এখনো বহাল তবিয়তের ভূমিদস্যু এরাদুল হক ভুট্টু দ্রুত আইনী পদক্ষেপ নেওয়ার দাবী
বরাবর,
জনাব আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান মহোদয়,
জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, চট্টগ্রাম
জেলা প্রশাসকের কাযার্লয়
কোর্ট হিল, কোতোয়ালী, চট্টগ্রাম।
মাধ্যমঃ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রধানমন্ত্রীর কাযার্লয়, পুরাতন সংসদ ভবন, ঢাকা।
দৃষ্টি আকর্ষণঃ মাননীয় ভূমিমন্ত্রী মহোদয় এমপি, ভূমি মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, ঢাকা।
বিষয়ঃ এখানো বহাল তবিয়তে চট্টগ্রামের ভূমি অফিসের দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা এরাদুল হক ভুট্টোর বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেওয়াসহ দ্রুত গ্রেফতারের আবেদন প্রসঙ্গে। (মীরসরাইয়ের এমপি মাহবুবুর রহমান রুহেলের নাম ভাঙিয়ে বেপরোয়া চাঁদাবাজি। মোটা অংকের টাকার লেনদেনের বিনিময়ে এমপিকে হাত করার অভিযোগ— নবনিযুক্ত ভূমিমন্ত্রীর জরুরী হস্তক্ষেপ জরুরী।
জনাব,
যথাবিহীত সম্মান প্রদর্শন পূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, আমরা ভুক্তভোগী চট্টগ্রামের ভূমি অফিসের নিরীহ কর্মচারী এবং জায়গা জমি সংক্রান্ত ক্রয় বিক্রয়ের গ্রাহক ও ভুক্তভোগী জনসাধারণ হই, এই মর্মে আপনাদের বরাবরে ন্যায় বিচার এবং আইনী সহায়তার প্রেক্ষিতে চট্টগ্রামের ভূমি অফিসের দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা এরাদুল হক ভুট্টোর বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানিয়ে অত্র অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে, চট্টগ্রামের ভূমি অফিসের দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা এরাদুল হক ভুট্টোর মাসে ১৫ হাজার বেতনে ২৫ লাখ টাকার গাড়িতে চড়েন তিনি ২৫ লাখ টাকা মুল্যের গাড়ি হাকিয়ে অফিসে আসা চট্টগ্রামের সদর—সাবরেজিস্ট্রি অফিসের কর্মচারী এরাদুল হক ভুট্টোর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে তৎপর হয়ে উঠেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। শুধু তাই নয়, উক্ত অভিযুক্ত দূনীর্তিবাজ কর্মকতার্ এরাদুল ভুট্টুর নামে বেনামে রয়েছে হাজার কোটি টাকার অর্থ, তার এ অবৈধ পথে উপার্জিত অর্থ সম্প্রতি বিএনপি জামাতের ডাকা অবরোধ হরতালে ব্যয় হয়, সরকার বিরোধী কর্মকান্ডে তার এ অবৈধ অর্থ ব্যবহৃত। অথচ অভিযুক্ত দূনীর্তিবাজ কর্মকতার্ এরাদুল ভুট্টু নামে মাত্র সরকার দলীয় ছত্রছায়ায় থেকে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নাম ভাঙিয়ে অন্ধকারে সেই জামাত বিএনপিসহ দেশবিরোধী কর্মকান্ডে অর্থ যোগান দিচ্ছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে দেশের প্রতিটি জাতীয় দৈনিক অনলাইন নিউজ পোটার্ল সহ চট্টগ্রামের স্থানীয় পত্রিকাগুলোতে ধারাবাহিক চট্টগ্রামের ভূমি কর্মকতার্ এরাদুল হক ভুট্টুর দূর্নীতির সংবাদ প্রকাশিত হলেও সেই নাকি দুনীর্তি দমন অফিসের বড় কর্মকতার্দের মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করে মুখে কস্টেপ লাগিয়ে দিয়েছে বলে অভিযুক্ত দূনীর্তিবাজ কর্মকতার্ এরাদুল ভুট্টুর হুংকার দিয়ে বলেন, এ সরকারের এমন কোন ক্ষমতা নেই যে, আমাকে ভূমি অফিস থেকে অব্যাহতি প্রদান সহ আমার বিরুদ্ধে কোন প্রকার আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারবে না? কারণ আমি নামে আওয়ামীলীগ হলেও আগামী বিএনপি ক্ষমতা এলেই প্রতিটি সাংবাদিকের হাতের কব্জি কেটে ফেলল এবং দূনীর্তিবাজ অফিসের কর্মকতার্দের হাতে মোটা অংকের টাকা গুজিয়ে দিয়ে তাদেরকে আমি দূনীর্তির অভিযোগে আমার মামা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে নিয়ে শায়েস্তা করব। এমনকি তিনি