মোঃ আবুল কাশেম, জেলা প্রতিনিধি, দৈনিক স্বদেশের খবর, ভোলা, বরিশাল, বাংলাদেশ। দীর্ঘদিন যাবত রাষ্ট্রীয় সহায়তায় লোক চক্ষুর আড়ালে ও লোক জ্ঞানের আড়ালে — স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনীদের হাতে ছিল দরজি বাড়ির দরজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হেড মাষ্টারী। স্কুলটি ভোলা জেলার চরফ্যাসন উপজেলার বর্তমান শশীভূষণ থানার বর্তমান এওয়াজপুর ইউনিয়নের বর্তমান দুই নং ওয়ার্ডের সর্ব দক্ষিণের পূর্ব-পশ্চিম দিক গমনাগমনগামী সরকারী পাকা সড়কের উত্তর পার্শ্বস্থ দরজি বাড়ির দরজায়। দরজি বাড়ির ও তাদের লোক জনেরা ইতিপূর্বে কর্তার হাট এলাকার উত্তরের লালমোহন থানার রমাগঞ্জ ইউনিয়নের এক ভূতপূর্ব দরজি বাড়ির লোক ছিল। সেই বাড়িতে থাকাকালে বর্তমান বরিশালের কাশিপুরের এক পক্ষকে জমিজমা সংক্রান্ত মামলায় ব্লাকমেইল করে ও ব্লাকমেজিকে আটকে দিয়ে তদানীন্তন বিচারাধীন আদালতকে মিথ্যা বুঝিয়ে ও ফাটকি দিতে সক্ষম হয়ে আদালতের বেবিচারী রায় উৎপাদন করে। সেই অবিচারিক বা বেবিচারিক রায়ের মাধ্যমে বর্তমান ঐ এওয়াজপুরের দরজি বাড়ির লোকেরা ঐ দরজি বাড়ি নামক বাড়ির জমিজমার মালিকানা দখল করে। আদালতের অবৈধ, বেআইনী, বেবিচারী রায়ের দ্বারা রায়ের পরে দখলকৃত উক্ত চোরাই জমিজমার মালিকানা নিয়ে নিজেদের মধ্যে ভাগ- বন্টন নিয়ে গন্ডগোল দেখা দিলে চোরাই জমির মাষ্টার মাইন্ডেডগণ জমিতে তৃতীয় শক্তির অবস্থান স্থাপনে মনোনিবেশী হয়। যাতে কস্মিন কালেও বরিশালের কাশিপুরের প্রকৃত সত্য ও সঠিক মালিকগণ তাদের জমির মালিকানার দাবী নিয়ে সরজমিনে স্থাপিত হতে না পারে। জমিতে তৃতীয় শক্তির অবস্থান স্থাপন করার জন্য চোরাই জমির ভাগ বন্টকের বিবাদীয় পক্ষগণের মধ্যের এক গ্রুপ ঐ বাড়ির দরজায় একটি স্কুল স্থাপন করে ও স্কুলের নামে কিছু জমি চিহ্নিত করে। সেই চোরাই জমিতে দরজি বাড়ির দরজার বর্তমান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় বিদ্যমান হয়েছে। আর দীর্ঘকাল যাবত ঐ বিদ্যালয়েরই প্রধান শিক্ষক ছিল জনৈক ছিদ্দিক মাষ্টার। যে কিনা ঐ এওয়াজপুর ইউনিয়নেরই ফকির বাড়ির এক নাজির আহম্মেদ ফকির বাড়ির বা নাজির মাষ্টার (পিতা – মৃত: ছমেদ ফকির) এর ভাতিজা। নাজির মাষ্টার বা নাজির ফকির ঐ এওয়াজপুরের ছয় নং ওয়ার্ডের হোসেন হাওলাদারের এক মেয়ে বিবাহ করেছে। সেই হোসেন হাওলাদারের আরেক নাম দানু হাওলাদার। দানু হাওলাদার বা হোসেন