তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর তানোরের কলমা ইউনিয়ন (ইউপি) আওয়ামী লীগে মতবিরোধ ও কোন্দলের সৃষ্টি হয়েছে। আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী দু’ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে। অনুপ্রবেশকারী ও হাইব্রিডদের নিয়ে বিব্রত এবং ক্ষুব্ধ দলের নেতাকর্মী ও আমজনতা। তৃণমূলের অভিযোগ, ইউপি আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের পরীক্ষিত, ত্যাগী ও নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মীরা কোনঠাসা হয়ে বঞ্চিত রয়েছে। অথচ জনবিচ্ছিন্ন , বিতর্কিত ও অনুপ্রবেশকারীরা বিভিন্ন লাভজনক পদ বাগিয়ে নিয়ে ফুরফুরে হয়ে ঘুরছে।
স্থানীয়রা জানান, কলমা ইউপি যুবদলের সভাপতি ছিলেন হারুন। বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে সাধারণের কাছে তিনি ছিলেন মুর্তিমান আতঙ্ক। তিনি ও তার পরিবারের সকলে এখানো বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয়।এমনকি বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার নির্বাচনী কার্যালয়ে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ ও নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেছিল। অথচ সেই হারুনকে করা হয়েছে কলমা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি, দেয়া হয়েছে বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের তদারকি। হারুনকে দলে ভেড়ানোয় দলের সাংগঠনিক কর্মকান্ড স্থবির হলেও কারো কারো পকেটভারী হয়েছে বলে মনে করছে নেতাকর্মীরা।ইউপি কমিটির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতা জানান, এই হারুন ও তার সহযোগী এক প্রভাষককে নিয়ে আওয়ামী লীগে দলীয়কোন্দল ও মতবিরোধ শুরু হচ্ছে রক্তক্ষরণ। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই দলকে হাইব্রিডমুক্ত ও অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে যাচাই-বাছাই করতে উপজেলা নেতৃত্বের প্রতি অনুরোধ করেছেন তণমূল। অথচ সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সভায় বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে ত্যাগীদের মূল্যায়ন করার নির্দেশ দিয়েছেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।কিন্ত্ত তার পরেও হারুনেরা কিভাবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর ছড়ি ঘোরায় ও ছবক দেয় ? এসব কারনে কলমা ইউপি আওয়ামী লীগের আদর্শিক নেতাকর্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে, বইছে মুখরুচোক নানা গুন্জন, জনমনেও মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে, উঠেছে সমালোচনার ঝড়। এবিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ইউপি আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল কারো কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।