মাননীয় চেয়ারপার্সন আপনার নেতৃত্বে দলের ভিতরেও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ডাক দিতে হবে এবং বৈষম্যবাদী ও সাধারণ কর্মীদের উন্নয়নবিরোধী, সুবিধাবাদী নেতাদেরকে দল থেকে বাদ দিতে হবে।
মোঃ মতিউর রহমান সরদার
বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচিত মহামান্য রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীরউত্তম, মহান স্বাধীনতার ঘোষক, স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তোলার মহান স্বপ্নদ্রষ্টা ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা। তিনি মা, মাটি, মানুষ, মানবতা, স্বাধীনতা ও বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী একজন খাটি দেশপ্রেমিক মহান নেতা ও মানুষের প্রতীক। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও এরশাদের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি ৩০ মে ১৯৮১ সালে শাহাদাৎ বরণ করেন। মহান নেতার অপূরণীয় স্বপ্নগুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আপনি দেশের হাল ধরেছেন এবং দেশকে সামনে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টায় সক্রিয় রয়েছেন। সুবিধা ও বৈষম্যবাদী কিছু নেতার কারণে দল ও সাধারণ কর্মী ক্ষতিগ্রস্থ। তারা সাধারণ কর্মী ও ভোটার ব্যবহার করে নেতা হবে এবং ক্ষমতায় গিয়ে সব সময় নিজের আখের গুছিয়ে নিবে, কিন্তু সাধারণ কর্মী, ভোটার ও সমর্থকদের স্বাভাবিক উন্নয়নও চাইবে না, যা বড় ধরণের বৈষম্যতা। তারা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কি দায়িত্ব ও কর্তব্য সেগুলো বুঝে না। তারা বুঝে নিজের ও পরিবারের আখের কিভাবে গুছাতে হবে। বুঝলে ত্যাগী ও ক্ষতিগ্রস্থদের উন্নয়নসহ দেশের সাধারণ মানুষের উন্নয়নের পক্ষে সহায়তা করে দেশ ও জাতির অন্তরের গভীরে যেতে পারতো। তাদের বৈষম্যনীতির কারণে দল ও দলের সাধারণ ত্যাগী কর্মীরা সব সময় বঞ্চিত। সাধারণ কর্মী-সমর্থক ও সাধারণ মানুষ চায় বিএনপির সুনাম বৃদ্ধি হোক এবং মাঠ পর্যায়ের সাধারণ কর্মীসহ সাধারণ মানুষের উন্নয়ন হোক। তাই ওরা বাস্তবে তা চায় না এবং শহীদ জিয়া, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার নীতি-আদর্শসহ সংবিধানের আলোকে কাজ করে না। তারা কাজ করে নিজের ব্যক্তিগত সংবিধান বলে। মহান আল্লাহ পাকের রহমতে আপনি পুনরায় প্রধানমন্ত্রী হবেন ইনশাহ আল্লাহ। সে পর্যন্ত আমি বেঁচে থাকবো কি না জানি না, তবে এই সাক্ষাতে কিছু কথা বলে রাখলাম, দলের ত্যাগী, বঞ্চিত, নির্যাতিত ও ক্ষতিগ্রস্থ কর্মীসহ সাধারণ মানুষের ভবিষ্যত উন্নয়নের সুবিধার জন্য। দলকে টিকিয়ে রাখতে ও সুনাম বৃদ্ধি করতে হলে সাধারণ কর্মীদের পাশাপাশি দেশের সাধারণ মানুষদেরকে টিকিয়ে রাখতে হবে। তাই আপনার কাছে সবিনয় অনুরোধসহ দাবি। ক্ষমতায় যাওয়ার পর সাধারণ কর্মীদের ও সাধারণ মানুষের উন্নয়নের প্রতি সুদৃষ্টি দান করবেন। সাধারণ কর্মী ও সাধারণ মানুষ মানবেতর ও কষ্টকর জীবন-যাপন করছেন তা বাস্তবে না দেখলে বুঝা যাবে না। তারা যেসকল নেতাদের সাথে রাস্তায় কাজ করেছেন সে সকল নেতারা প্রায় সকলেই রাজপ্রাসাদে উঠে গিয়ে অতীত ভুলে গেছে এবং যুগ যুগ ধরে রাজপথে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেও অনেক কর্মীরা সেই রাস্তায় থেকে আজও কাজ করছেন। তারা চায়, শহীদ জিয়া আপনার ও তারেক রহমান এর নীতি-আদর্শসহ দলীয় সংবিধানের আলোকে প্রতিটি কর্মসূচি বাস্তবায়ন হোক। তাই যারা নেতৃত্বে থেকে ও ক্ষমতা পেয়ে বৈষম্যবাদীর কাতারে গিয়ে দীর্ঘদিন যাবত সুবিধাভোগী হয়েছে তাদেরকে দল থেকে বহিস্কার করা অথবা তাদেরকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে। এ জন্য আপনাকে বৈষম্যবিরোধী ডাক দিয়ে ভালো নীতি ও আদর্শবান নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে বৈষম্যবিরোধী কর্মসূচিকে শক্তিশালী করতে হবে এবং ৫ই আগস্ট ২০২৪ সালে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামে জীবন দিয়ে যারা বিজয় অর্জন করেছেন তাদের পাশাপাশি দেশের সকল শহীদদের রক্তের মূল্যায়ন করতে হবে। এ কথাগুলো বলেছিলাম ২০১৪ সালে।
Post Views: ৭০
Like this:
Like Loading...
Related