সোমবার, ১২ এপ্রিল ২০২১, ০৭:২৪ পূর্বাহ্ন
তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি
রাজশাহীর তানোরে চলতি মৌসুমে নীতিমালা অনুযায়ী ও লট্রারির মাধ্যমে প্রকৃত কৃষকদের কাছে থেকে ধান ও চুক্তিবদ্ধ চালকল মালিকদের কাছে থেকে চাল ক্রয় দ্রুত গতিয়ে এগিয়ে চলেছে। স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধূরী ও তার প্রতিনিধি উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়নার অনিয়ম-দূর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারি ও অবস্থান রয়েছে। ফলে এবার ধান ও চাল ক্রয়ে অনিয়ম-দূর্নীতি বা সিন্ডিকেটের কোনো সুযোগ নাই, কেবলমাত্র প্রকৃত কৃষক ধান ও চুক্তিবদ্ধ চালকল মালিকগণ খাদ্যশস্য সরকারী ক্রয়কেন্দ্রে বিক্রি বা সরবরাহ করতে পারছেন। অথচ একটি বিশেষ গোষ্ঠি সরকারের ভাবমূর্তিক্ষুন্ন করতে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান নিয়ে মিথ্যাচার শুরু করেছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। জানা গেছে, চলতি মৌসুমে লট্রারির মাধ্যমে কৃষক নির্বাচন করে অনলাইনে তালিকা প্রকাশ ও সংশ্লিস্ট কৃষকের নিজ নামে ১০ টাকার ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করা হচ্ছে। ফলে প্রকৃত কৃষকগণ কেবলমাত্র সরকারি ক্রয়কেন্দ্রে সরাসরি ধান সরবরাহ করতে পেরেছেন। এতে করে এবার সরকারি ক্রয়কেন্দ্রে ধান সরবরাহ করে কৃষকরা ধানের নায্য মূল্য পাচ্ছেন। আর কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসলের নায্য মূল্য পাওয়ায় তাদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃস্টি হয়েছে। তানোরের পাচন্দর ইউপির কৃষক শহীদুল ইসলাম, রাব্বিল ইসলাম ও হাবিবুর রহমান বলেন, এবার ফড়িয়া ও দালাল ছাড়াই সরকার নির্ধারিত মূল্য তারা সরাসরি সরকারি ক্রয় কেন্দ্রে ধান সরবরাহ করতে পেরেছেন। এতে এবার ধান চাষ করে তারা লাভবান হয়েছেন।
সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা গেছে, তানোরে চলতি মৌসুমে তানোর ও কামারগা সরকারি দুটি ক্রয়কেন্দ্রে (খাদ্যগুদাম) লট্রারির মাধ্যমে নির্বাচিত কৃষকের কাছে থেকে সরাসরি প্রতি কেজি ধান ২৬ দরে কেনা হচ্ছে। অন্যদিকে উপজেলায় ২৯টি চুক্তিবদ্ধ চালকল থেকে সরকারী খাদ্য গুদামে মোট ৫৭০ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করা হবে। এর মধ্যে তানোর সদর গুদামে ১৭টি চালকল থেকে ৩৪৭ মেট্রিক টন ও ১২টি চালকল থেকে কামারগাঁ গুদামে ২২২ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করা হবে। গত বছরের নভেম্বর মাসে ক্রয় অভিযান শুরু হয়েছে আগামী ২৮ ফেব্ররুয়ারি ক্রয় অভিযান সম্পন্ন হবে। এদিকে তানোর উপজেলায় কোনো শটার মেশিন (মিল) না থাকায় চালকল মালিকদের অন্য এলাকার শটার মিল থেকে উন্নতমাণের পরিচ্ছন্ন চাল সরবরাহ করতে গিয়ে কিছুটা অতিরিক্ত পয়সা খরচ করতে হচ্ছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা (টিসিফুড) আলওউল কবির বলেন, চলতি মৌসুমে ধান-চাল ক্রয়ে সিন্ডিকেট বা অনিয়ম-দূর্নীতির কোনো সুযোগ নাই। তিনি বলেন, কেবলমাত্র লট্রারিতে বিজয়ী কৃষকদের কাছে থেকে ধান ও চুক্তিবদ্ধ চালকল মালিকের কাছে থেকে চাল ক্রয় করা হচ্ছে। এবিষয়ে তানোর সরকারী খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) তারিকুজ্জামান বলেন, উপজেলায় কোনো শটার মেশিন না থাকায় বাহিরের এলাকার শটার মেশিনে চাল পরিস্কার করে নিয়ে আসছে। তিনি বলেন, অনিয়ম-দূর্নীতির বিরুদ্ধে এবার মাননীয় এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয়ের কঠোর নির্দেশনা রয়েছে এমনকি তারা বিষয়টি নিয়মিত তদারকি করছেন তায় শর্ত পুরুণ ব্যতিত কোনো ধান বা চাল গুদামে নেয়া হয়নি। #