এস এম সাইফুল ইসলাম কবির. বাগেরহাট :বাগেরহাটের কচুয়ায় গ্রাম অঞ্চলে প্রতি দিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। বেশির ভাগ রোগী প্রাইভেট ক্লিনিকের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে বাড়িতে থাকছেন। এ কারনে হুহু করে ছড়িয়ে পড়ছে ডেঙ্গু। ডেঙ্গু রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সুত্রে জানাগেছে, মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টম্বর) বিকাল ৫টা পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত ৭জন রোগী ভর্তি হয়েছে। সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৪ জন। সর্ব মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১৯ জন,এদের মধ্যে ৮ জন পুরুষ ও ১১জন মহিলা ডেঙ্গুর রোগী রয়েছে।
জানাগেছে, গত শনিবার (২৪ সেপ্টম্বর) উপজেলার বারুইখালী গ্রামের জাল ব্যবসায়ী মিহির সাহা (৪৫) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে মারা গেছেন। চালিতাখালী গ্রামের মান্নান শিকদারের ছেলে শাহিন শিকদার(১৮)জানায়, চার দির পূর্বে জ্বর নিয়ে হাসপাতালে আসলে রক্ত পরিক্ষার পর তার ডেঙ্গু ধরা পড়ে। রোগীর স্বজনরা জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে প্রচন্ড জ্বরে ভুগছিলেন। তাদের জ্বর না কমায় চিকিৎসার জন্য কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে চিকিৎসকরা তাদের পরীক্ষা করে। পরীক্ষার পর তাদের ডেঙ্গু হওয়ার ব্যাপারটি নিশ্চিত হওয়ায় তাদের ভর্তি করেন হাসপাতালে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবিকারা জানান, ভর্তি রোগীরা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরবর্তীতে তাদের রক্ত পরীক্ষা করলে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়। বর্তমানে তাদের হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার পুরুষ ওয়ার্ডে এবং মহিলা ওয়ার্ডে মশারি টানিয়ে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু রুগীরা সুযোগ বুঝে মশারির বাহিরে থাকেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ অ.স.মোঃ মাহবুবুল আলম বলেন, উপজেলাতে ডেঙ্গু রোগী দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় এখানে পুরুষ ও নারী ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি সার্ভিসটা দিতে, তবে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ায় আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।