আরো বলেন, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান জাবেদ ও তার পিএস এর সাথে রয়েছে তার বড় সখ্যতা এবং তার এ অবৈধ পথে অর্থের অর্জিত মোটা অংকের টাকা ভূমিমন্ত্রী ও পিএস এর পকেটে যায়। যার কারণে ভূমি মন্ত্রণালয় আমার কথায় উঠে আর বসে। অভিযুক্ত দূনীর্তিবাজ কর্মকতার্ এরাদুল ভুট্টু আরো বলেন, আমি যদি ২৫ লাখ টাকার গাড়ীতে চড়ে থাকি তাহলে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান জাবেদ বর্তমানে যে গাড়ীতে চলেন ঐ গাড়ীটি কেনার জন্য আমি তাকে ১ কোটি টাকা দিয়েছি। সেই কিভাবে আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে? আমার কেউ …………..ফেলতে পারবে না মর্মে আরো অশোভন অশালীন কথা বাতার্ বলেন সবাইকে। দুদক চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক আবদুল আজিজ ভূইয়া বলেন, ওই কর্মচারীর বিষয়টি আমি অবগত। তার বিরুদ্ধে উঠা দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিয়ে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়েছি। এদিকে উক্ত দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা চট্টগ্রাম ভূমি রেজিঃ নং এম্পলইজ এসোসিয়েশন জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা এরাদুল হক ভুট্টো অবৈদ সম্পদের ইতিমধ্য স্থানীয় একটি মহল এরাদুল হক ভুট্টোর বিরুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার একান্ত সহযোগিতা কামনা করে মাত্র ১৫ হাজার টাকা মাসিক বেতনের চাকুরিতে কর্মরত দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা এরাদুল হক ভুট্টো কী করে সে ২৫ লক্ষ টাকা দামের গাড়িতে চড়েন তা নিয়েও ব্যপক প্রশ্নও দেখা দিয়েছে। এছাড়াও তার শুধু ২৫ লক্ষ টাকার দামের গাড়ি নয়। তার রয়েছে কর্ণেল হাট এলাকায় একটি আবাসভূমি, নামে বেনামে রয়েছে অঢেল সম্পদ এমনকি বিভিন্ন ব্যাংক একাউন্টে রয়েছে বিশাল বিত্ত ভৈরবের ভান্ডার। সাধারন একজন ভূমি কর্মকর্তা হয়েও চট্টগ্রাম ভূমি রেজিঃ অফিসে কর্মরত থেকে কী করে তিনি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন বিষয়টি অতি দ্রুত আইনগত ব্যবস্থার মাধ্যমে কার্য্যকর করার জোর দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী জনগন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুদকের এক অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা একুশেপত্রিকাডটকমকে বলেন, সাধারণত কারো বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের জন্য আমাদেরকে প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন নিতে হয়। এরপর সেখান থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর অনুসন্ধান শুরু হয়। সাবরেজিস্ট্রি অফিসের কর্মচারী এরাদুল হক ভুট্টোর বিষয়টি প্রধান কার্যালয়কে অবহিত করা হয়েছে। সংবাদ প্রকাশ না করতে সাংবাদিককে মোটা অংকের লোভনীয় অপারেও ব্যর্থ দূনীর্তিবাজ ভূমি কর্মকতার্ এরাদুল হক ভুট্টু। জানা যায়, গত ২৬ অক্টোবর চট্টগ্রাম ভূমি রেজিস্ট্রেশন অফিসে কর্মরত বর্তমান স্বেচ্ছাসেবক লীগের চট্টগ্রাম উত্তর জেলা কমিটির সভাপতি সরকারী চাকুরীর কর্মস্থলে দায়িত্বরত থেকে অন্ধকারে আলাদ্বীনের চেরাগ জ্বালিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতির পদে নিবার্চিত হয়ে বাংলাদেশ সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয় তথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ভূমি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে উক্ত দূনীর্তিবাজ কর্মকতার্ এরাদুল হক ভুট্টু দীর্ঘদিন যাবৎ অলৌকিকভাবে বর্তমান সরকারের ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব খাটিয়ে চট্টগ্রাম রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্সে দায়িত্বরত অবস্থায় প্রতিনিয়ত ঘুষ ও অনৈতিক লেনদেনের মাধ্যমে তিনি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন। ধরাকে স্বরাজ্ঞান মনে করে নিজের ইচ্ছামতো কিছু কিছুকেই তোয়াক্কা না করে তার অপরাধ অপকর্ম নিত্য ভূমি সংক্রান্ত ঘুষ বাণিজ্য দিব্যি প্রকাশে চালিয়ে যাচ্ছে। গত ৩ জুলাই ‘১৫ হাজার বেতনে ২৫ লাখ টাকার গাড়ি !’ শিরোনামে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জাতীয় পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয় ভুট্টুর দূনীর্তির সংবাদ প্রকাশ হয়। এতে তথ্য প্রকাশ করা হয়— চট্টগ্রামের সদর—সাবরেজিস্ট্রি অফিসের কর্মচারী এরাদুল হক ওরফে ভুট্টো অফিসে আসেন ২৫ লাখ টাকা মুল্যের কার (চট্টমেট্রো—গ—১২—৭৬৪৯) হাকিয়ে! অথচ এই পদের একজন কর্মচারীর বেতন মাসিক ১৫ হাজার টাকা। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। এ সংক্রান্ত একুশেপত্রিকাডটকমের নিউজটি অনলাইন—অফলাইনে ব্যাপক আলোচিত হয়।এরপর অফিসে আসা—যাওয়ার ক্ষেত্রে নিজের সাধের প্রিমিও কারটির ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছেন এরাদুল হক ওরফে ভুট্টো।চট্টগ্রামে সাব রেজিস্ট্রি অফিসের সরকারি কর্মচারী ভুট্টো এখন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সদর সাব—রেজিস্ট্রার অফিসের অফিস সহকারী এরাদুল হক ভুট্টোকে সরকারি কর্মচারী বিধিমালা লঙ্ঘন করে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি করা হয়েছে। গত ২৫ জুলাই ২০২৩ ইং বন্দরনগরীর কাজির দেউড়ি এলাকার একটি কনভেনশন হলে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ওই ইউনিটের ত্রি—বার্ষিক সম্মেলনে তাকে এ পদ দেওয়া হয়। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক করা হয় নাসির উদ্দিন রিয়াজকে। ২০ বছর পর অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। জানা যায়, সদর সাব—রেজিস্ট্রার অফিসের সহকারীর এরাদুল হক নিজামী ভুট্টো মীরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বেও রয়েছেন। এর আগে, তিনি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়কের দায়িত্বও পালন করেন। শুধু তাই নয়, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়কও ছিলেন তিনি। এরপর থেকেই তাকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠে। সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৯—এর রাজনীতি ও নির্বাচনে অংশগ্রহণ অংশে বলা আছে, সরকারি কর্মচারী কোনো রাজনৈতিক দলের বা রাজনৈতিক দলের কোনো অঙ্গসংগঠনের সদস্য হতে অথবা অন্য কোনোভাবে যুক্ত হতে পারবেন না অথবা বাংলাদেশ বা বিদেশে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে বা কোনো প্রকারের সহায়তা করতে পারবেন না। অথচ সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ভঙ্গ করে সাব রেজিস্ট্রি অফিসের ওই কর্মচারী স্বেচ্ছাসেবক লীগের জেলা সভাপতির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়েছেন। তিনি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সরকারী দলের নাম ভাঙিয়ে ভূমি অফিসের অব্যাহতির মিথ্যা তথ্য দিয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হন ভূট্টো। চাকরি থেকে অব্যাহতির মিথ্যে তথ্য দিয়ে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতির পদ বাগিয়ে নিয়েছেন জেলা সাব রেজিস্টার অফিসের এক কর্মচারী। ওই অফিস সহকারীর নাম এরাদুল হক নিজামী ভুট্টো। সদ্য পাওয়া পদ ছাড়াও তিনি মীরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন। এর আগে, তিনি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়কের দায়িত্বও পালন করেন। শুধু তাই নয়, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়কও ছিলেন তিনি। এরপর