গোপাল চন্দ্র রায়,ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেছেন, গত ১৭ বছর ধরে বিগত স্বৈরাচারী সরকার বাংলাদেশকে ভারতের একটি অঙ্গরাজ্যে পরিণত করেছিল। ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জমিয়ত সবসময় প্রতিবাদ করেছে। যার ফলশ্রুতিতে কারাবরণ, রিমান্ডে পাশবিক নির্যাতনসহ হামলা-মামলার শিকার হতে হয়েছিল। মানুষের কথা বলার অধিকার ছিল না। সাংবাদিকরা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করা থেকে বঞ্চিত ছিল। পুলিশ, বিচার বিভাগ, প্রশাসন নির্লজ্জ দলীয়করণে ধংশ হওয়ার পথে চলে গিয়েছিল। সারা বাংলাদেশকে কারাগারে পরিনত করেছিল। এই যখন অবস্থা তখন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজপথে সোচ্চার হল। আমরা জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে সূচনালগ্ন থেকে বিরামহীন ভাবে সমর্থন দিয়ে গেলাম। এক পর্যায়ে আমরা তাদের সাথে রাজপথে এসে ঝান্ডা ধরলাম। আমরা বললাম তাদেরকে একা রাজপথে ছেড়ে দিতে পারিনা। আল্লাহর অশেষ দয়ায় আন্দোলন সফলতা অর্জন করলো।ছাত্র আন্দোলনে হাজার হাজার শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বৈরাচার মুক্ত নতুন একটি বাংলাদেশ পেয়েছি। সকল প্রকার বৈষম্য দূর করে ইনসাফ ভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ কাজ করে যাচ্ছে।
সোমবার বিকালে ডোমার শহরের বাটার মোড়ে উপজেলা জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের আয়োজনে অনুষ্ঠিত গণ-সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উল্লেখিত কথাগুলো বলেন।
তিনি আরও বলেন, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। আমাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জমিয়ত সবসময় গণমানুষের মুখপাত্র হিসেবে সোচ্চার থাকবে। বিগত জালিম সরকার তারাবীহ নামাজরত অবস্থায় আলেম-ওলামাদের গ্রেপ্তার করেছিল। কারাগারে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করেছিল। আল্লাহর রহমতে আমরা জালিম মুক্ত বাংলাদেশ অর্জন করেছি।
আমরা উত্তরবঙ্গের সন্তান। রংপুরের শহীদ আবু সাঈদের মতো বুক পেতে দিয়ে স্বৈরাচারের গুলিকে আলিঙ্গন করার সাহস রাখি। তবুও জালিমের কাছে মাথানত করবো না।
নীলফামারী জেলা জমিয়তের সভাপতি হাফেজ মাওলানা ইসমাইল হোসেন রিয়াজীর সভাপতিত্বে ও রংপুর বিভাগীয় যুব জমিয়তের সদস্য সচিব নুরুজ্জামানের সঞ্চালনায় গণ-সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যূগ্ম-মহাসচিব মাওলানা তাফাজ্জল হক আজীজ, মাওলানা ফজলুল করিম কাসেমী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি নাসীরুদ্দীন খান, ডোমার উপজেলা জমিয়তের সভাপতি মাওলানা ফজলুর রহমান প্রমুখ। এছাড়াও জমিয়ত, যুব জমিয়ত ও ছাত্র জমিয়তের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। পরে তিনি ডিমলা উপজেলায় অনুষ্ঠিত গন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
Post Views: ৭৮
Like this:
Like Loading...
Related