ঢাকার দোহার উপজেলা শিক্ষক সমিতির নির্বাচন সম্পন্ন

শহীদুল ইসলাম শরীফ, স্টাফ রিপোর্টার

 

দীর্ঘ ১৭ বছর পর নানা জল্পনা কল্পনা শেষে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকার দোহার উপজেলা শিক্ষক সমিতির নির্বাচন। নির্বাচনে সভাপতি পদে ইসলামাবাদ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূরে আলম সিদ্দিকি ও সাধারণ সম্পাদক পদে মধুর খোলা উচ্চবিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোঃ শহিদুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া সহ-সভাপতি ৩ এর পদে নির্বাচিত হয়েছেন কার্তিকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সেলিম মাহমুদ।

গত শনিবার ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯ টা থেকে বেলা ৩ টা পর্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় চলে ভোট উৎসব। লটাখোলা আজহার আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের তিনটি কক্ষের তিনটি ভূতে এ ভোট অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সরব উপস্থিতি ছিল ভোট কেন্দ্রে। উপজেলার ২০ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪৬৯ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৪২৫ জন ভোটার। সভাপতি পদে নুূরে আলম সিদ্দিকি ২৬২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোঃ তারিকুল ইসলাম পেয়েছেন ৭৮ ভোট আর মোঃ আহসান পেয়েছেন ৬৭ ভোট।

এছাড়া মধুরখোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোঃ শহিদুল ইসলাম ২৬২ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোঃ আ্ওয়াল হোসেন পান ১৪৬ ভোট। এছাড়া সহ-সভাপতি পদে কার্তিকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সেলিম মাহমুদ ২৪৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াজুল হাসান পেয়েছেন ১৬২ ভোট।

নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন কার্তিকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুক-ই আজম এবং নির্বাচন কমিশনার হিসেবে শিলাকোঠা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আউব আলী ও ইকরাসি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোঃ খুরশেদ আলম দায়িত্ব পালন করেন।

দীর্ঘদিন পর ভোট দিতে পেরে খুশি ভোটাররা। নির্বাচিত কমিটি সংগঠন ও শিক্ষকদের সুখে দুখে সব সময় পাশে থাকবে এমনটাই মনে করেন তারা। নির্বাচিত হওয়ার পর শিক্ষকদের কল্যাণে নিজেদেরকে নিবেদিত করার প্রয়াস ব্যক্ত করেন বিজয়ী প্রার্থীরা। এর আগে সংগঠনের ২৩ টি পদের মধ্যে ২০ টি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

Exit mobile version