মঙ্গলবার, ১৩ এপ্রিল ২০২১, ০৪:৪১ পূর্বাহ্ন
সোমবার এক ইমেইল বার্তায় তিনি তার সহকর্মীদের উদ্দেশ্যে অবসর গ্রহনের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে লেখেন, ‘আমি বিবিসিকে ভালোবাসি। আমি যদি আমার মনের কথা শুনতাম তাহলে কখনো পদত্যাগ করতে চাইতাম না। এটা আমার জন্য কঠিন এক সিদ্ধান্ত।’
ইমেইলে তিনি আরো লেখেন, তার বিশ্বাস, যে সময় মহাপরিচালক হয়েছিলেন তখনকার তুলনায় এখন তিনি বিবিসি’কে অনেক বেশি শক্তিশালী অবস্থানে রেখে বিদায় নেবেন।
আগামী গ্রীষ্মেই আনুষ্ঠানিকভাবে বিবিসির মহাপরিচালকের পদ থেকে সড়ে দাঁড়াবেন তিনি।
২০১২ সালের নভেম্বরে তৎকালীন বিবিসি মহাপরিচালক জর্জ এনটুইসেলের পদত্যাগের পর দায়িত্ব নিয়েছিলেন বার্তা বিভাগের সাবেক পরিচালক এবং রয়েল অপেরা হাউজের প্রধান নির্বাহী লর্ড টনি হল।
বিবিসি’র একটি জনপ্রিয় আলোচনা অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যের একজন জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদকে ভুল করে শিশু যৌন নিপীড়নকারীর তকমা দিয়ে সংবাদ পরিবেশনের অভিযোগ স্বীকার করে নিয়ে দায়িত্ব নেয়ার মাত্র ৫৮ দিনের মাথায় পদত্যাগ করেছিলেন এনটুইসেল।
টনি হলও এমন এক সময়ে সরে দাঁড়াচ্ছেন যখন নারী-পুরুষের মজুরিতে বৈষম্য, রাজনৈতিক পক্ষপাত, বৈচিত্র্য এবং টিভি লাইসেন্স বাতিলের মতো বিষয়গুলো নিয়ে একটা খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বিবিসি।
টনি হলের পর কে তার স্থলাভিষিক্ত হবেন তা এখনো ঠিক হয়নি। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বিজ্ঞাপন দিয়ে মহাপরিচালক পদে নতুন লোক খোঁজা শুরু হবে এবং সবচেয়ে যোগ্য কাউকেই এ পদের জন্য বেছে নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিবিসি চেয়ারম্যান ডেভিড ক্লেমেন্তি।
তিনি বলেন, টনি বিবিসি মহাপরিচালক হিসাবে যুক্তরাজ্যসহ এর বাইরেও সৃজনশীল, উদ্যমী নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং সাত বছর তাকে পেয়ে জন্য বিবিসি ধন্য।