রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধি: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা শীতকালীন সবজি চাষের জন্য বিখ্যাত। শীত মৌসুমে গাইবান্ধায় উৎপাদিত শাক-সবজির বিশাল একটি অংশ চাষ হয় এ অঞ্চলে। বাণিজ্যিকভাবে উন্নতজাতের শীতকালীন সবজি চাষ করেন গোবিন্দগঞ্জের চাষিরা। বেশি লাভের আশায় মৌসুমের আগেই আগাম সবজির চাষ করেন অনেকে। এ অঞ্চলের বিস্তীর্ণ কৃষিজমিতে চলতি মৌসুমে শাক-সবজি চাষের ধুম পড়েছে। আগাম শীত কালীন সবজির ভালো দামে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। ফসলের মাঠগুলোতে এখন নানা সবজির সমারোহ। শিম, ফুলকপিসহ হরেক রকম শীত কালীন সবজিতে হেসে উঠেছে ফসলের মাঠ। বিভিন্ন জাতের আগাম শীত কালীন শাক-সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকগণ। ইতোমধ্যে শীতের আগাম সবজি মূলা, কপি, বরবটিসহ আরও কিছু শীত কালীন সবজি বাজারে উঠছে। বাজারে চাহিদা থাকায় ভালো দাম পেয়ে খুশি কৃষকরা। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় চলতি মৌসুমে ১ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে শীত কালীন শাক-সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় ৮০০ হেক্টর জমিতে আগাম সবজি চাষ করা হয়েছে। মাঠে মাঠে শোভা পাচ্ছে লাল-সবুজ বেগুন, মূলা, কপি, ঢেঁড়সসহ বিভিন্ন সবজি। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ রেজা-ই-মাহমুদ বলেন, উপজেলার কৃষকরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে মাঠে আমন ধানের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের আগাম শীত কালীন শাক-সবজি লাল শাক, মূলা, ঢেঁড়স, পুইশাক, পালংশাক, কপি, শিম, বেগুন চাষ করছে। আগাম সবজি চাষে বাজারমূল্য ভালো পাওয়ায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ কৃষকদের উৎসাহ ও সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি সরকারি কৃষি প্রণোদনার আওতায় প্রায় সাড়ে ১১শত কৃষকের মাঝে স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন সবজির বীজ ও সার বিতরণ করা হচ্ছে। এসব বীজে সবজি চাষ করে কৃষকরা তাদের পরিবারের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বাজারে বিক্রয় করে লাভবান হচ্ছে। জায়েদ আলী বলেন, ৬০ শতাংশ জমিতে মূলা ও লাল শাক চাষ করেন। শুরুতেই প্রতি মণ মূলা এক হাজার থেকে ১২শ টাকা দরে বিক্রয় করেছেন। বর্তমান বিক্রয় হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়। প্রতি মণ পটল ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা ও প্রতি মণ ফুলকপি ১৩ শত টাকায় বিক্রয় করা হচ্ছে।