তৃতীয় প্রজন্ম ইসলাম থেকে হারিয়ে গিয়েছে, সত্যের পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে গেছে।

ছবিতে যাকে দেখতে পাচ্ছেন তাকে সবাই চিনেন, আমাদের এই লেখা তাকে নিয়ে নয়, তার পড়া পাঞ্জাবী নিয়েও নয়।
মিডিয়ার কল্যাণে যতটুুক জানলাম পুরো ইউরোপ এবং স্প্যানিশ ক্লাবে খেলাকালীন সময়ে এই তারকাকে কখনো এমন পোষাক পড়তে দেখা যায় নি দুদিন আগে সৌদির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকিতে যেভাবে দেখা গিয়েছে এই তারকাকে। আর এটার মূল কারন হলো পরিবেশ এবং সংস্কৃতি।
কোন এক শাইখের লেকচারে শুনে ছিলাম (আমার এই মুহুর্তে নাম মনে পড়ছে না।) একজন শাইখের ঘটনা, যিনি আরব থেকে ইউরোপের কোন এক দেশে গিয়ে বসবাস করা শুরু করে ছিলেন, অবশেষে তার তৃতীয় প্রজন্ম ইসলাম থেকে হারিয়ে গিয়েছে, সত্যের পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে গেছে।
আমাদের বাড়ির পাশে শুধু মাত্র একটি হিন্দু ফ্যামেলি বসবাস করতো, সেই পরিবারের সব সদস্যই এখন মুসলিম শুধুমাত্র একজন ছাড়া।
আপনি যত বড় ঈমানদার বা নাফরমানই হোন না কেন, পরিবেশ অবশ্যই আপনার উপর প্রভাব ফেলবে। সংস্কৃতির ছোঁয়া আপনার গায়ে কিছু হলেও লাগবে।
“সাধারণভাবে জীবিকার জন্য অমুসলিম রাষ্ট্রে যাওয়া উচিৎ নয়। কেননা এতে তাদের দ্বারা দ্বীন প্রভাবিত হ’তে পারে।
রাসূল (ﷺ) বলেন— মুশরিকদের সাথে যে সকল মুসলমান বসবাস করে আমি তাদের দায়িত্ব হতে মুক্ত ।
(আবুদাঊদ হা/২৬৪৫; মিশকাত হা/৩৫৪৭; ছহীহাহ হা/৬৩৬)।
তিনি বলেন, ‘মুশরিকদের সাথে তোমরা একত্রে বসবাস কর না, তাদের সংসর্গেও যেয়ো না। যে মানুষ তাদের সাথে বসবাস করবে অথবা তাদের সংসর্গে থাকবে সে তাদের অনুরূপ বলে বিবেচিত হবে।’ (তিরমিযী হা/১৬০৫; ছহীহাহ হা/২৩৩০, সনদ হাসান)।
তবে বাধ্যগত কারণে তাদের মাঝে বসবাস করতে হ’লে নিজ ধর্মের বিধি-বিধান মেনে চলবে এবং সুযোগমত তাদেরকে ইসলামের দাওয়াত দিবে’ ।
(নাহল ১৬/১২৫, ; শায়খ বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৯/৪৩)।
এছাড়া মূলতঃ তিনটি শর্ত সাপেক্ষে কোন মুসলিম অমুসলিম রাষ্ট্রে যেতে পারে
(১) হক-বাতিলের মধ্যে পার্থক্যকারী জ্ঞান থাকা ।
(২) প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করার মত ঈমানী মযবুতী থাকা।
(৩) এমন অভাবী হওয়া যে, জীবিকার বিকল্প পথ না থাকা।
(উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৩/২৪)”
Exit mobile version