রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধি: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ বাজার এলাকার চলাচলের প্রধান রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। পাকা রাস্তাটি মাটির আস্তরণে ঢাকা পড়ায় এবং পাশের বাড়িঘরের তুলনায় রাস্তাটি নিচু হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় পথচারীদের। পাকা রাস্তার উপর এক থেকে দেড় ফুট মাটি ও কাদার আস্তরণের কারণে দু’টি ইউনিয়নের ১০ গ্রামের মানুষকে দীর্ঘদিন ধরে নানামুখী বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান এলাকাবাসী গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা শহর থেকে সাত কিলোমিটার দূরে সাপমারা ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ গ্রামটি ঐতিহাসিক ও বাণিজ্যিকসহ বিভিন্ন কারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। করতোয়া নদীর তীরে গড়ে উঠা এ গ্রামে রয়েছে একটি বাজার, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, পাঠাগার ছাড়াও রয়েছে সাহেবগঞ্জ খেয়াঘাট। দরবস্ত ও সাপমারা ইউনিয়নের ১০টি গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করে। সাহেবগঞ্জ খেয়াঘাট থেকে সাহেবগঞ্জ বাজার পর্যন্ত পাকা রাস্তাটির দু’পাশের বাড়িঘর উঁচু করে নির্মাণ করায় রাস্তটি নিচু হয়ে যায়। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই পাকা রাস্তাটি পানি ও কাদা মাটিতে ঢাকা পড়ে যায়। ইউনিয়ন পরিষদপরিকল্পনা ছাড়াই পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণ করা হলেও কোন কাজে আসেনি। গোশাইপুর গ্রামের আব্দুস সালাম বলেন, রাস্তার দুই পাশে বাড়ী ঘর উঁচু করে নির্মাণ করায় রাস্তাটি আগের তুলনায় অনেক নিচু হয়েছে। পাশের বাড়ী ঘরের পানি, বর্জ্য ও মাটি এসে কাদায় ঢেকে গেছে পাকা রাস্তাটি। সাহেবগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পার্থ কুমার মোহন্ত বলেন, বিদ্যালয়ে যাতায়াতের সময় মাঝে মধ্যেই পিছলে পড়ে জামা-কাপড় বই-খাতা নষ্ট হচ্ছে। সাপমারা ইউপি চেয়ারম্যান শাকিল আকন্দ বুলবুল বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দ মোতাবেক স্থানীয় চাহিদা মোতাবেক ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে। অর্থ সংকটে তা পুরোপুরি স¤পন্ন করা সম্ভব হয়নি। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ প্রধান বলেন, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থাসহ প্রয়োজনীয় সংস্কার করা হবে।