দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি॥ পটুয়াখালীর দুমকিতে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ঔরাসজাত কন্যার মামলায় পিতার জেল হাজতবাসসহ পাল্টা-পাল্টি মামলায় হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার চরগরবদি গ্রামে বাবা-মেয়ের এমন চাঞ্চল্যকর জবরদখল ও পাল্টা-পাল্টি মামলায় হয়রানির ঘটনাটি ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলাধীন চরগরবদি মৌজার এস.এ ৬৮,৬৯,৭২ এবং বিএস ৩৫৫, ৫৪২ খতিয়ানে ২৪দাগে ভিটাসহ নাল কবলা সূত্রে জমির প্রকৃত মালিক মৃত জয়দের আলী হাওলাদারের ছেলে মো: নুরুল ইসলাম হাওলাদার। একই দাগ ও খতিয়ানে তিনি (নুরুল ইসলাম হাওলাদার) ভিন্ন ভিন্ন কবলা দলিলে পুত্র লোকমান হোসেন দুলাল ও কন্যা রুমা বেগম গং ফারুক হাওলাদারের নামে ১৫শতাংশ করে জমি ক্রয় করেন। উল্লেখিত জমির ভোগদখল নিয়ে কন্যা রুমা বেগমের সাথে বিরোধ সৃষ্টি হলে স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় এওয়াজ দলিল সম্পাদন করে সমুহ বিরোধ নিস্পত্তি হয়। সম্প্রতি কন্যা রুমা বেগম ও তার স্বামী সন্তানসহ পিতার বসত:বাড়িতে বেড়াতে আসার নাম করে ভিটাবাড়িতে ওঠে এবং বাড়িটি স্থায়িভাবে দখল করে বসে। এনিয়ে বাবা মেয়ের মধ্যে জবর-দখলের তীব্র বিরোধ দেখা দেয়। রুমা বেগম বাড়ির দখল বহাল রাখতে পিতা নুরুল ইসলাম ও ভাই দুলালসহ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে দুমকি থানা পরে পটুয়াখালী অতিরিক্ত জেলা মেজিষ্ট্রেট আদালতে ১১৬/২০২০ মামলা দায়ের করে। এমামলায় পিতা নুরুল ইসলামকে হাজতবাসও খাটতে হয়। পরবর্তিতে জামিনে এসে মেয়ে-জামাতা (রুমা ও ফারুক হাওলাদার)গংদের বিরুদ্ধে জমি জবর দখলের পাল্টা মামলাটি দায়ের করেন। পিতা-কন্যার জমি দখলের এমন পাল্টাপাল্টি মামলায় বিজ্ঞ আদালত চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় তহসিলদারকে সরেজমিন তদন্তপূর্বক ভোগদখলের তদন্ত প্রতিবেদ দাখিলের নির্দেশ দেন। কিন্ত সরেজমিন পরিদর্শণ ছাড়াই সহকারি তহসিলদার শিমুল পাইন শান্তা ও লেবুখালী ভূমি অফিসের তহসিলদার মো: সেলিম খান রুমার পক্ষে ২১শতাংশ জমির স্থলে ৩০শতাংশ ভোগ দখলের রিপোর্ট দেন। ওই রিপোর্টের আলোকে এসিল্যান্ড ও অনুরূপ প্রতিবেদন দেয়। এতে পিতা নুরুল ইসলামের পরিবার চরম হয়রানির মুখে পড়েছে। ভুক্তভোগী নুরুল ইসলাম হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, প্রশাসনের এমন পক্ষপাতদুষ্ট তদন্ত প্রতিবেদনের কারণে ন্যায় বিচার বিঘ্নিত হচ্ছে। তিনি ন্যায় বিচারের স্বার্থে জুডিশিয়াল ইনকোয়ারির দাবি করেছেন এবং বিবাদী রুমা-ফারুকগংদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে তাদের পক্ষে অসত্য রিপোর্টপ্রদানকারি অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি করেছেন।
এবিষয়ে তহসিলদার মো. সেলিম খান বলেন, আমরা সরজমিনে যা পেয়েছি সেই অনুযায়ী রিপোর্ট দেয়া হয়েছে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি)এসিল্যান্ড হোসনে আরা বলেন, এখানে আমাদের কোন স্বার্থ নেই তদন্তে যা পেয়েছি সে অনুযায়ী রিপোর্ট দেয়া হয়েছে।
#