সোমবার, ১২ এপ্রিল ২০২১, ০৩:০২ পূর্বাহ্ন
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: আর কতদিন বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার করতে হবে জানে না এলাকাবাসী। বন্যার সময় নৌকায়, খরার সময় বাঁশের সাঁকোয় অথবা হাঁটু পানি পাড়ি দিয়ে চরবাসীকে চলাচল করতে হচ্ছে বছরের পর বছর। চরাঞ্চলের ৫০টি স্থায়ী নালা বা শাখা নদীর উপর কোনো সেতু নির্মাণ করা হয়নি। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়ার উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে এখন অসংখ্য নালা ও শাখা নদীতে পরিণত হয়েছে। অনেক শাখা নদী এখন স্থায়ী হয়ে গেছে। তিস্তার স্রোতে ওইসব নালা ও শাখা নদী ভাঙনের সম্ভাবনা না থাকলেও সেতু নির্মাণের কোনে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। দিনের পর দিন বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে পারাপার করতে হচ্ছে পথচারী, স্কুল ও কলেজগামী শিক্ষার্থীদের। জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে প্রতিবছর নির্মাণ করা হয় ওইসব সাঁকো। তারাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, তার ইউনিয়নে কমপক্ষে ১০টি স্থানে বাঁশের সাঁকো রয়েছে। প্রতিবছর বন্যা পরবর্তী সাঁকো নির্মাণ করে দিতে হয় এলাকাবাসীর চলাচলের জন্য। বেলকা চরের শিক্ষার্থী শিপন মিয়া বলেন বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে পারাপার করা অত্যন্ত কষ্ট ও ঝুকিপূর্ণ। ব্যবসায়ী মফিদুল হক মন্ডল বলৈন বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে মালামাল বহন করা যায় না। সে কারণে দ্বিগুণ মজুরি দিয়ে ঘোড়ার গাড়ি বা নৌকা যোগে মালামাল পারাপার করতে হয়। এতে করে খরচ বেশি হয় এমনকি লোকসান গুণতে হয়। এছাড়া সময়ও বেশি লাগে। উপজেলা প্রকৌশলী মুহাম্মদ আবুল মুনছুর বলেন চরাঞ্চলে সেতু নির্মাণ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় করে থাকে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বলেন চরাঞ্চলে বেশ কয়েকটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি স্থানে সেতু নির্মাণের চাহিদা পাঠানো হয়েছে।