থেকেই তাকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠে সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৯—এর রাজনীতি ও নির্বাচনে অংশগ্রহণ অংশে বলা আছে, সরকারি কর্মচারী কোনো রাজনৈতিক দলের বা রাজনৈতিক দলের কোনো অঙ্গসংগঠনের সদস্য হতে অথবা অন্য কোনোভাবে যুক্ত হতে পারবেন না অথবা বাংলাদেশ বা বিদেশে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে বা কোনো প্রকারের সহায়তা করতে পারবেন না। অথচ সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ভঙ্গ করে সাব রেজিস্ট্রি অফিসের ওই কর্মচারী স্বেচ্ছাসেবক লীগের জেলা সভাপতির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়েছেন। দীর্ঘ দুই দশক পর মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) চট্টগ্রাম নগরের কাজির দেউরি ইন্টারন্যাশনাল হলে উত্তর জেলা আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের ত্রি—বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে এরাদুল হক নিজামী ভুট্টোকে সভাপতি এবং মো. নাছির উদ্দিন রিয়াজকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু। এ বিষয়ে মুঠোফোনে সদ্য সভাপতি হওয়া এরাদুল হক নিজামী ভুট্টোর বক্তব্য জানতে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে থাকার অজুহাত দেখিয়ে তিনি ফোন কেটে দেন। পরে একাধিকবার ফোন দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু বলেছেন, প্রার্থী হওয়ার আগেই এরাদুল হক ভুট্টো চাকরি থেকে অব্যাহতি নেয়ার কথা তাদের জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমিও শুনেছি এরাদুল হক নিজামী ভুট্টো সরকারি চাকরি করেন। তাই আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম, তবে সে (ভুট্টো) জানিয়েছে— ‘প্রার্থীর জন্য আবেদন করার আগেই সে (ভুট্টো) চাকরিতে অব্যাহতি দিয়েছে।’ তবে উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনের কারণে অফিসে অনুপস্থিত থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা রেজিস্ট্রার মিশন চাকমা বলেন, ‘তিনি ছুটিতে আছেন। এর বাইরে আমি কিছু জানি না।’ চাকরি থেকে অব্যাহতি নয়, শুধুমাত্র অফিসে থেকে ছুটিতে থাকার কথা জানালে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বলেন, ‘না, এরকম তো হওয়ার তো কথা না। আমরা আবার খবর নিচ্ছি।’ আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের স্বেচ্ছাসেবক লীগ গঠনতন্ত্রে বয়স কোনো লিমিট নেই। ছাত্র হতে হবে এমন কোনো কিছু নেই। মুজিব সৈনিক হলেই চলে। আমরা শুধু দেখি ছাত্রলীগ করছে রাজনীতি করছে কিনা। তবে আমরা যতটুকু জানি সে চাকরি ছেড়ে দিয়েছে।’ তবে সরকারি চাকরির পাশাপাশি দলীয় পদে থাকার বিষয়ে সাংগঠনিক বিধানের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়টি সম্পর্কে পুরোটা আমি অবগত নয়। রাতে গিয়ে জেনে নিব।’ তবে যদি সাংগঠনিক বিধানে যদি চাকরিতে থাকা অবস্থায় দলীয় পদে থাকার বিধান না থাকে তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। চট্টগ্রামের ভূমি অফিসের দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা এরাদুল হক ভুট্টো চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ থানাধীন এলাকায় গ্রামের বাড়ী হলেও চট্টগ্রাম শহরের উত্তর হালিশহর কর্ণেলহাট এলাকায় অবৈধ অর্থে গড়ে তুলেছেন বিশাল বিত্তভৈরব ভবন তুলেছেন। তার গ্রামের বাড়ীতে রয়েছে তার কোটি টাকার সম্পদ, বাড়ী গাড়ী এবং নামে বেনামে ব্যবসা বাণিজ্য। শুধু তাই নয়, চট্টগ্রামের ভূমি অফিসের দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা এরাদুল হক ভুট্টো মীরসরাইয়ের ইকোনমিক জোনে হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে প্রায় ৩৫ একর জায়গা