প্রতিমন্ত্রী মুরাদ ছাত্রদলের নেতা ছিলেন: মির্জা ফখরুল

তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের পদত্যাগ দাবি করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, ছাত্রজীবনে মুরাদ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক ছিলেন।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে স্বৈরাচার পতন ও গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা ও মুক্তির দাবিতে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

৯০’র ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের ব্যানারে আয়োজিত এই আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন তৎকালীন ডাকসুর ভিপি মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান।

ডা. মুরাদকে ভূইফোড় ডাক্তার দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি ছাত্র লীগে যোগ দেন। শেম।

ডা. মুরাদ কয়েকদিন আগে ভয়াবহ বক্তব্য দিয়েছেন উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, সেদিন এই প্রতিমন্ত্রী বলেছেন ‘আমি যা কিছু করছি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই করছি। প্রধানমন্ত্রী সবকিছু জানেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্পষ্ট জানতে চাই, এই ভয়াবহ উক্তি যদি একজন মন্ত্রী করতে পারে, তাহলে আপনার সরকারের অবস্থান কী আমরা জানতে চাই। উত্তর দিতে হবে। কারণ আপনাকে জড়িয়ে কথা বলা হয়েছে। আমরা তীব্রভাবে এর প্রতিবাদ জানাই। ধিক্কার জানাই।

অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে, এমনকি যখন তিনি চিকিৎসা নিয়ে সরকারের প্রতিহিংসামূলক আচরণের শিকার, তখন তার পরিবারের নারী সদস্যকে নিয়ে এমন বক্তব্য দেশের নারী নেত্রীসহ সচেতন মহলের ঘৃণা কুড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে এই সরকারের সাথে গণতন্ত্রের কোনো সম্পর্ক নেই। এই সরকার জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। যেহেতু তারা রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে। সে কারণে তারা সামাজিক মাধ্যমে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে অত্যন্ত জঘন্য নিকৃষ্ট প্রচার চালানো শুরু করেছে।

বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফজলুল হক মিলনের পরিচালনায় আলোচনাসভায় আরও বক্তব্য দেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বিএনপির বিশেষ সম্পাদক ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ড. আসাদুজ্জামান রিপন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব, ডাকসুর সাবেক জিএস বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাবেক ছাত্র নেতা জহির উদ্দিন স্বপন, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, ডাকসুর সাবেক এজিএস বিএনপি নেতা নাজিম উদ্দিন আলম প্রমুখ।

Exit mobile version