ঢাকা স্কুল অব ইকনোমিকস (ডিএসসিই)-এর উদ্যোক্তা অর্থনীতি ক্লাব আয়োজন করে

‘রোল অব ইকনোমেট্রিক্স ইন বিজনেস এনালিটিক্স’

সারা বিশ্বেই প্রতিনিয়ত গড়ে উঠছে নতুন নতুন উদ্যোগ, যার পেছনে কাজ করছেন
অসংখ্যা উদ্যোক্তা। তবে বাজার ও ব্যবসায়িক কৌশলে তথ্য বিশ্লেষণের
দক্ষতাহীনতার কারণে এদের অনেকেই দীর্ঘ মেয়াদে টিকতে পারছেন না। স্বল্প
মেয়াদেই ঝরে পড়ছেন এসব উদ্যোক্তারা। এটি বাংলাদেশের ক্ষেত্রে আরো প্রকট হয়ে
উঠছে। এজন্য বাজার, ব্যবসায়িক ও পরিচালনা কৌশল বিষয়ে উদ্যোক্তাদের তথ্য
বিশ্লেষণে দক্ষতা বাড়ানো প্রয়োজন। এক্ষত্রে সরকার ও দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
যৌথ ভাবে কাজ করতে পারে।
বুধবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত ‘রোল অব ইকনোমেট্রিক্স ইন বিজনেস এনালিটিক্স’ শীর্ষক
আন্তর্জাতিক ভার্চুয়াল সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা। ঢাকা স্কুল অব
ইকনোমিকস (ডিএসসিই)-এর উদ্যোক্তা অর্থনীতি ক্লাব ভার্চুয়াল সেমিনারটি
আয়োজন করে। সেমিনারে ব্যবসায়িক বিশ্লেষণে অর্থনীতির ভূমিকার উপর প্রভাবের
বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করেন বক্তারা।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, ইকোনোমেট্রিক্স আমাদের সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রক্রিয়ায়
সাহায্য করতে পারে। কভিড-১৯ মহামারির সময়, ব্যবসায়িক বিশ্লেষণ, সমস্যা
সমাধানের কৌশল এবং ভবিষ্যতের দিক নির্দেশনার মাধ্যমে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে
সাহায্য করেছে ইকোনোমেট্রিক ব্যবহার। ইকোনোমেট্রিক্স শুধু অর্থনীতির একটি
হাতিয়ার নয়। মার্কেটিং, ফাইন্যান্স, ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি সব ক্ষেত্রেই পরিস্থিতি
বোঝা এবং সঠিক সমাধান পেতে সাহায্য করে। ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে ইকোনোমেট্রিক্স
থেকে শুধুমাত্র পূর্বাভাস নয়, বিশেষ সমাধান পেয়েও লাভবান হচ্ছে ব্যবসা
খাত। সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভারতের জিএনভিএস ইনস্টিটিউট অফ
ম্যানেজমেন্টের (মুম্বাই) পরিচালক অধ্যাপক ড. আর কে সাইলি বলেন, বিভিন্ন দেশে

এবং উন্নয়নশীল অর্থনীতিতে মহামারী চলাকালীন প্রণোদনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেটি
গ্রহণের ক্ষেত্রে তথ্য পর্যালোচনা গুরুত্বপূর্ণ। ফলে ব্যক্তিগত ব্যবসা পরিচালনার
ক্ষেত্রে তথ্য পর্যালোচনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তথ্য বিশ্লেষনের ক্ষেত্রে কৌশল
অর্জন করতে পারলে ব্যবসা টেকসই হওয়া সম্ভব।
ভারতের উত্তর প্রদেশের অ্যামিটি ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. দীপ্তি রঞ্জন
মহাপাত্র বলেন, ইকোনোমেট্রিক্স ব্যবসায়িক লক্ষ্যে অর্জনে সহায়তা করে। ব্যবসার
লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কৌশলগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তথ্য পর্যালোচনা
এবং বিশ্লেষণে ইকোনোমেট্রিক্স বেশ সহায়ক। বিশেষ করে মহামারী পরিস্থিতিতে
রিয়েল-টাইম সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে। ইকোনোমেট্রিক্স মডেলের ব্যবহার এবং
প্রভাবের ক্ষেত্রে সহায়তা করে।

ঢাকা স্কুল অব ইকনোমিকস (ডিএসসিই)-এর উদ্যোক্তা অর্থনীতি বিভাগের প্রোগ্রাম
কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী বলেন, ব্যবসায়িক বিশ্লেষণ
ক্যারিয়ার গঠনের জন্য একটি চমৎকার বিষয়। দেশের শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে তাদের
ভবিষ্যত গড়তে পারে। ব্যবসা বিশ্লেষকরা ডেটা-চালিত সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ব্যবসার
কার্যকারিতা অর্জনে সহায়তা করে। দেশের অভ্যন্তরে উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক
দক্ষতা ও কৌশল অর্জনের ক্ষেত্রে সরকার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো একত্রে কাজ
করতে পারে। সেটি হলে অনেক উদ্যোক্তা দীর্ঘমেয়াদে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে
সমর্থ হবেন।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশগ্রন করেন বাংলাদেশ ওপেন ইউনিভার্সিটির
ট্রেজারার প্রফেসর মোস্তফা আজাদ কামাল এবং ভারতের অ্যামিটি ইউনিভার্সিটি
(উত্তর প্রদেশ) ডেপুটি ডিন প্রফেসর ড. সুজাতা খান্দাই। আলোচনা সভায় অন্যান্যের
মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন উদ্যোক্তা অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রেহানা
পারভীন ও সারা তাসনিম। এছাড়া উদ্যোক্তা অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক আফিয়া
আক্তার ও মোহাম্মদ আমান উল্লাহ আমান।

Exit mobile version