আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট অচলাবস্থা দূর করতে ফের জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। রাজ্য সরকার এটিকে ‘আলোচনার জন্য পঞ্চম ও শেষ চেষ্টা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
এর আগের দু’টি বৈঠক (শনিবার) ভেস্তে যায়। কারণ এই প্রক্রিয়া সরাসরি সম্প্রচার করা হবে নাকি ভিডিও করা হবে, তা নিয়ে উভয় পক্ষ ঐকমত্যে আসতে পারেনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার জানায়, সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে এ বৈঠক শুরু হয়। এর আগে ৬টা ২০ নাগাদ প্রায় ৩০ জন চিকিৎসকের একটি দল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে যান। বিকেল ৫টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ বৈঠক শুরু হয়।
দেড় ঘণ্টার বৈঠকে পাঁচ দফা দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে স্মারকলিপি তুলে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসকদের বৈঠকে ছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী।
এর আগে রাজ্য সচিবালয়ের ফাঁকা বৈঠকখানায় চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দলের অপেক্ষায় মুখ্যমন্ত্রীর বসে থাকার ছবি ভাইরাল হয়েছিল। শনিবার প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি চিকিৎসকদের কালীঘাটের বাড়িতে এসে অন্তত এক কাপ চা খেতে বলছেন। যদিও তারা আলোচনায় যোগ দিতে রাজি ছিলেন না। চিকিৎসকরা তা প্রত্যাখ্যান করে বলেন, তারা বিচার চান।
এবারের আলোচনাকে সামনে রেখে বেশিরভাগ শর্তই লিখিতভাবে বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, নিজস্ব স্টেনোগ্রাফার নিয়ে যাবেন যারা বক্তব্য রেকর্ড করবেন এবং নথিতে উপস্থিত প্রত্যেকের স্বাক্ষর থাকবে। সরকারের কাছে ভিডিও রেকর্ডিংও থাকবে।
চিকিৎসকরা আরও শর্ত দিয়েছেন, সরকার যা বলেছে তা তারা প্রতিবাদস্থলে ফিরে গিয়ে অন্যদের সঙ্গে আলোচনার পর তাদের প্রতিক্রিয়া জানাবে। পাঁচ দফা দাবিতে যে তারা অনঢ় সেটাও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তারা।