বুধবার, ২১ এপ্রিল ২০২১, ১১:২২ অপরাহ্ন
রঙ্গিলা দামান
রহিম মাষ্টার : দিনে দিনে সমাজটা অধঃপতনে যাচ্ছে, এ থেকে ফেরানোর রাস্তা একটাই । সুশিক্ষার প্রসার ও যুবসমাজকে সচেতন করে তুলা । জাতিকে সুশিক্ষার আলো না দিতে পারলে বাল্য বিবাহ , বহু বিবাহ , কুসংস্কার, মাদক ও অসামাজিক ছোবল থেকে রক্ষা করা যাবে না ।
মতি : মাস্টার মশাই , কোন সমাজের কথা বলছেন? কাদের কথা বলছেন?
রহিম মাষ্টার : কেন তুমি দেখছনা? সবল লোকেরা কেমন করে নিরীহ , অসহায়। দুর্বল মানুষকে শোষণ করছে?
মতি : মাস্টার মশাই এর প্রতিবাদটা করবে কে? যেই মাথা উঁচু করে দাঁড়ায় তার উপর নেমে আসে জুলুম-অত্যচার ।
নিজাম : মাস্টার মশাই বিপদ , বিপদ! (দৌড়ে মঞ্চে প্রবেশ)
মতি : কি হইছে নিজাম চাচা?
নিজাম : মোড়লের দেনার দায়ে এইবার বুজি বাপ-দাদার বসতভিটাও যাবে । টিপসই নিয়া আমার সব সম্পদ লিখে নিয়েছে ঐ মোড়ল। মাটে এইবার ফসল হয় নাই । কি খামু? কই যামু?
রোকিয়া : এই জমিলা শুন শুন!
জামিলা : বুবু কি হইছে?
রোকেয়া : তোর মতি ভাইরেত দেখায় যায়না! হে কি আসমানের চাঁদ হই গেল নাকিরে?
জমিলা : বুবু তুমি চাঁদ দেখতে পাওনা , আমরা দেখমু কেমনে?
রোকেয়া : শুনলাম চাকরি পাইছে?
জমিলা : হ! আমরাও ত শুনলাম দামানদে চাকরি পাইছেন। যাই বুবু, মায়ে ডাকতাছে।
মোড়ল : একবেটারেও ছাইড়া দিমুনা, পাই পাই কইরা টাকার হিসাব লইমু ।
গেদু : হুজুর । উওর পাড়ার রজবকে এইবার উচিৎ শিক্ষা দেওন লাগব।
মোড়ল : ডাক বেটারে । আগামীকাল আমার খাস কামড়ায় আওনের কথা কইয়া দে । হের মাইয়ারে শাদী করুম!
গেদু : জ্বি হুজুর , এখনই কইতাছি ।
(মতি গুন গুণ করে গান গেয়ে যাচ্ছে গ্রামের পথে)
জরিনা+ জ্যোতি : মতি , ভাই ও মতি ভাই । গঞ্জে চাকুরি পাইছ! মিষ্টি কই?
মতি : ঠিকই শুনছতরে বইন। মাসের মাইনে পাইলে সবাইরে মিষ্টি খাওয়াইমু ।
জ্যোতি : মতি ভাই রোকেয়া বুবু তোমার খবর লয় , হে বেশি খুশি হইছে ।
মতি : হ হওনেরই কথা । মায়েরে দেইখা রাখিস মেলা রাইত হয় বাড়ি ফিরতে।
মর্জিনা : প্রতি দিন চাচিরে দেইখা আসি ।
জ্যোতি : আমার লাগি এক বোতল আলতা আনবা ভাই
মতি : আচ্ছা । যা পাগলি আনমুনে
লেখক :
মোঃ জীবন আহমেদ ও
জাহাঙ্গীর আলম তুহিন