সোমবার, ১২ এপ্রিল ২০২১, ০৭:২৭ পূর্বাহ্ন
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি:নেই আর আগের মত দালালের আনাগোনা, হঠাৎ বদলে গেছে গাইবান্ধা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের চিত্র। কোন অভিযোগ নেই পাসপোর্ট করতে আসা মানুষ, প্রতিটি কক্ষের ভেতরে-বাইরে বিরাজ করছে সুন্দর পরিবেশ। অফিসে সেবা নিতে আসা মানুষগুলো লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে পাসপোর্টের জন্য ছবি ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিচ্ছেন। তাদের সাপোর্ট এবং সেবা দিচ্ছেন অফিস কর্তৃপক্ষ। গতকাল এমনই চিত্র চোখে পড়ে গাইবান্ধা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের। অথচ গাইবান্ধা পাসপোর্ট অফিসের বিরুদ্ধে বরাবরই নানা অভিযোগ ছিল ভুক্তভোগীদের। পাসপোর্ট অফিসে দালালদের খপ্পরে পড়ে অতিরিক্ত অর্থ গুণতে হতো সাধারণ মানুষকে। ফরম পূরণ, পুলিশ ভেরিফিকেশন, মেশিনের সমস্যাসহ নানা অজুহাতে সরকারি খরচের বাইরেও অতিরিক্ত টাকা আদায় করতো দালালরা। এসব কর্মকান্ডে অফিসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দালালদের যোগসাজশের অভিযোগও ছিল ভুক্তভোগীদের। যা বরাবরই অস্বীকার করতো অফিস কর্তৃপক্ষরা। কিন্তু অজানা কারণে হঠাৎ করেই পাল্টে গেছে গাইবান্ধা পাসপোর্ট অফিসের চিত্র। গাইবান্ধা সদরের কূপতলা এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে আসাদুল মিয়া বলেন কর্মসংস্থানের কারণে বিদেশ যাওয়ার জন্য তিনি পাসপোর্ট করতে এসেছেন। সরকারি খরচের বাইরে কাউকে কোন টাকা দেননি বা কোন টাকা দাবি করা হয়নি। তবে জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী মায়ের নাম ফরমে ভুল লেখায় একবার হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। জেলার সাঘাটা উপজেলা থেকে পাসপোর্ট করতে আসা মামুন হজ গ্রুপের মোয়াল্লেম ফরহাদ হোসেন বলেন পাসপোর্ট করার জন্য প্রায়ই তাকে এ অফিসে আসতে হয়। তিনি বলেন, একটু টাকা-পয়সা খরচ করলে কাজটা দ্রুত হয়। গাইবান্ধা আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবুল বাসার বলেন, পাসপোর্ট করতে এসে একজন ব্যক্তিও যেন হয়রানির শিকার না হন, তারা তাদের প্রাপ্য সেবা পান, সব সময় আমরা সে চেষ্টা করি।