টাইম লাইন ১৭ এপ্রিল

দায়িত্বশীল পদের অধিকাংশই ভারপ্রাপ্ত বা অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চালানো হচ্ছে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি)। বিশেষ একটি চক্রের সঙ্গে আঁতাত করে কৌশলে পদোন্নতি প্রক্রিয়া এক ধরনের আটকে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে একটি পদের জন্য টাইম লাইন হচ্ছে ১৭ এপ্রিল। এরপরই ডিপিডিসি কর্তৃপক্ষ ওই পদটিতে পদোন্নতি প্রক্রিয়া শুরু করবেন বলে সূত্রের দাবি। একই ধারাবাহিকতায় সংস্থাটির উপবিভাগীয় প্রকৌশলী পদেও পদোন্নতির প্রজ্ঞাপন জারি করলে তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলায় স্থগিত হয়। এমনটাই জানা গেছে সংশ্লিষ্ট সূত্রে।

জানা গেছে, ডিপিডিসিতে গড়ে ওঠা শক্তিশালী একটি চক্রের সঙ্গে কিছু শীর্ষ কর্মকর্তার যোগসাজশে করা হচ্ছে পদোন্নতি বা পদায়ন। বিনিময় হচ্ছে বিশাল অঙ্কের লেনদেন। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধান প্রকৌশলী পদে ৮টি পদের ৬টি দীর্ঘদিন ধরে শূন্য থাকলেও দেয়া হচ্ছে না পদোন্নতি। চালানো হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত অথবা অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে। সূত্রমতে, চক্রের কিছু সদস্যের প্রধান প্রকৌশলী হওয়ার বয়সসীমা পূর্ণ হবে আগামী ১৭ এপ্রিল। আর তাই এরপরই এ পদে পদোন্নতির প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে মর্মে সংশ্লিষ্ট কতিপয়ের সঙ্গে চক্রের সদস্যদের সঙ্গে অলিখিত চুক্তি হয়। আর এটি বাস্তবায়ন হলে সংস্থার এ পদে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে। এর ফলে সংস্থায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে বলেও সূত্রের দাবি। কারণ যাদের ভারপ্রাপ্ত বা অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তারা প্রায় সবাই সিনিয়র কর্মকর্তা। তাদের বাদ দিয়ে সিন্ডিকেটের জুনিয়র কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিলে সংস্থায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে বলে সূত্র জানায়।

ডিপিডিসির চলমান আটজন প্রধান প্রকৌশলী হলেন, স্ক্যাডার প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ ইস্তামুল হক মাসুম (সম্ভাব্য অবসরে যাবেন ২০২৩ সালের ৩১ শে ডিসেম্বর), এনওসিএস সাউথ ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. শহিদুল মান্নান চৌধুরী, (সম্ভাব্য অবসরে যাবেন ২০২৫ সালের ১৫ই জুন), এনওসিএস সেন্ট্রাল ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম, (সম্ভাব্য অবসরে যাবেন ২০২৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর), প্ল্যানিং প্রধান প্রকৌশলী আবুল ফজল মো. বদরুল আলম, (সম্ভাব্য অবসরে যাবেন ২০৩০ সালের ৮ই জুন), গ্রিড ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. শাহজাহান আলী, (সম্ভাব্য অবসরে যাবেন ২০২৮ সালের ৩১ মার্চ), প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড স্টোর ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মর্তুজা কামরুল আলম, (সম্ভাব্য তিনি অবসরে যাবেন ২০২৯ সালের ৩০ নভেম্বর), ডেভেলপমেন্ট ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ তরিকুল হক, (সম্ভাব্য অবসরে যাবেন ২০২৯ সালের ৩০ এপ্রিল), এনওসিএস নর্থ ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আবু হেনা মোস্তফা কামাল, (সম্ভাব্য অবসরে যাবেন ২০৩০ সালের ৩১ ডিসেম্বর)।

উল্লেখ্য, চক্রের সদস্যদের প্রধান প্রকৌশলী করার প্রক্রিয়া হিসেবে উপরোল্লিখিত আটজনের মধ্যে সিন্ডিকেটের দুজন সদস্যকে কৌশল অবলম্বন করে ইতোমধ্যেই প্রধান প্রকৌশলী ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলে সূত্রের দাবি।

অভিযোগ রয়েছে, ডিপিডিসির নির্বাহী পরিচালক, প্রধান প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলী এবং উপবিভাগীয় প্রকৌশলীসহ সংস্থাটির বিভিন্ন দফতরের অনেক পদই শূন্য রয়েছে। আর এসব পদে দীর্ঘদিন ধরে ভারপ্রাপ্ত বা অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়েই চালানো হচ্ছে। অতিরিক্ত বা ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দিতে গিয়ে একই ব্যক্তিকে দেয়া হচ্ছে ঊর্ধ্বতন এবং অধস্তন দুই পদের দায়িত্ব। আর এ সুযোগেই দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি জড়িয়ে পড়ছেন অনিয়ম-দুর্নীতিতে। আবার এসব দায়িত্ব দেয়া নেয়ায়ও সংশ্লিষ্টদের মাঝে হচ্ছে অদৃশ্য চুক্তি। যেন ভারপ্রাপ্ত পদেই রয়েছে যতো মধু। এভাবে জোড়াতালি দিয়ে ডিপিডিসি চালানো হচ্ছে বলে সচেতন মহলের অভিযোগ।

