টিম ম্যানেজমেন্টের এ সংলাপগুলো ভক্ত ও সমর্থকদের মনে আশার সঞ্চার করেছিল। ভক্তরা আশায় বুক বেঁধেছিলেন আমাদের তাসকিন, মোস্তাফিজ , শরিফুল ও হাসান মাহমুদরা বিশ্বকাপের মাঠে বোলিং কারিশমা দেখাবেন এবং সাফল্য উপহার দেবেন।
কিন্তু একজন ছিলেন তার ব্যতিক্রম। তিনি সারোয়ার ইমরান। জাতীয় দলের এই সাবেক প্রধান কোচই একমাত্র ব্যক্তি যিনি উল্টো মন্তব্য করেছিলেন। বিশ্বকাপের আগে জাগো নিউজের সাথে আলাপে সাবেক পেসার ও দেশের অন্যতম বয়োজেষ্ঠ, অভিজ্ঞ ও কুশলী প্রশিক্ষক বলেই দিয়েছিলেন- বাংলাদেশের পেসারদের বিশ্বকাপে ভালো করার সম্ভাবনা কম।
সারোয়ার ইমরান আরও বলেছিলেন, আমাদের পেসারদের জন্য এবারের বিশ্বকাপটা হবে বেশ কঠিন। ভারতের ব্যাটিং বান্ধব পিচে তাসকিন, মোস্তাফিজ, শরিফুল ও হাসান মাহমুদদের অগ্নি পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে। রীতিমত ‘অ্যাসিড টেস্ট’ দিতে হবে।
বাস্তবে হয়েছেও তাই। শুধু পেসাররাই নন, বাংলাদেশের একজন বোলারও সে অর্থে বিশ্বকাপে ভালো বোলিং করতে পারেনি। ব্যাটিং বান্ধব পিচে প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের উত্তাল উইলোবাজির মুখে স্পিনাররাও খেই হারিয়ে ফেলেছেন।
যে বিশ্বকাপে ভারতের পেসার মোহাম্মদ শামি ৬ ম্যাচে ২৩ উইকেট, অস্ট্রেলিয়ার লেগস্পিনার অ্যাডাম জাম্পা ১০ ম্যাচে ২২ উইকেট), শ্রীলঙ্কার ফাস্টবোলার মাধুসাঙ্কা (৯ ম্যাচে ২১), দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার কোয়েতজি (৮ ম্যাচে ২০), ভারতের ফাস্টবোলার জাসপ্রিত বুমরাহ (১০ ম্যাচে ১৮), পাকিস্তানের শাহিন শাহ আফ্রিদি (৯ খেলায় ১৮), দক্ষিণ আফ্রিকার জানসেন (৯ খেলায় ১৭) ও ডাচ মিডিয়াম পেসার টিম ডি লিডেরা (৯ ম্যাচে ১৬) ধারাবাহিকভাবে ভালো ও সমীহ জাগানো বোলিং করে সাফল্য পেয়েছেন, সেখানে বাংলাদেশের বোলাররা ব্যর্থতার ঘানি টেনেছেন।
কি পেসার কিংবা স্পিনার কেউ সুবিধা করতে পারেননি। অফস্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ আর বাঁহাতি ফাস্টবোলার শরিফুল ইসলাম সমানভাবে ১০ উইকেট শিকারি। এছাড়া অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ৭ ম্যাচে ৯, পেসার তাসকিন আহমেদ ৭ ম্যাচে ৫, মোস্তাফিজুর রহমান ৮ ম্যাচে ৫ , হাসান মাহমুদ ২ ম্যাচে ৩, তানজিম সাকিব (১ ম্যাচে ৩) এবং অফস্পিনার শেখ মাহদি ৩ ম্যাচে ৬ আর বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ ৩ ম্যাচে উইকেটশূন্য।