রংপুরে ভোদল হত্যাকান্ডে মামাতো-খালাতো ভাই গ্রেফতার

 

রংপুর ব্যুরো: রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় মোকতারুল ইসলাম ভোদল (২৫) হত্যা মামলায় তহিদুল ইসলাম (৩৬) ও আল আমিন (৩৭) নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে নিহতের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন নিহতের খালাতো ভাই তহিদুল ইসলাম ও মামাতো ভাই আল আমিন। গত ১৫ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরে রংপুর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. শরীফ উদ্দিন। পুলিশ সুপার বলেন, সুদের টাকা লেনদেনের বিরোধের জেরে মোকতারুল ইসলাম ভোদলকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার শিকার মোকতারুল ইসলাম ভোদল মিঠাপুকুর উপজেলার অভিরাম নুরপুর গ্রামের কলম উদ্দিন ও কল্পনা বেগম দ¤পতির বড় ছেলে। ঘটনার দিন ৯ সেপ্টেম্বর মোকতারুল ইসলাম ভোদল তার লাল-কালো রঙের বাজাজ পালসার ১৫০ সিসি মোটরসাইকেলে জায়গীরহাটের উদ্দেশ্যে নিজ বাড়ি থেকে বের হন। পরবর্তীতে রাতে বাড়িতে ফিরে না এলে তার ভাই আকতারুল ইসলাম তার খোঁজে বের হয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার বলদিপুকর পল্লী বিদ্যুৎ সাব জোনাল অফিস সংলগ্ন রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের কাছ থেকে মোকতারুলের গলাকাটা মরদেহ দেখতে পান। পরে মিঠাপুকুর থানার পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। তিনি আরও বলেন, ঘটনাটি প্রাথমিকভাবে পরিকল্পিত হত্যাকান্ড মনে হওয়ায় মিঠাপুকুর থানা পুলিশের একাধিক টিম গোপনে ও প্রকাশ্যে তদন্ত শুরু করে। নিহতের মা কল্পনা বেগম বাদী হয়ে গত ১১ সেপ্টেম্বর মিঠাপুকুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্তকালে ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনাসহ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মোকতারুল ইসলাম ভোদলের হত্যার পরিকল্পনাকারীদের শনাক্ত করা হয়। পুলিশ সুপার মো.শরীফ উদ্দিন বলেন, গত শনিবার উপজেলার পায়রাবন্দ ইউনিয়নের অভিরাম নুরপুরের হান্নান মিয়ার ছেলে তহিদুল ইসলাম এবং একই এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে আল আমিনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে ঘটনার সময় ছিনিয়ে নেওয়া মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়।

Exit mobile version