ডিপিডিসির পরিচালনা পর্ষদের সদস্য এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. গোলাম রাব্বানী এ ব্যাপারে বলেন, ডিপিডিসির এমডি হলেন— সংস্থার প্রধান নির্বাহী। সংস্থা পরিচালনায় প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার দায়িত্ব প্রধান নির্বাহীর। বোর্ড মিটিংয়ে প্রধান নির্বাহী যেসব বিষয় উপস্থাপন করেন এবং অনুমোদনের প্রয়োজন হয় তা বোর্ড সদস্য হিসেবে আমরা অনুমোদন দিয়ে থাকি। আর কাউকে রুটিন বদলি বা পদোন্নতি কিংবা লোকবল প্রয়োজন হলে বোর্ডে উপস্থাপন করলে তখন সেটিও অনুমোদন দেয়া হয়। বাকিগুলো সংস্থার প্রধান নির্বাহী এবং অন্যরা করেন।

‘শুধু কথা দিয়ে চুলায় রুটি ওঠানো যায় না’ এ প্রবাদটির সঙ্গে যেমন বাস্তবতার মিল রয়েছে, তেমনি অতিরিক্ত দায়িত্ব বা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিয়েও কোনো প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব নয়। তবুও দায়িত্বশীল বিভিন্ন পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব বা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিয়েই বেশ কিছুদিন ধরে চলছে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি)। একটি চক্রের হীন স্বার্থে দেয়া হচ্ছেনা সংস্থার শূন্য পদগুলোতে নিয়োগ। নিয়োগের মুলা ঝুলিয়ে সংশ্লিষ্টদের কতিপয় করছে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল। ফলে হ্রাস পাচ্ছে রাজস্ব আদায় আর বাড়ছে অনিয়ম-দুর্নীতি। ব্যাহত হচ্ছে ডিপিডিসির গ্রাহকসেবা।

এ প্রসঙ্গে কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা এবং জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এম শামসুল আলম বলেন, জনবল সংক রেখে কাজ করাতে গেলে স্বাভাবিক কাজকর্ম বাধাগ্রস্ত হবে— এটাই স্বাভাবিক। তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এটা পূরণের দায়িত্ব সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তাদের। তারা সেটি যথাসময়ে করতে ব্যর্থ হলে নানাবিধ প্রশ্ন উঠতেই পারে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, ডিপিডিসির প্রধান প্রকৌশলীর মোট ৮টি পদের মধ্যে ৬টিই শূন্য। তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (এসি) পদ রয়েছে ৩৪টি, এর মধ্যে শূন্য আছে প্রায় ১৪টি। আবার নির্বাহী প্রকৌশলীর পদে ৮২টি পদের শূন্য আছে ২৩টি এবং উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (এসডি) মোট ৭৮টি পদের মধ্যে শূন্য আছে ১১টি। সহকারী প্রকৌশলী পদে ১২০টির মধ্যে শূন্য রয়েছে ৪২টি। আর এসব শূন্য পদ অতিরিক্ত অথবা ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দিয়ে চালানো হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ডিপিডিসির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (এসি) পদমর্যাদার ৭ ব্যক্তিকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলীর দায়িত্ব দিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে দফতর চালানো হচ্ছে। এভাবেই অন্যান্য শূন্য পদগুলোর অধিকাংশেরই ভারপ্রাপ্ত বা অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে সংস্থার কাজ চালিয়ে নেয়া হচ্ছে। যার ফলে ডিপিডিসির কাজের গতি ও গ্রাহক সেবার মান নিম্নগামী বলে মনে করছেন অনেকেই। পাশাপাশি অনিয়ম-দুর্নীতি ও গ্রাহক হয়রানি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে করছেন তারা। এছাড়া ডিপিডিসির নির্বাহী পরিচালক পদে দুটি পদ খালি রয়েছে। পদ দুটি হলো— নির্বাহী পরিচালক অপারেশন এবং নির্বাহী পরিচালক ইঞ্জিনিয়ারিং। তবে ইতোমধ্যেই পদ দুটিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান।

