রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধি: অস্থিতিশীল আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণে ১৪ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আলুর কেজি প্রতি হিমাগার পর্যায়ে মূল্য ২৬-২৭ টাকা এবং ভোক্তা পর্যায়ে ৩৫-৩৬ টাকা নির্ধারণ করে দেয়া হয়। পরে ভোক্তা অধিকার, জেলা প্রশাসন, এনএসআই সাড়াশি অভিযানের এবং ব্যবসায়ীরা সহনশীল মনোভাবের কারণে রংপুরের আলুর বাজারে কিছুটা স্বস্তির বাতাস বইছে। রংপুরের বাজারসমূহে খুচরা পর্যায়ে আলু ৩৮-৪২ টাকায় বিক্রয় করা হচ্ছে যা গত সপ্তাহের তুলনায় ১০-১২ টাকা হ্রাস পেয়েছে। আশা করা যাচ্ছে আগামী ২/৩ দিনের মধ্যে তৃণমূলের মানুষ সরকার নির্ধারিত মূল্যে আলু ক্রয় করতে পারবে। সরকার নির্ধারিত দামে আলু বিক্রয় কার্যক্রম তদারকিতে মাঠে নেমেছে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসন, এনএসআই। খুচরা ও পাইকারি বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে আলুর দাম বৃদ্ধি করে করেছিল কতিপয় মজুদদার ও ব্যবসায়ীরা। আলুর দাম বৃদ্ধিতে জনগণের নাভিশ্বাস সৃষ্টি হয়েছিলো। এ নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। এর পরেই মাঠে নামে ভোক্তা অধিদপ্তরসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। রংপুর মহানগরীসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে জেল ও জরিমানাসহ কয়েকজনকে আটকও করা হয়। এতে করে বাজারে ৮ থেকে ১০ টাকা আলু দাম কমে। মঙ্গলবার সকালে রংপুর নগরীর সিটি বাজার, ধাপ বাজার, লালবাগ ও কামাল কাছনাসহ কয়েকটি বাজারে দেখা যায়, আলু ৩৮-৪২ টাকায় বিক্রয় করা হচ্ছে। যা গত দুই সপ্তাহ আগে বাজারে প্রতি কেজির আলু বিক্রয় হচ্ছিল ৫০ টাকা থেকে ৫৫ টাকায়। আলুর দাম সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রয় নিশ্চিত করতে মহানগরীর দুইটি হিমাগারে অভিযান পরিচালনা করে মজুতদারসহ কয়েক ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন হাট-বাজারে ব্যবসায়ীদের সর্তক করা হয়। কয়েকজন ব্যবসায়ীকে আটকও করে তারা। এর পরেই কাটিনাল ও ডায়মন্ডসহ বিভিন্ন আলুর দাম কমতে শুরু করে। তবে দেশী জাতীয় আলুর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। সিটি বাজারে পাইকাররা কার্টিনাল আলু ৩৫-৩৬ টাকা কেজি, শিল আলু ৪৭-৪৮ টাকা, ঝাউ ৫৪-৫৫ কেজি বিক্রয় করছে। আলুর খুচরা ব্যবসায়ীগণ বলেন, বড় বড় কোল্ড স্টোরেজ মালিকরা আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণ করে। ভোক্তা অধিকারসহ প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থা মাঠে নামাতে সরবরাহ কিছুটা বেড়েছে, এ কারণে দামও কমতে শুরু করেছে। পুরোনো আলুর মজুত আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে ফুরিয়ে যাবে। একারণে পুরোনো আলুর সরবরাহ কমানোর চেষ্টা করেছিল একটি চক্র। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ পরিচালক আজহারুল ইসলাম বলেন, সরকারের বেঁধে দেয়া দাম নিয়ন্ত্রণে কাজ করা হচ্ছে। রংপুরের হিমাগারগুলোতে মজুমদারের সতর্ক করে আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে। নির্দেশনা না মানলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান বলেন, ৩৬ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রয় শুরু হয়েছে। সরকার নির্ধারিত মূল্যের বাইরে কেউ বিক্রয় করতে পারবে না।
রাতারাতি পেঁয়াজের দাম বেড়ে দ্বিগুণ
ঢাকা : ভারত আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর বাংলাদেশে এর দাম রাতারাতি বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে।...