ক্রয় করেছেন। চট্টগ্রামের ভূমি অফিসের দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা এরাদুল হক ভুট্টো ভূমি অফিসের অবৈধ অর্থ দিয়ে কক্সবাজার, কুমিল্লা সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পথে মাদক চোরকারবারীদের সাথে সখ্যতা করে মাদক বাণিজ্যসহ বিভিন্ন হোটেল মাদক ও নারী সরবরাহ সহ অসামাজিক কর্মকান্ডে জড়িত রয়েছে। ভুক্তভোগী সচেতন মহলের জোর দাবী চট্টগ্রামের ভূমি অফিসের দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা এরাদুল হক ভুট্টোকে আইনের আওতায় এনে তার সরকারী চাকুরীচ্যুত সহ তার নামে বেনামে সম্পত্তি ক্রোক ও অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করা না হলে তার অর্জিত অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ বিএনপি জামাতের দেশবিরোধী কর্মকান্ডে ব্যয় করে দেশের ও সরকার হটানোর কার্যকলাপ বন্ধসহ চট্টগ্রামের ভূমি অফিসের দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা এরাদুল হক ভুট্টোকে গ্রেফতার করার জোর দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগী জনসচেতন।
এমতাবস্থায়, উপরোক্ত বিষয়াদীর আলোকে চট্টগ্রামের ভূমি অফিসের দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা এরাদুল হক ভুট্টোকে গ্রেফতারসহ তার অবৈধ পথে অর্জিত সম্পদ জব্দ পূর্বক আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্Íমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করিলে ভুক্তভোগী জনসাধারণ অনেকাংশে উপকৃত হবে।
বিনীত নিবেদক—
অভিযোগকারী…..
ভুক্তভোগী চট্টগ্রামের ভূমি অফিসের নিরীহ কর্মচারী এবং
জায়গা জমি সংক্রান্ত ক্রয় বিক্রয়ের গ্রাহক ও ভুক্তভোগী জনসাধারণ
জেলা সাব রেজিস্ট্রার, সাব রেজিস্ট্রারের কাযার্লয়, কোর্টহিল, কোতোয়ালী, চট্টগ্রাম।
তারিখ ঃ ২১/০২/২০২৪ খ্রি:
বিশেষ অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণার্থে অনুলিপি পেশ করা হলো:
১) মাননীয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, জনাব আসাদুজ্জামান কামাল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা।
২) নবনিযুক্ত ভূমিমন্ত্রী মহোদয়, ভূমি মন্ত্রলালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা।
৩) মহা—পুলিশ পরিদর্শক, বাংলাদেশ পুলিশ, বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, ঢাকা।
৪) মাননীয় সিএমপি পুলিশ কমিশনার, দামপাড়া ওয়াসা, চট্টগ্রাম।
৫) অধিনায়ক, র্যাব—৭, পতেঙ্গা সদর দপ্তর, পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম।
৬) পরিচালক, র্যাব, ক্রাইমস্ বিভাগ, ঢাকা।
৭) রেজিস্ট্রার, জেলা সাব রেজিস্ট্রার, সাব রেজিস্ট্রারের কাযার্লয়, কোর্টহিল, কোতোয়ালী, চট্টগ্রাম।
৮) চেয়ারম্যান, দূর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), সেগুনবাগিচা, ঢাকা।
৯) গোয়েন্দা সংস্থা, ডিবি, সিটি এসবি, এনএসআই, ডিজেএফ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
১০) ভারপ্রাপ্ত কর্মকতার্, মীরসরাই থানা, মীরসরাই, চট্টগ্রাম।
১১) ভারপ্রাপ্ত কর্মকতার্, জোরারগঞ্জ থানা, মীরসরাই, চট্টগ্রাম।
১২) ভারপ্রাপ্ত কর্মকতার্, কোতোয়ালী থানা, সিএমপি, চট্টগ্রাম।
১৩) সভাপতি/সেক্রেটারী, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগ, চট্টগ্রাম।
১৪) অফিস কপি।
চট্টগ্রামের ভূমি অফিসের দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা এরাদুল হক ভুট্টোর বিরুদ্ধে দেশের প্রতিটি জাতীয় দৈনিক অনলাইন নিউজ পোটার্ল সহ চট্টগ্রামের স্থানীয় পত্রিকাগুলোতে ধারাবাহিক চট্টগ্রামের ভূমি কর্মকতার্ এরাদুল হক ভুট্টুর দূর্নীতির সংবাদ প্রকাশিত সংবাদের লিংকমেইলের এটাচমেন্টে দেয়া হলো।
Post Views: ২৪৩
Like this:
Like Loading...
Related