মিরসরাই প্রতিনিধি
মিরসরাইয়ে চিকিৎসক ও নার্সদের অবহেলায় ১৫ মাস বয়য়ী এক শিশু
মৃত্যুর অভিযোগ তুলেছেন ওই শিশুর স্বজনরা। শিশুটির নাম অভিজিৎ দাস।
সে উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের উত্তর দূর্গাপুরের
জেলেপাড়া এলাকার চরণ দাসের ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (২০
ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মস্তাননগর হাসপাতালের
হাসপাতালটির শিশু ওয়ার্ডে। গত ১৮ ডিসেম্বর শিশু অভিজিৎ দাসকে
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শিশু ওয়ার্ডের বেড নং-সিএইচ-৩ ভর্তি করা
হয়। শিশুটি ডায়রিয়াজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন।
অভিজিৎ দাসের চাচা সুখি চরণ দাস অভিযোগ করেন, ‘হাসপাতালের
চিকিৎসক ও নার্সদের অবহেলায় আমার ভাতিজার মৃত্যু হয়েছে। গত ১৮
ডিসেম্বর বিকাল ৫ টার সময় ডায়রিয়াজনিত সমস্যার কারণে
মস্তাননগর হাসপাতালে ভর্তি করাই। এরপর সর্বশেষ ১৯ ডিসেম্বর রাতে
স্যালাইন দেওয়া হয় তাকে। স্যালাইন শেষ হওয়ার পর দায়িত্বে থাকা
নার্সদের বেশ কয়েকবার ডাকাডাকির পরও তারা আসেনি স্যালাইন
খোলার জন্য। তারা আসতেছি আসতেছি বলে আসে নাই পরবর্তীতে
আমার ভাই চরণ দাস নিজেই স্যালাইনের পাইপ খুলেন। তারপর আমরা তাকে
ইমার্জেন্সিতে নিয়ে যাই। সেখানে নিয়ে গেলে তারা তার হাতে
লাগানো ক্যানোলাটি খুলে দেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘সোমবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে একজন নার্স
অভিজিৎকে দেখতে এসে বলেন তার শরীরে অনেক জ¦র। এজন্য তাকে
ইনজেকশন দিতে হবে। ইনজেকশন দেওয়ার পরপর তার শ^াসপ্রশ^াস দ্রুত
উঠানামা করতে থাকে। সাথে সাথে বেড থেকে তাকে হাসপাতালের
নিচের ইমার্জেন্সিতে নিয়ে যাই। সেখানে যাওয়ার পর তারা বিভিন্ন
পরিক্ষা-নিরিক্ষা করে দেখে আমাদেরকে বলে যে আপনারা দ্রুত এ্যাম্বুলেন্স
ব্যবস্থা করেন। কিন্তু ততক্ষণে আমার ভাতিজা অভিজিৎ মারা যায়।’
মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বলেন ডা.
শাহিদা আক্তার জানান, শিশুটিকে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া সমস্যার
কারণে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাকে সুস্থ্য করে তোলার জন্য
হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সরা সবাত্মক চেষ্টা করে। এখানে
চিকিৎসক ও নার্সদের অবহেলায় শিশু মৃত্যুর যে অভিযোগ স্বজনরা
তুলেছেন তা সত্য নয়। তিনি আরো জানান, সোমবার সকালে শিশু
অভিজিৎ দাসের শারিরীক অবস্থার অবণতি হওয়ায় হাসপাতালে দায়িত্বরত
চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে
যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেন। পরামর্শ দেওয়ার আধঘন্টা পর শিশুটি মারা যায়।