে তা প্রতিহত করার চেষ্টা করছেন। এখানকার খেটে খাওয়া নি¤œ আয়ের মানুষগুলো অত্যধিক ঠান্ডার কারনে কাজে যেতে না পারায় পড়েছে চরম বিপাকে। বিশেষ করে শীতকষ্টে বেশি অসুবিধায় পড়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। তবে এ তাপমাত্রা আরো কমবে বলে জানান আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র। এদিকে, শীতের কারণে জেলা সদর হাসপাতালসহ ৯ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রসমুহে শীতজনিত রোগী ভর্তি হচ্ছে প্রতিদিন। বিশেষ করে শিশুরা অত্যধিক ঠান্ডার কারণে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বেশী। গত ৩দিনে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ২৭ জন শিশুসহ ৩১ জন ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগী ভর্তি হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৬ জন ডায়রিয়া ও ৩ জন নিউমোনিয়া রোগী ভর্তি হয়েছে। কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. জাকিরুল ইসলাম জানান, শীতজনিত রোগের প্রকোপ ব্যাপক আকারে দেখা দেয়নি। ডায়রিয়া ও নিমউমোনিয়াসহ শীতজনিত রোগের সৃুচিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোছা: সুলতানা পারভীন জানান, ইতোমধ্যেই মন্ত্রণালয় থেকে বেশ কিছু শীতবস্ত্র আমরা পেয়েছি এবং তা দ্রুততম সময়েই শীতার্ত মানুষরা পাবেন। শীতে আরো গরম কাপড়ের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।