এম,ডি রেজওয়ান আলী বিরামপুর (দিনজপুর) প্রতিনিধি-মুহাম্মাদ আরবি: مُحَمَّد, মুহাম্মাদ; আনুমানিক ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দ – ৮ জুন ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দ) পূর্ণ সম্মানসূচক নাম হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (ﷺ), আরবের একজন ধর্মীয়,সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতা এবং ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক ছিলেন। ইসলামি মতবাদ অনুযায়ী,তিনি আল্লাহ কর্তৃক প্রেরিত একজন নবী যিনি আদম,ইব্রাহিম, মুসা,ঈসা এবং অন্যান্য নবীদের একত্ববাদী শিক্ষাকে প্রচার ও দৃঢ় করতে এসেছিলেন। মুসলিমগণ বিশ্বাস করেন যে,মুহাম্মাদ ছিলেন আল্লাহ প্রেরিত শেষ নবী ও রাসুল এবং কুরআন ও মুহাম্মাদের জীবনাদর্শ (সুন্নাহ) হলো ইসলাম ধর্মের মূলভিত্তি।
বিশ্বনবির জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ আমলের উপর ভিত্তি করে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ভালোবাসায় তাঁর সুন্নাহ বা আদর্শ পালনই রবিউল আউয়াল মাসের অন্যতম শিক্ষা। প্রিয় নবির জন্মদিন উপলক্ষ্যে বিশেষ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমলও রয়েছে। সেই আমল গুলো আমাদের সকল করে পালন করা একান্ত প্রয়োজন।
হাদীসের আলোকে দিকনির্দেশনায়
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বেলাদাত তথা জন্ম উপলক্ষে বছরব্যাপী নিয়মিত আমল রয়েছে।
উক্ত আমলের বিষয়টি সুস্পষ্ট করেছেন স্বয়ং বিশ্বনবি (সাঃ)। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সোমবার দিন জন্ম গ্রহণ করেছেন। আবার এ দিনেই তিনি ইন্তেকাল করেন।
তবে তিনি তাঁর জন্মদিন উপলক্ষ্যে নিয়মিত আমল হিসেবে প্রতি সোমবার রোজা রাখতেন। হাদিসে এসেছে-হজরত আবু কাতাদাহ আনসারি (রাঃ) বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ‘সোমবার’ রোজার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন,এ দিন (সোমবার) আমি জন্মগ্রহণ করেছি।
ওই দিনই আমি নবুয়ত লাভ করেছি বা আমার ওপর ওহি অবতীর্ণ হয়েছে…।’ (মুসলিম) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সোমবারের রোজার রাখার বিষয়টি অন্য বর্ণনায় এভাবে এসেছে-হজরত আয়েশা (রাঃ) বলেন,রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখতেন। (তিরমিজি ও নাসাঈ) সোমবার রোজা রাখার সম্পর্কে সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ!
আপনি সোমবার রোজা রাখেন কেন? তিনি বললেন,এই দিনে আমার জন্ম হয়েছে। তাই এই দিন রোজা রাখি। আজও মদিনা শরিফে সোমবারের রোজা রাখার আমলটি ব্যাপকভাবে প্রচলিত রয়েছে। তাই প্রতি সোমবার মসজিদে নববিতে ইফতারের বিশেষ আয়োজন করা হয়, যা স্থানীয় জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে আয়োজন করে থাকেন। জরুরি ভাবে মনে রাখা যে,রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্মদিন উপলক্ষ্যে প্রতি সোমবার রোজা রাখা বেদাআত নয় বরং তা প্রিয় নবির নির্দেশ ও সুন্নাত আমল।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ দিনে রোজা পালনের নির্দেশ দিয়েছেন। তবে অন্য কারো জন্মদিন উপলক্ষে রোজা পালন করা যাবে না। আর যদি কেউ তার জন্মের দিনে রোজা পালন করে তবে তাহা বেদাআত হবে নবীজীর ক্ষেত্রে তা নয়।
সুতরাং বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্মদিন উপলক্ষ্যে বছরজুড়ে প্রতি সোমবার রোজা পালন সুন্নাত ইবাদত।
এ রোজা রাখায় কোনো বাধা নেই। তাইতো উম্মতে মুহাম্মাদি তাঁর ভালোবাসায় প্রতি সোমবার রোজা পালন করে থাকেন। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাসের আদর্শের অনুসরণ ও অনুকরণ করার তাওফিক দান করুন। সুন্নাতি আমলে জীবন রাঙানোর তাওফিক দান করুন আমিন। রাসুলুল্লাহ ‘সৃষ্টিকর্তার বার্তাবাহক’ মুহাম্মাদের নাম ও উপাধি তাহার
জন্ম ৫৭০ খ্রি. ৫৩ হিজরিপূর্ব
মক্কা,হেজাজ,আরব তার
মৃত্যু হয়েছে,৮ জুন ৬৩২ খ্রি. ১১ হিজরি; তখন তার বয়স ছিল ৬২–৬৩)
মদিনা,হেজাজ,আরব
সমাধিস্থল ছিল,মসজিদে নববির, সবুজ গম্বুজের নিচের সমাধিক্ষেত্র, মদিনা,সৌদি আরব। ২৪°২৮′০৩″ উত্তর ৩৯°৩৬′৪১″ পূর্ব
দাম্পত্য সঙ্গী মুহাম্মাদের স্ত্রীগণ,
সন্তান পিতামাতা আবদুল্লাহ ইবনে আবদুল মুত্তালিব (পিতা)
আমিনা বিনতে ওহাব (মাতা) যে জন্য পরিচিত ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক।
রাসুলুল্লাহ সৃষ্টিকর্তার বার্তাবাহক
মুহাম্মাদের নাম ও উপাধি আহল আল-বাইত বাড়ির সদস্য’
মুহাম্মাদের বংশধারা আরবি নাম
ব্যক্তিগত (ইসম) মুহাম্মাদ
مُحَمَّد
পৈত্রিক (নাসাব)
ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে আবদুল মুত্তালিব ইবনে হাশিম ইবনে আবদ মানাফ ইবনে কুসাই ইবনে কিলাব
ٱبْن عَبْد ٱللَّٰه بْن عَبْد ٱلْمُطَّلِب بْن هَاشِم بْن عَبْد مَنَاف بْن قُصَيّ بْن كِلَاب
ডাকনাম
(কুনিয়া)
আবু আল-কাসিম
أَبُو ٱلْقَاسِم
উপাধি
(লাক্বাব)
খতমে নবুয়ত (‘সর্বশেষ প্রেরিত নবী’)
خَاتَم ٱلنَّبِيِّين
Post Views: ৭৫
Like this:
Like Loading...
Related