ফিলিপাইনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় রাই। আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এটি স্থলভাগে আছড়ে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ক্রমাগত শক্তি সঞ্চয় করে এরই মধ্যে ঝড়টি সুপার টাইফুনে রূপ নিয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক আবহাওয়া সংস্থা জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার (জেটিডব্লিউসি)। এর কারণে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ফিলিপাইনের মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষকে।
ফিলিপাইনের আবহাওয়া ব্যুরো ‘পাগাসা’ বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় রাই দ্রুত শক্তি বাড়াচ্ছে এবং দিনাগাত ও সুরিগাও প্রদেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। স্থলভাগে আছড়ে পড়ার আগে এর গতিবেগ দাঁড়িয়েছে ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার, যা কখনো কখনো ২৩০ কিলোমিটারেও পৌঁছাচ্ছে।
পাগাসা সতর্ক করে বলেছে, আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে ফিলিপাইনের কয়েকটি অঞ্চলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে পারে ঘূর্ণিঝড় রাই। তবে বৃহস্পতিবার বিকেলের মধ্যেই এটি স্থলভাগে আছড়ে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর প্রভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছে সমুদ্র। ঝড়ো বাতাস বইতে শুরু করেছে উপকূলীয় এলাকাগুলোতে। ঝড়ের পাশাপাশি ওইসব অঞ্চলে বন্যা ও ভূমিধসেরও আশঙ্কা করা হচ্ছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত জেলেদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
ফিলিপাইনের জাতীয় দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা এনডিআরআরএমসি জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় রাইয়ের কারণে দেশটির আটটি অঞ্চলে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এই অঞ্চলগুলোতে বসবাস করে তিন কোটির বেশি মানুষ।
ঝড়ের কারণে অনেক এলাকাতেই লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। সেবু প্রদেশসহ একাধিক অঞ্চলে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সবধরনের কাজকর্ম।
ইস্টার্ন সামার প্রদেশের গভর্নর বেন এভারডোন জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সেখানকার প্রায় ৩০ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
পূর্বাঞ্চলীয় ভিসায়াসের অন্য এলাকাগুলো থেকে সরানো হয়েছে ১৭ হাজারের বেশি মানুষ। সুরিগাও প্রদেশে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হয়েছে অন্তত ৫১ হাজার বাসিন্দাকে। এছাড়া, বুধবার বিকেলের আগে তাডাং শহর থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ৬২ হাজারের বেশি মানুষকে। সূত্র: আল জাজিরা