১২-১২-২০২১
মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী অধিকার আদায়ের সংগ্রামের প্রতীক বলে মন্তব্য করে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপি চেয়ারম্রান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা ও মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা বলেন, মওলানা ভাসানী একজন জাতীয় নেতা অথচ তাঁর জন্ম কিংবা মৃত্যুবার্ষিকীগুলোও পালিত হয় না জাতীয়ভাবে। যারা ভাসানীর সবচেয়ে কাছের, তারাই তাঁকে দূরে ঠেলে দিয়েছে সবচেয়ে বেশি।
রবিবার (১২ ডিসেম্বর) মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ১৪১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গণমাধ্যমে প্রেরিত বকে বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, মওলানা ভাসানীর মতো নেতার জন্য কারো করুণা চাওয়া অবান্তর। কারণ অনাদিকালজুড়ে এ দেশ ও এ জাতি যত দিন টিকে থাকবে, মওলানা ভাসানীকে কেউ অবহেলা কিংবা অবজ্ঞা করতে পারবে না। তাঁর সংগ্রামী আদর্শের মৃত্যু নেই। ইতিহাসই তাঁর সঠিক মূল্যায়ন করবে, তাতে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। ভাসানী স্মৃতি অমর হোক।
নেতৃদ্বয় বলেন, মজলুম জননেতা’ হিসেবে পরিচিত মওলানা ভাসানীকে প্রথাগত ক্ষমতার রাজনীতি কোনো দিনই আকর্ষণ করেনি। তিনি গ্রামগঞ্জের কৃষক কিংবা শহর-নগরের ব্যাপক শ্রমিক শ্রেণি ও অন্যান্য মেহনতি মানুষের অর্থনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য এ দেশের প্রেক্ষাপটে অনেক পথের সন্ধান করেছেন। ‘কৃষক-শ্রমিক ও মেহনতি মানুষের রাজ’ প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন।
তারা আরো বলেন, উপমহাদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মওলানা ভাসানীকে চিত্রিত করেছেন উপমহাদেশের রাজনৈতিক বিক্ষোভ ও বৃহত্তর গণ-আন্দোলনের অগ্নিপুরুষ হিসেবে। আবার কোনো কোনো বিশ্লেষকগণ তাকে আখ্যায়িত করেছেন একজন ক্ষণজন্মা রাজনীতিক হিসেবে। ব্রিটিশ শাসনামলে আসামে বাঙালিদের অধিকার প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে ব্রিটিশ শাসন ও উপনিবেশবাদ, সামন্তবাদ ও মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে মওলানা ভাসানী হয়ে উঠেন আন্দোলনের প্রতীক।