মিরসরাইয়ে কালবৈশাখী ঝড়ে ঘরবাড়ি ও বিদ্যুৎ সংযোগ লন্ডভন্ড

কালবৈশাখী ঝড়ে ঘরবাড়ি

মিরসরাই প্রতিনিধি
মিরসরাই উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ে ঘরবাড়ি, বিদ্যুৎ সংযোগ ও
ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বুধবার ভোরে হঠাৎ হালকা বৃষ্টি ও
কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়। ভোর ৫ টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত চলতে থাকে
কালবৈশাখীর তান্ডব। প্রচন্ড ঝড়ো হাওয়ায় গাছপালা সড়কে পড়ে
বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়,
পুরো উপজেলার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে। বিভিন্ন ইউনিয়নে বিদ্যুৎ
সরবরাহ স্বাভাবিক করতে ব্যস্ত বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা। ফসলের ক্ষয়ক্ষতির
পরিমাণ নিরূপণে কাজ করছে কৃষি অফিস। সারাদিন মিরসরাইয়ের
আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। বেশিরভাগ ইউনিয়নে কৃষকের বোরো ধান,
সবজি, ডাল এবং বিদুুৎ বিভাগের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
কাটাছড়া ইউনিয়নের কৃষক গিয়াস উদ্দিন জানান, তার এক একর
জমিতে বোরো ধান রয়েছে, এছাড়া ডালসহ অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি
হয়েছে।
মিরসরাই উপজেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি)
সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম জানান, আমাদের টিম প্রতিটি
ইউনিয়নে কাজ করছে। কালবৈশাখী ঝড়ে মানুষের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে
তাৎক্ষণিক জানা যায়নি। মাঠে কাজ করছে সিপিপি টিমের সদস্যরা।

ধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমকেএম জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া বলেন,
কালবৈশাখী ঝড়ে আমার ইউনিয়নে কৃষকের ফসল ও বিদু্যুৎ লাইনের ক্ষতি
হয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
মিরসরাই সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল আলম দিদার জানান,
আমাদের ইউনিয়নে বোরো ধান, ডাল, সবজি এবং বিদু্যুৎ সংযোগ
ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিদ্যুত না থাকায় মানুষ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।
কাটাছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম চৌধুরী হুমায়ুন
বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে ঘরবাড়ি, বিদ্যুৎ সংযোগ ও কৃষকের ধানের
ক্ষতি হয়েছে বেশি।
চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ মিরসরাই জোনাল অফিসের
ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সাইফুল আহমেদ বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে
বিদ্যুৎ বিভাগের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ধুম ইউনিয়ন, কাটাছড়া
ইউনিয়ন, হাইতকান্দি ইউনিয়ন, ওয়াহেদপুর ইউনিয়ন, ইছাখালী
ইউনিয়নের চরশরৎ এলাকায় গাছ পড়ে বিদ্যুৎ লাইন, খুঁটি ও মিটার
সংযোগ খুব বেশি ক্ষতি হয়েছে। ১০ টি খুঁটি এবং শতাধিক
মিটার সংযোগ এবং বিভিন্ন ইউনিয়নে মূল লাইনে গাছ পড়ে
বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এখন সব জায়গায় লাইন মেরামতের কাজ চলছে।
প্রথমে মিরসরাই উপজেলা সদরে বিদ্যুৎ লাইন চালু করা হবে, অন্যান্য
জায়গায় আরও সময় লাগবে।
মিরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রঘুনাথ নাহা বলেন, কালবৈশাখী
ঝড়ে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এখন মাঠে কৃষকের মাঠে আধপাকা বোরো
ধান রয়েছে, বিভিন্ন ধরণের ডাল, সবজির ক্ষতি হয়েছে।
মিরসরাই উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মিনহাজুর রহমান জানান,
ক্ষয়ক্ষতির পরিমাপ করা এখনো সম্ভব হয়নি। বিদ্যুৎ বিভাগের বিপর্যয়
বেশি হয়েছে, স্বাভাবিক করতে কাজ চলছে। এছাড়া ফসলের অনেক ক্ষতি
হয়েছে।

Exit mobile version