একটু গুড়ের চা খেতে মন চাইলো তাই চা বসিয়েছি,এদিকে আভিয়ান কান্নাকাটি করছে(পিচ্চিটা)তাড়াহুড়োয় চুলার পাশে রাখা কাচের নাড়িকেল তেলের বোতল পরে পা কেটে রক্তাক্ত,শীতে কোন ব্যাথা টের পাচ্ছিনা শুধু রক্ত বের হচ্ছে দর দর করে,
এরমধ্যে মাছ নিয়ে চলে আসলো ভাবি ওটা গুছিয়ে রাখতে রাখতে হঠাৎ শুনলাম আমার পাখিগুলো চেঁচামেচি করছে দৌড়ে বারান্দায় এসে দেখি পাখিটা খাঁচার পাশে রাখা কার্টুন এর উপর থেকে সুতা টেনে পেচিয়ে বসে আছে,আমি এক পায়ে লেংড়াতে লেংড়াতে কেচি আনতে আনতে ভাবি বলতাছে মনি তাড়াতাড়ি আনো পাখির গলায় ও সুতার ফাঁস লেগেছে,
তাড়াতাড়ি কেচি এনে দেখি অলরেডি পাখিটার মুখ দিয়ে খাবার বের হয়ে গেছে,সুতা কাটতে কাটতে পাখিটা মৃত্যুর কোলে ঢলে পরলো চোখের সামনে,মনটা এতো খারাপ হলো বলার মত না,
আজ প্রায় বছর হতে চললো ননাস থেকে পাখিগুলো এনে পালছি,এরমধ্যে সুস্থ্য সবল ননাস ও হঠাৎ করে চোখের পলকে ক্যানসার হয়ে ৪/৫মাসের মধ্যে মারা গেলো,
আমি পাখিগুলো পেলেই যাচ্ছি কিন্তু কোন ডিম দেয়না,সবাই বকে শুধু শুধু পালছি বলে তবুও মায়ায় বিক্রি করি না,অথচ আজ পাখিটা কত সহজেই চোখের সামনে মৃত্যুর কোলে ঢলে পরলো চোখের পলকে কিছুই করতে পারলাম না,,শুধু একটা কথাই মনে হতে লাগলো মৃত্যু আমাদের পায়ে পায়ে ঘুরছে,শত চেষ্টা করলেই তা থেকে ফিরাতে পারিনা আমরা,একটি ধূসর দিনের শুরুটা এভাবেই হলো।