হাওলাদারের এক ছেলে নুরিসলাম হাওলাদার। নুরিসলাম হাওলাদার-ই মোঃ ইউসুফ নামে বাংলাদেশের উত্তর বঙ্গের একটি জেলার বাসিন্দা পরিচয় দিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকরিতে যোগদান করে। চাকরিতে থাকাকালে বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদের গাড়ির ড্রাইভারিরও পোস্টিং নেয়। ১৯৭৫ ইং সালের ১৫ই আগস্টের বঙ্গবন্ধুর খুনের রাতে ঐ ইউসুফই ঐ খুনি মাজেদের গাড়ির ড্রাইভার ছিল এবং মাজেদের নির্দেশনা মোতাবেক ক্যান্টনমেন্টের বাইরে বঙ্গবন্ধু খুনের রাতের সারা রাত গাড়ি চালিয়ে ছিল। ১৯৭৫ ইং সালের ১৬ই আগস্টের দিনে দিগ্বিদিক বঙ্গবন্ধুর খুনের খবর ছড়িয়ে পড়লে ও “কি থেকে কি হয়” তার ভয়ে ঐ ইউসুফ সেনাবাহিনীর চাকরি হতে পালিয়ে ভোলায় চলে আসে ও সাবেক নুরিসলাম নাম ধারন করে। তারপর থেকে যখন যেই সরকার রাষ্ট্র সরকারের ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকে তখন তাদের আজ্ঞাবহ হয় ও তাদের মধ্যে ঢুকে পড়ে। সেই জন্য নুরিসলাম হাওলাদার তার ভগ্নিপতির ভাতিজাকে দিয়েও জমি চোর দরজি বাড়ির দরজার স্কুলের প্রধান শিক্ষকতার দখল নেয়। এবং দরজি বাড়ির একপক্ষও উক্ত দখল দেয়। বর্তমানে বঙ্গবন্ধুর খুনী পক্ষের সেই ছিদ্দিক ফকির বা ছিদ্দিক মাষ্টার মৃত: হলেও ঊনবিংশ শতাব্দির ষাট দশকের বরিশাল ও কক্সবাজার লাইনের চলন্ত বাদুরা জাহাজ ডাকাত দলের পক্ষের লোক রফিক মাষ্টার ঐ স্কুলের শিক্ষকতায় নিয়োজিত আছে। যাদেরকে ব্যবহার করে দরজি বাড়ি নামক জমির সাবেক জমি চোরেরা আদালতের বেবিচারি রায়ের মাধ্যমে প্রাপ্ত চোরাই জমির দখলদারিত্ব বহাল রাখার দূর্নীতিতে, দুষ্কর্মে, বেআইনী কর্মে ও পবিত্র জাতীয় সংবিধান বিরোধী কর্মে নিয়োজিত আছে। তাই দেশ, জাতি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র হতে ভয়ানক দূর্নীতি, ভয়ানক দুষ্কর্ম, ভয়ানক বেআইনী কর্ম, ভয়ানক অবৈধ কর্ম, ভয়ানক অন্যায় কর্ম ও পবিত্র জাতীয় সংবিধানের ভয়ানক বিরোধী কর্ম দূর করার জন্য দরজি বাড়ির ঐ জমি জমায় বরিশালের কাশিপুরের মালিকদের পক্ষে রাষ্ট্রকেই নিয়োজিত হতে হবে এবং ঐ জমিতে কাশিপুরের মালিকদেরকেই স্থায়ীভাবে স্থাপন করা প্রয়োজন। কেননা তারাই উক্ত জমিজমার প্রকৃত মালিক, সত্য মালিক, বৈধ মালিক, আইনগত মালিক ও পবিত্র জাতীয় সাংবিধানিক মালিক। ছবিতে — দরজি বাড়ির দরজার চোরাই জমির সাবেক ও বর্তমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।