দুমকিতে গভর্নিংবডির নির্বাচন নিয়ে কলেজ অধ্যক্ষের লুকোচুরি!

উপজেলা নির্বাহি অফিসার মো. আল-ইমরান অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অধ্যক্ষকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। আসলে জেনেশুনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি॥ পটুয়াখালীর দুমকিতে মুরাদিয়া আজিজ আহম্মেদ ডিগ্রী কলেজের গভর্নিংবডির নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক লুকোচুরি ও খামখেয়ালীপনার অভিযোগ ওঠেছে। কলেজ অধ্যক্ষ আহসানুল হক তাঁর অনুগত গভর্নিংবডি গঠন করতে অভিভাবক সদস্য নির্বাচনের নামে টালবাহানা করেছেন।
অভিভাবক সদস্য পদের প্রার্থী মো. জসিম উদ্দিন হাওলাদার অভিযোগ করে জানান, মুরাদিয়া আজিজ আহম্মেদ ডিগ্রী কলেজ গভর্নিংবড়ি নির্বাচনে তিনি একজন অভিভাবক সদস্য পদের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম দাখিল করেছেন। কিন্ত কোন কারণ ছাড়াই আক্রোশবসত: তার মনোনয়ন পত্রটি বাতিল করা হয়েছে। গতসোমবার তার মনোনয়ন বাতিলের আপিল শুনানীর তারিখ ধার্য্য ছিল। ধার্য্য তারিখ ও সময়ে কলেজে গিয়ে অধ্যক্ষসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কাউকে পাওয়া যায়নি। মনোনয়ন ফরম বিতরণ ও গ্রহনের পর থেকেই অধ্যক্ষ কলেজ সময়ে গা-ঢাকা দেন। মনোনয়ন বাছাই, বৈধ প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ, বাতিলকৃত মনোনয়নের আপিল শুনানীসহ যাবতীয় নির্বাচনী কাজ কোথায় বসে কিভাবে করছেন তা কেউ জানেন না। তাই সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কলেজ অফিসে অপেক্ষার পর বাধ্য হয়ে তিনি প্রতিকার পেতে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। লিখিত অভিযোগে কলেজটির পাতানো নির্বাচন বন্ধ করত: স্বচ্ছভাবে পুণ:নির্বাচনী তপসিল ঘোষনার দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয় একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রের দাবি, বিধি বহির্ভূত নিয়োগ, জাল-জালিয়াতি, নিয়োগ বাণিজ্য, অর্থআত্মসাৎ ও নারী কেলেঙ্কারীর অভিযোগে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ আহসানুল হক তার নিজের অপকর্ম ঢাকতে পছন্দসই গভর্নিংবডি নির্বাচনের উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃত ভাবেই নির্বাচন নিয়ে এমন লুকোচুরি করছেন।
এ বিষয়ে জানতে অধ্যক্ষ মো. আহসানুল হকের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে বার বার কল করা হলেও ফোন বন্ধ করে রাখায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।
উপজেলা নির্বাহি অফিসার মো. আল-ইমরান অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অধ্যক্ষকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। আসলে জেনেশুনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Exit mobile version