বাসর রাতে কি যৌন মিলন আবশ্যক? যারা নতুন বিয়ে করেছেন বা বিয়ে করতে চলেছেন তারা বাসর রাতে যৌনমিলন করবেন কিনা ভাবছেন !
বাসররাতে বেশির ভাগ পুরুষেরাই যৌনমিলনের বিষয়টি নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন ও চিন্তার ভাঁজ কপালে পড়ে। তবে এ ক্ষেত্রে বিয়েটা যদি ভালোবেসে হয়ে থাকে বা হবু স্ত্রী র সাথে যদি বিয়ের আগে থেকেই ভালো বোঝাপড়া হয়ে থাকে , তাহলে বাসররাতে যৌনমিলন নিয়ে তাদের চিন্তা তুলনামূলক অনেক কম থাকে। আর বিয়েটা যদি পারিবারিক হয়,হবু স্ত্রী র সাথে যদি তেমন জানা শোনা না থাকে, তাহলে বাসররাতে যৌনমিলনের বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত থাকাটা স্বাভাবিক। কেউ কেউ মনে করেন বাসররাতে আগ্ৰহের মাত্রা বেশি থাকে বা বাসররাতে যৌনমিলন করতেই হবে।
আবার অনেক এমনও মনে করে বাসররাতে যৌনমিলন না করে দুই-তিনদিন পর যৌনমিলন করা ভালো।
আপনি বা আপনার হবু স্ত্রী আপনারা বাসররাত কীভাবে কাটাবেন,তা কিন্তু আপনাদের দুজনকে মিলেই ঠিক করতে হবে। আপনাদের ফুলশয্যার রাতটা যদি একেঅপরের সাথে যৌনতা করে ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেন, তাহলে বিষয়টা কিন্তু মোটেও ভালো হবে না।
ফুলশয্যার রাত এমন একটি রাত ,যে রাত এক জীবনে আর দ্বিতীয়বার ফিরে আসবে না।তাই এই মিষ্টি মধুর রাতে আপনার স্ত্রী র সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে বন্ধুত্বের সম্পর্কের দৃঢ়তা স্থাপনের জন্য গল্প করেই না হয় কাটান। যৌনমিলনের রাত তো বহুবারই আসবে, কিন্তু বাসররাত তো আর ফিরবে না। বন্ধুত্বের সম্পর্কের মাধ্যমে একে অপরের ভালো লাগা, খারাপ লাগার বিষয়গুলোকে জানার চেষ্টা করুন। জীবনে যেহেতু এই রাতটা একবারই আসে তাই আপনারা স্বামী স্ত্রী একে অপরকে আদরের মাধ্যমে মিষ্টি প্রেমের গল্পের দ্বারা পারস্পরিক আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এই সুন্দর রাতটিকে যাপন করতে পারেন।
মনে রাখবেন যৌনমিলন ছাড়াও বাসররাতকে স্মরনীয় করে রাখার ও আরো রোমান্টিক করে তোলার অনেক রকমের উপায় আছে। তাই বাসররাতে সহবাস করার থেকে একদিন বন্ধুত্বের আদর মিশ্রিত আলোচনা করা অত্যন্ত ভালো।
বিয়ের কয়েকদিন আগে থেকে শুরু করে বিয়ের দিন পর্যন্ত বর কনের উভয়কেই কিন্তু নানারকম পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। আর এই পরিশ্রম করার জন্য বিয়ের দিনে বর এবং কনে অনেক বেশি ক্লান্ত থাকে। আর এই ক্লান্ত শরীর ও মনে যৌনমিলন করা কিন্তু কোনোভাবেই ঠিক হবে না।
প্রথমত শরীর ক্লান্ত থাকলে পুরুষরা কিন্তু এমনিতেই দীর্ঘসময় যৌনমিলন করতে পারে না। আর বিয়ের প্রথম রাতেই যদি আপনি আপনার স্ত্রীর সাথে ভালো ভাবে যৌনমিলন করতে না পারেন, তাহলে প্রথমদিন থেকেই আপনার স্ত্রী র কাছে আপনার দুর্বলতা প্রকাশ পেয়ে যাবে। এছাড়া অনেকসময় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হতে হতে অনেক রাত হয়ে যায়। এবং সেই সাথে বর ও কনের শরীর ও ক্লান্ত থাকে। আর সেই ক্লান্ত শরীর নিয়ে পুরুষ যদি যৌনমিলন করে, তাহলে দ্রুত বীর্যপাতের মতো সমস্যা হতে পারে।
প্রথমবার যৌনমিলন নিয়ে পুরুষের মতো স্ত্রী র মনেও নানা রকমের আশা ও উদ্বেগ কাজ করে। আর এই প্রথমদিন স্বামীর ক্লান্ত শরীরে মিলনের ফলে বীর্যপাত হয়ে গেলে স্ত্রী র কাছে এই বিষয়টি মোটেও ভালো লাগবে না। এজন্য বাসররাতে সবচেয়ে ভালো কাজ হলো, আপনারা একে অপরকে আদরে ভরিয়ে দিতে পারেন। দুজন দুজনের সাথে খুব ভালো ভাবে গল্প করতে পারেন।
একে অপরকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাতে পারেন।
সকালবেলায় একসাথে দুজনে একে অপরকে ঘুম থেকে আদর করে তুলতে পারেন।
এরপর আপনারা বিয়ের পরেরদিন অনায়াসে যৌনমিলন করতে পারেন, যেহেতু বাসররাতে আপনারা পারস্পরিক খুব ভালো ভাবে গল্প গুজব করে কাটিয়েছেন, ও একে অপরের ভালো লাগা খারাপ লাগা, মানসিকতা বুঝে নিতে পেরেছেন , এছাড়া আপনাদের শারীরিক ক্লান্তিও কিছুটা কম তাই বিয়ের পরের দিন যদি আপনারা একে অপরের সাথে যৌনমিলন করেন তাহলে আপনাদের সহবাসে কোনোভাবেই সমস্যার সৃষ্টি হবে না।
তবে আপনার বিয়েটা যদি প্রেমের হয়ে থাকে, ও আপনার স্ত্রী র সাথে যদি আগে থেকেই ভালো চেনাজানা ও বোঝাপড়া থাকে তাহলে হয়তো বাসর রাতেই যৌনমিলন করা খুব একটা সমস্যার হবে না।
যাই হোক বাসররাতকে চির স্মরণীয় করে রাখতে আপনারা স্বামী স্ত্রী একে অপরকে যেকোনো উপহার দিতে পারেনা। এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনা করে রাখতে পারেন, এবং সেই রাতে আপনাদের বাসররাতের স্মৃতি হিসেবে নিজেদের কিছু ছবি ও ভিডিও করে তুলে রাখতে পারেন।
পরিশেষে এটুকুই বলতে পারি আপনাদের দুজনের একত্রিত চাওয়াই কিন্তু আসল বিষয়। এক পাক্ষিক চাওয়াতে কিছু এসে যায় না। যতোক্ষণ না একে অপরের ডাকে সারা দিচ্ছেন।
তাহলে এবার আপনিই বলুন বাসর রাতে কি যৌন মিলন আবশ্যক? কমেন্ট করে জানান।