ডোমারে জামায়াতের সমাবেশে নেতাকর্মীদের সড়কে নামায আদায়

গোপাল চন্দ্র রায়, ডোমার(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর ডোমারে সমাবেশে এসে সড়কে আছরের নামায আদায় করলেন জামায়াতের ইসলামী বাংলাদেশের শত শত নেতাকর্মী।
সোমবার বিকালে ডোমার উপজেলা শহরস্থ স্থানীয় বাটার মোড়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ডোমার শাখার আয়োজনে এক জনসমাবেশে যোগ দিতে এসে আছরের নামাযের সময় হলে তারা জনসভা স্থলের পাকা সড়কের উপর জামাতবন্দি হয়ে আছরের নামায আদায় করেন। দীর্ঘ ১৮ বছর পর জামায়াতের জনসমাবেশ উপলক্ষে বিকাল থেকেই জামায়াতের নেতাকর্মীরা স্থানীয় বাটার মোড়ে জড়ো হতে থাকেন।
২০০৬ সালের ২৮শে অক্টোবর আওয়ামীলীগের লগি-বৈঠার তাণ্ডবে নির্মমভাবে শাহাদাৎ বরণকারী শহীদদের স্মরণে ও খুনিদের বিচারের দাবিতে ডোমার উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে ওই জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন নীলফামারী জেলা জামায়াতে ইসলামীর নবনির্বাচিত আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সাত্তার। তিনি বলেন, ২০০৬ সালের ভয়াল ২৮ অক্টোবর আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা নির্মমভাবে জামায়াত-শিবিরের ১৮ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হননি। তারা মৃত ব্যক্তির উপর নৃত্য করে উল্লাস করেছিল। হত্যার সাথে জড়িত সকলের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে ফাঁসি দাবি করেন। আওয়ামীলীগের রাজনীতি করার অধিকার নেই দাবী করে আরও বলেন, আওয়ামীলীগ শুধু জামায়াতকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হননি তারা বিশ্বজিৎকে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে হত্যা করে উল্লাস করেছিল। জামায়াত শিবিরের ওপর আওয়ামীলীগের লগি-বৈঠার নির্মম আক্রমণের ১৮ বছর পর শাহাদাৎ বরণকারী শহীদদের স্মরণে ও খুনিদের বিচারের দাবিতে ওই জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হলো।
উপজেলা জামায়াতের আমীর খন্দকার আহমেদুল হক মানিকের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী হাফেজ আব্দুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত জনসমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমীর সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম। বক্তব্য রাখেন, জামায়াতের পৌরসভা সভাপতি নুর কামাল, সেক্রেটারী সোহেল রানা, উপজেলা জামায়াতের কর্ম পরিষদ সদস্য আবু বক্করসহ জামায়াত ও অঙ্গসংগঠনের নেতার্মীরা।
এর আগে ডোমার হাইস্কুল মাঠ থেকে এক বিশাল মিছিল শহরের গুরুত্বপুর্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জনসমাবেশে মিলিত হন। সমাবেশে ব্যাপক লোকসমাগম ঘটে।
Exit mobile version