তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর তানোরের কামারগাঁ ইউনিয়নের (ইউপি) মাদারীপুর মাঠে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) একটি গভীর নলকুপ জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আপেলের শাস্তির দাবিতে
গত ৩০ জুলাই সোমবার ডাকযোগে কৃষকেরা স্থানীয় সাংসদ ও বিএমডিএ’র চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, মাদারীপুর গ্রামের কেফাজ মন্ডলের পুত্র আপেল এমপির নাম ভাঙিয়ে গভীর নলকুপটি জবরদখল করে কৃষকেদর শোষণ করছে। এছাড়াও এখন সে ড্রেন, লাইনম্যান, পাহারাদার ইত্যাদি অজুহাতে কৃষেকর কাছে থেকে জোরপুর্বক টাকা আদায় করছেন।অপারেটরের শোষণ-নিপীড়ন ও বঞ্চনার শিকার কৃষকেরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। এমনকি কৃষকের জমি মৌসুমি আলু চাষিদের কাছে ইজারা দিয়ে টাকা আত্নসাতের অভিযোগ অনেক পুরুনো।আপেলের নানামুখী দুর্নীতির কারণে আওয়ামী লীগ ও সাংসদের বিরুদ্ধে সাধারণের মাঝে নেতিবাচক মনোভাবের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে আওয়ামী লীগের ভোট ব্যাংক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
কথিত অপারেটরদের কৃষক শোষণের কারনে তাদের রাহুগ্রাস থেকে পরিত্রাণ পাবার আশায় এলাকার কৃষক সমাজ ঐক্যবদ্ধ হয়ে আওয়ামী লীগের বিপক্ষে অবস্থান নিতে শুরু করেছে। যে কারণে সাধারণ নির্বাচনে কামারগাঁ ইউপিতে নৌকার ভরাডুবি হয়েছে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কৃষক জানান, কেফাজ ও আপেল তারা বাপবেটা এলাকায় ব্যাপক বিতর্কিত। জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তারা নৌকার বিপক্ষে কাঁচি প্রতিকের ভোট করেছেন।
জানা গেছে, উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের (ইউপি) জেল নম্বর ১৯২,
মাদারীপুর মৌজায়, ২১১ নম্বর দাগে অবস্থিত গভীর নলকুপের অপারেটর মাদারীপুর গ্রামের মুকুলের স্ত্রী পারভিন। কিন্ত্ত মাদারীপুর গ্রামের কেফাজ মন্ডলের পুত্র আপেল এমপির নাম ভাঙিয়ে জোরপুর্বক গভীর নলকুপ দখলে নিয়েছে। সেচ নিয়ে তিনি রীতিমতো জল জমিদারী শুরু করেছেন। এতে এলাকার সাধারণ কৃষক ফুঁসে উঠেছে। এসব কারণে সাধারণ মানুষের মাঝে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের চিত্র চাপা পড়ে যাচ্ছে। স্থানীয় সাংসদ ও দলের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন হচ্ছে। কৃষক ভবেন মাস্টার, জাকির ও বকুল বলেন, গত মৌসুমে আপেল তাদের জমিতে সেচ দেননি। মৌসুমী আলু চাষিদের কাছে জমি ভাড়া দেবার জন্য চাপ দিয়েছিল। তারা আপেলের রাহুগ্রাস থেকে মুক্তি চাই।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বলেন, কামারগাঁ ইউপিতে ডিপ অপারেটরদের দৌরাত্ম্যে কৃষকদের শোষণ-নিপীড়ন বঞ্চনা দেখে মনে হয় না, এসব দেখার কেউ আছে। তিনি বলেন, ডিপের অপারেটর পারভীন। অথচ এমপির নাম ভাঙিয়ে
ডিপ জবরদখল করেছে আপেল। এমনকি আগামি মৌসুমে আলু চাষের জন্য এখানোই তিনি কৃষকের জমি টেন্ডার দিয়ে টাকা হাতিযে নিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে আপেল এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ডিপের বৈধ অপারেটর পারভীন বেগম তার আত্মীয়, তিনি বলেন, জবরদখল নয় সমিতির মাধ্যমে তিনি ডিপ চালাচ্ছেন। এবিষয়ে মুকুল বলেন, তার স্ত্রীর নামে অপারেটর রয়েছে।অথচ আপেল জোরপুর্বক গভীর নলকুপ দখলে নিয়েছেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে তানোর বিএমডিএ’র সহকারী প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) জামিলুর রহমান বলেন ,আপেল নামে তাদের কোনো অপারেটর নাই। তিনি বলেন, ওই গভীর নলকুপের বিষয়ে অবিযোগ এসেছে, দ্রুত সময়ের মধ্যে কৃষকদের নিয়ে সভা করে সমিতি গঠন করা হবে।#