জানা গেছে, নির্বাহী পরিচালক অপারেশন এবং নির্বাহী পরিচালক ইঞ্জিনিয়ারিং পদ দুটিতে নিয়োগ প্রদানে এরই মধ্যে ইন্টারভিউ কার্ড ছেড়েছে সংশ্লিষ্ট দফতর। আর এসব কার্ডে নির্বাহী পরিচালক ইঞ্জিনিয়ারিং ও নির্বাহী পরিচালক অপারেশন পদে ১৩ মার্চ এবং ১৪ মার্চ সাক্ষাৎকারের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে ডিপিডিসির শীর্ষ এক কর্মকর্তার খুবই ঘনিষ্ঠ একজনকে নির্বাহী পরিচালক অপারেশন পদে ইন্টারভিউ কার্ড বিলি করতে গিয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে দ্বৈত নাগরিক থাকা ওই ব্যক্তির ই-মেইলে গত ৯ মার্চ ইন্টারভিউ কার্ড পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। সূত্রমতে, দ্বৈত নাগরিক থাকা ওই ব্যক্তি কানাডায় অবস্থান করায় তার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেনি ডিপিডিসি। তবে তিনি ইন্টারভিউতে যোগদান করবেন বলে নিশ্চিত করেছেন সূত্রটি।

বিদ্যুৎ সচিব এবং ডিপিডিসির পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান বলেন, জনবলের সংকট থাকলে কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়, এটা অস্বাভাবিক নয়। ডিপিডিসিতে লোকবলের সংকট থাকলেও কেন সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না তা সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক-ই (এম.ডি) ভালো জবাব দিতে পারবেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডিপিডিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলছেন, পরিকল্পিতভাবে শূন্য পদগুলোতে লোকবল নিয়োগ দেয়া হচ্ছে না। লোকবল নিয়োগ না দিয়ে অদৃশ্য এক বাণিজ্য চলছে। আর এ কারণে যোগ্য অনেকেই পাচ্ছেন না যথাসময়ে পদোন্নতি। ফলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। অভিযোগ রয়েছে, উচ্চ আদালতের নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে গত বছর ১০ ফেব্রুয়ারি ডিপিডিসিতে উপবিভাগীয় প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি দিতে একটি সার্কুলার জারি করেন। যার স্মারক নম্বর ৮৭.৪০৪.৪০৯.০১.০৩.০২১.২০২২(০১)/২৯৪। সার্কুলারে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে গত বছর ১৪ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত পাঁচ দিন সাক্ষাতের জন্য সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয়। এরই মধ্যে বিষয়টিকে উচ্চ আদালতের দেয়া রায়কে উপেক্ষা করা হচ্ছে মর্মে উল্লেখ করে আলাদাভাবে আবেদন জানিয়েছে বাংলাদেশ পাওয়ার সেক্টরস ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারর্স ফেডারেশন এবং ডিপিডিসির পদোন্নতির দিকনির্দেশনা চেয়ে আদালতে রিটকারীরা। আবেদনে তারা ডিপিডিসির পদোন্নতির পরীক্ষা স্থগিত চায় এবং পরবর্তিতে পদোন্নতি প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সূত্রে জানা যায়, ডিপিডিসির দুষ্টচক্রটি উপবিভাগীয় প্রকৌশলী পদে পদোন্নতিকে টার্গেট করে সম্প্রতি চাঁদপূর থেকে প্রায় তিন লাখ টাকার ইলিশ মাছ সংস্থার কতিপয় কর্মকর্তাকে উপঢৌকন দিয়েছেন। আর চাঁদপুর থেকে এই মাছ সংগ্রহের দায়িত্বে ছিলেন চক্রটির সদস্য একজন উপসহকারী প্রকৌশলী (বর্তমানে মাতুয়াইল ডিভিশনে কর্মরত)।

বাংলাদেশ পাওয়ার সেক্টরস ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি মো. ফজলুর রহমান খান বলেন, উচ্চ আদালতের রায়ে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে ২০১৭ সালের পূর্বে যারা নিয়োগপ্রাপ্ত তাদের চাকরির বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন (এসিআর) এবং জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতি দিতে হবে। এ রায়ের বিরুদ্ধে ডিপিডিসি আবার আপীল করেছে। সেই আপিল চলমান থাকলেও ডিপিডিসি বে-আইনি পন্থায় উপবিভাগীয় প্রকৌশলী পদে তড়িঘড়ি করে পদোন্নতি দেয়ার চেষ্টা করছেন। যা ব্যক্তিস্বার্থে এবং সম্পূর্ণরূপে উদ্দেশ্যমূলক।

এসব ব্যাপারে ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী বিকাশ দেওয়ানের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডিপিডিসির একাধিক সূত্রের দাবি, সম্প্রতি কর্মকর্তাদের এক বৈঠকে প্রকৌশলী বিকাশ দেওয়ান তাদের অভয় দিয়ে বলেন, ‘আপনারা আপনাদের কাজ করে যান, মেইন স্ট্রিমের কোনো গণমাধ্যম নিউজ করছে না, ২-১ টি ছোট পত্রিকা নিউজ করলে কিছু এসে-যায় না।’

Exit mobile version