দিনাজপুরে জিংক সমৃদ্ধ ধানের সম্প্রসারণের লক্ষ্যে নীতি-নির্ধারকদের কর্মশালা অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ “জিংক ধানের ভাত খেলে, পুষ্টি মেধা উভয় মেলে”-এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ১৪ জানুয়ারী মঙ্গলবার বালুবাড়িস্থ পল্লীশ্রী মিলনায়তনে নাফ-বিডি ও আরডিআরএস বাংলাদেশ এর যৌথ আয়োজনে এবং হারভেস্ট প্লাস বাংলাদেশের সহযোগিতায় দিনব্যাপী জিংক সমৃদ্ধ ধানের সম্প্রসারণের লক্ষ্যে নীতি-নির্ধারকদের নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আরডিআরএস বাংলাদেশ এর আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মোঃ মনিরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ নুরুজ্জামান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন হারভেস্ট প্লাস বাংলাদেশের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর মোঃ ওহিদুল আমিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দিনাজপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ আসিফ ফেরদৌস, হারভেস্ট প্লাস বাংলাদেশের বিজনেস কনসালটেন্ট সালে মোঃ সিয়াহ উদ্দিন। সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন ডিটিও মোঃ জাফর ইকবাল। কর্মশালায় প্রজেক্টরের মাধ্যমে তথ্যভিত্তিক উপস্থাপনা করেন মোঃ শাহিনুর কবির। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন আরডিআরএস বাংলাদেশের কৃষিবিদ মোঃ রাশেদুল ইসলাম। মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহন করেন অতিরিক্ত কৃষি অফিসার বীরগঞ্জ মোঃ রাকিবুল হাসান প্রামানিক, বিরল উপজেলা কৃষি অফিসার মোস্তফা হাসান ইমাম, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার সদর রাকিবুল ইসলাম, সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক মহন আহমেদ, বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষনা ইনস্টিটিউট দিনাজপুর এর উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ ফরহাদ, জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসার মোঃ মঞ্জু আলম সরকার, আদর্শ কৃষক মোঃ আজহারুল ইসলাম রাজা, মিলার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, কৃষি বিপণন কর্মকর্তা রবিউল হাসান, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ শফিকুল ইসলাম। বক্তারা বলেন, পৃথিবীর ২শ কোটি মানুষ জিংক এর অভাবে ভুগছে। তাই প্রতিটি মানুষের জিংকের অভাব পূরণে জিংক ধানের ভাত খেতে নিজেকে উৎসাহিত করতে হবে এবং অন্যকে সচেতন করতে হবে। জিংক সমৃদ্ধ খাবার খেলে ছেলে-মেয়েরা খাটো হয় না, শিশুদের দৈহিক বৃদ্ধি ও মেধার বিকাশ ঘটে, ক্ষুধা মন্দা দুর হয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, গর্ভবতী মায়েদের জিংকের অভাব হলে শারীরিক দুর্বলতা দেখা দেয় এবং বাচ্চার ¯œায়ুতন্ত্র ক্ষতি হয়। মহিলাদের দৈহিক ৮-১২ মিলিগ্রাম জিংক এর প্রয়োজন। আমাদের জিংকের অভাবজনিত পুষ্টি পুরণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে জিংক সমৃদ্ধ ধান।

 

Exit mobile version